রাজধানীর রাস্তা এখনো ফাঁকা
০৩ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষে সরকারি-বেসরকারি সবধরনের অফিস খুললেও ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের চাপ এখনো বেশ কম। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজি, রিকশাও চলাচল করছে সীমিত পরিসরে। ফলে এখনো রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তা ফাঁকা রয়েছে।
যানজটের নগরীতে যানজট না থাকায় বেশ স্বস্তিতে চলাচল করছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অল্প সময়েই চলে যাচ্ছেন। গণপরিবহনে উঠতে কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না। চাকরিজীবীরা গণপরিবহনে উঠে ঝামেলাহীনভাবেই অফিসে যেতে পারছেন। আবার অফিস থেকে ফিরতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষগুলোর মুখ থেকে স্বস্তির কথায় শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে পরিবহনকর্মীরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খুলেছে দুদিন। অফিস খুললেও ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাওয়া বেশিরভাগ মানুষ এখনো ফিরে আসেননি। ফলে রাস্তায় মানুষের চলাচল কম। যে কারণে গণপরিবহন কম থাকলেও যাত্রীদের বাসে উঠতে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। আবার ভাড়া নিয়ে বাকবিতা- হচ্ছে না।
গত ২৯ জুন উদযাপিত হয়েছে মুসলমান ধর্মালম্বীদের বৃহৎ উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদ উপলক্ষে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন নির্ধারিত হয় সরকারি ছুটি। এর সঙ্গে ২৭ জুন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এতে ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি মেলে চারদিন। সরকারি ছুটি শেষে শনিবার পড়ে। ফলে আরও একদিন ছুটি বেড়ে যায়। টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষে গত রোববার থেকে আবার অফিস শুরু হয়েছে। অফিস শুরু হলেও এখনো বেশিরভাগ অফিসের কর্মীদের একটি অংশ অনুপস্থিত রয়েছে। কারণ তারা ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন।
রাজধানীর যানজটপ্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম রামপুরা, বাড্ডা। ঈদের পর প্রথম কার্যদিবস এই অঞ্চলের রাস্তায় যানজট দেখা যায়নি। গতকাল সোমবারও এই অঞ্চলের রাস্তা ফাঁকায় দেখা গেছে।
বাস চালক রায়হান বলেন, বাড্ডা থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত নিয়মিত যানজট লেগে থাকে। তবে এখন এই রাস্তায় যানজট নেই। কারণ এখনো বেশিরভাগ মানুষ ঈদের ছুটিতে আছেন। অফিস খুললেও একটা বড় অংশ এখনো গ্রাম থেকে ফেরেনি। এমনকি আমাদের পরিবহনের অনেকেই গ্রামে রয়ে গেছেন। যে কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কম এবং গাড়িও কম।
রামপুরা থেকে কাকরাইলের অফিসে আসা এক ব্যক্তি বলেন, অফিসে আসার সময় প্রতিদিন বাসে উঠতে এক প্রকার যুদ্ধ করতে হয়। কখনো কখনো বাসে উঠতেই পারি না। বাধ্য হয়ে হেঁটে অফিসে আসি। আবার বাসে উঠতে পারলেও পড়তে হয় দীর্ঘ যানজটে। রামপুরা থেকে কাকরাইল পর্যন্ত পুরো রাস্তায় যানজট থাকে। শুধু ফ্লাইওভারের ওপরে কিছুটা ফাঁকা পাওয়া যায়। এই যানজটের রাস্তায় এখন যানজট নেই। গত দুইদিন বাসে উঠতে কোনো সমস্যা হয়নি। ঢাকার রাস্তা সব সময় এমন থাকলে অনেক ভালো হতো।
কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল, শাহবাগ অঞ্চলেও যানজটের দৃশ্য দেখা যায়। গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, স্বাভাবিক সময়ে পল্টন, গুলিস্তানে যানজট লেগেই থাকে। অফিস শুরুর আগে এবং অফিস শেষে ট্রাফিক সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু এখনো এই রাস্তায় গাড়ির তেমন চাপ নেই। যানজটও নেই। আমাদের কেউ খুব একটা কষ্ট করতে হচ্ছে না। অনেক সময় সিগনাল দেওয়ার প্রয়োজনও হচ্ছে না।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের
পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম
ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী
আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই
ফিলিপাইনে ৪০০ বিদেশি অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার
ইসরাইলি ৪শ’ সেনা নিহত গাজায় স্থল অভিযানে
কুষ্টিয়ায় কৃষি যন্ত্র বিতরণে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
ভোলায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
গাজীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার
বিভিন্ন বিভাগ ছোট হচ্ছে পাকিস্তানে
আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকানীকে গুলি
গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করল জার্মানি-ফ্রান্স
৪ ভূখ-কে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলি মানচিত্র প্রকাশ
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চলতি বছর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস
যুক্তরাষ্ট্রের নাম মেক্সিকান আমেরিকা রাখার পরামর্শ