চামড়া আছে ক্রেতা নেই ফড়িয়াদের মাথায় হাত
০৫ জুলাই ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
টাঙ্গাইলে কোরবানির পশুর চামড়া ফুট হিসেবে নয় পিস হিসেবে বেচাকেনা হয়ে থাকে। টাঙ্গাইল জেলার বৃহত্তর চামড়ার হাট ঘাটাইলের পাকুটিয়ায় বিপুল পরিমাণ চামড়া সরবরাহ হলেও নেই ক্রেতা। সপ্তাহের রোববার ও বুধবার এই হাটটি হয়। প্রতি হাটে সাধারণত কোটি টাকার চামড়া বেচাকেনা হয়ে থাকে।
এবার মাঠ পর্যায়ে মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনে ফড়িয়ারা হাটে উঠিয়েছেন। গরুর চামড়ার সাথে ফ্রি নেয়া হয়েছে ছাগলের চামড়া। তবে কোনো কোনো স্থানে ছাগলের বড় চামড়া ১০-২০ টাকায় কেনা হয়েছে।
মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, গ্রামে গ্রামে গিয়ে সামাজিকভাবে কোরবানি দেয়া গরুর চামড়া প্রতিপিস ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে কেনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেগুলো ধুয়ে পরিস্কার করে লবন দিয়ে পাকুটিয়ার চামড়ার হাটে উঠানো হয়। বৃষ্টির কারণে লবন দেয়া চামড়াগুলো শুকানো যায়নি। কোরবানির পর সকালে প্রথম হাট হওয়ায় অধিকাংশ বেপারী পাকুটিয়ার হাট থেকে চামড়া কিনেন নি। চারজন বেপারী মাঝারি আকারের গরুর চামড়া প্রতিপিস ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে কিনেছেন।
তারা জানান, প্রতিপিস ২০০-৫০০ টাকায় গরুর চামড়া কিনে প্রাথমিকভাবে লবন দেয়ার পর ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করলে লোকশান হবে। এছাড়া ছাগলের চামড়ার কোনো আড়তদার হাটে না আসায় বড় আকারের ছাগলের ১০০টি চামড়া ৮০০ থেকে ১১০০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ী আজগর আলী জানান, তিনি গ্রামাঞ্চল থেকে মাঝারি আকারের ৬০টি গরুর চামড়া প্রতিপিস ৪৫০ টাকা দরে কিনে লবন দিয়েছেন। রোদ না থাকায় শুকানো যাচ্ছেনা। বিক্রি করতে চাইলে পাইকার বা আড়তদাররা প্রতিপিস ৫০০ টাকা দাম করছেন। এতে তার লোকশান হবে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, টাঙ্গাইল জেলায় ৬০-৬৫ হাজার পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে পাকুটিয়া হাটে নেয়া হয়। হাটে অধিকাংশ চামড়া বিক্রি না হওয়ায় আড়তে এনে আবার লবন মাখিয়ে ডাবর (লবন দিয়ে স্তুপ করা) দেয়ার প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে সেগুলো ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাঠানো হবে।
পাকুটিয়া চামড়ার হাটের ইজারাদার মো. রাকিব খান জানান, এবছর প্রায় ৩২ লাখ টাকায় হাটের ইজারা নিয়েছেন। হাটে চামড়ার আমদানি হলেও বিক্রির সংখ্যা খুবই কম। ফড়িয়ারা কিছু চামড়া কিনে বিক্রি করতে না পেরে হাটের গোডাউনে ডাবর দিয়ে রেখে গেছেন। হাটে বেশিরভাগ আড়তদার আসেনি। প্রায় হাটেই ঢাকা থেকে কোম্পানী বা ট্যানারির প্রতিনিধিরা আসেন-তারাও আসেননি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে গত বছরের ন্যায় এবারও ফড়িয়ারা লোকসানের কবলে পড়বে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর এক লাখ ৮৫ হাজার ২৬৩টি কোরবানির মধ্যে এক লাখ ১২ হাজার ৫৮১টি ছাগল ও চার হাজার ৪১টি ভেড়া কোরবানি হয়েছে। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের মতে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তারা বড় ধরণের মুনাফা করার আশায় থাকেন। গত কয়েক বছর যাবত তা আর হচ্ছেনা।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া বলেন, চামড়ার বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখভাল করে থাকে। সঠিকভাবে পশুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য কোরবানি দাতাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সরাইলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ের একজনকে কারাদন্ড, অন্যজনের জরিমানা
অস্ত্র মামলায় দণ্ড থেকে খালাস পেলেন মতিউর রহমান নিজামী
সিকৃবিতে প্রকল্প এবং ফেলোসিপ পুরস্কার অনুষ্ঠান কাল
পর্তুগালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭
খুলনার কাউন্সিলর টিপু হত্যার তিন আসামি গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার
ইউক্রেন যুদ্ধে হারের কথা স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
তাদের চোখের সামনে লাশগুলো থাকার কথা ছিল কিন্তু আছে শুধু ক্ষমতা
শত্রুদের অজানা অস্ত্র আছে ইরানের কাছে
ডিসেম্বরের সেরা বুমরাহই
রাজশাহীতে বিএমডিএ সদও দপ্তরে দুদকের অভিযান নথিপত্র তলব
২০২৪ সালে পবিত্র হজ ও ওমরাহ করেছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ
ভেজাল টমেটো বীজে সিলেটে সর্বনাশ কৃষকদের
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করলেন -ড.এম আসাদুজ্জামান
রাগে র্যাকেট-ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ
পটুয়াখালীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
ভোটার হালনাগাদ নিয়ে ইসির বিশেষ নির্দেশনা
তবে কি ফিলিস্তিনে গণহত্যা-ধ্বংসযজ্ঞের ফল পাচ্ছে আমেরিকা?
মেসার্স ইশা ফিলিং স্টেশনকে মাপে কম দেওয়ায় জরিমানা
সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই, পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে আগে : হাসনাত আব্দুল্লাহ