যে কারণে বর্ষায় ডুবে না বগুড়া পৌরসভার সড়ক
০৫ জুলাই ২০২৩, ১০:১৬ পিএম | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
অন্যান্য বছরের মত চলতি বর্ষা মৌসুমে রাজধানী ঢাকা ও বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম সহ দেশের অধিকাংশ ছোটবড় সিটি ও পৌরসভার রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বর্ষা মৌসুমে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পানিবদ্ধতা জনদুর্ভোগ এখন কমন বিষয়। তবে ২১ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত দেশের বৃহত্তম ও প্রথম শ্রেণীর বগুড়া পৌরসভা এর থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম বলে পৌর নাগরিকদের অভিমত। সেকারণেই বর্ষায় বগুড়া পৌরসভায় পানিবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে তেমন একটা জনদুর্ভোগের রিপোর্ট খুব একটা চোখে পড়েনা।
এ বিষয়ে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সমাজপতি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদের ৪ দলীয় জোট সরকারের শাসনামলে তারেক রহমানের কিছু ডাইনামিক পদক্ষেপের জন্যই এই পরিবর্তন। বগুড়া জেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা কথা প্রসঙ্গে ইনকিলাবকে জানান, ২০০৪ সালে তারেক রহমান বর্ষাকালের এক বর্ষণ মুখর দিনে পঞ্চগড় থেকে বগুড়ার একটি প্রোগ্রামে যোগ দিতে আসেন। শহর উত্তর দিক মাটিডালী দিয়ে বগুড়ার জেলা স্কুল ক্যাম্পাসে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা দুলাল অডিটোরিয়ামে আসার পথে তার গাড়িটি পানিতে আটকা পড়ে। এরপর কোন রকমে অডিটোরিয়াম হলে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই তিনি বগুড়া পৌরসভার প্রকৌশলীদের ডেকে পাঠান। তখনই তিনি কি করলে বগুড়া পৌরসভার প্রধান সড়কগুলো পানিবদ্ধতার হাত থেকে বাঁচানো যাবে তার প্রস্তাবনা দিতে বলেন। সেদিন রাতেই বগুড়া শহরকে যানজট ও পানিবদ্ধতার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য খসড়া পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন প্রকৌশল বিভাগীয় কর্মকর্তাগন। ওই সময়ে বগুড়ায় দায়িত্ব পালনকারী প্রকৌশলী রেজা স্মৃতিচারণ করে বলেন, মূলত তারেক রহমানের ঐকান্তিক চেষ্টাতেই বগুড়া পৌরসভায় ৫২ কোটির কিছু বেশি টাকা বরাদ্দ পায়। সে টাকায় বগুড়ার উত্তর প্রান্তের মাটিডালী থেকে দক্ষিণে বনানী মোড় পর্যন্ত ৬ কি. মি. এবং শহরের প্রাণ কেন্দ্র সাতমাথা থেকে ৩ মাথা রেলগেট পর্যন্ত মোট ৯ কি. মি. রাস্তা সম্প্রসারণ ও রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার স্থাপন করা হয়। এছাড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য ২৯ টি নতুন ড্রেন ১২২ টি রাস্তা নির্মাণ ও পুরাতন রাস্তা সংষ্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়। একই বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদুল বারী এরশাদ স্মৃতিকাতর হয়ে বলেন, তিনি ওই সময় যখন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তখন তার ওয়ার্ডে কারমাইকেল রোড ছাড়া কোন রোডই ছিলোনা। তারেক রহমানের বদান্যতায় সেসময় বগুড়া পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রচুর সংখ্যায় রোড, গ্রীড ও ফিডার রোড নির্মিত হওয়ায় বগুড়া পৌরসভার জায়গার দাম রাতারাতি বেড়ে যায়। উন্নতি হয় আর্থসামাজিক পরিস্থিতির। বাইরের জেলা থেকে প্রচুর মানুষ এসে বগুড়ায় বসতি স্থাপন করতে থাকে। পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বিটু ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মেহেদী হাসান হিমু। তারা জানান, এরপর থেকে বগুড়া পৌরসভায় এ ধরণের ম্যাসিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম নেওয়া হয়নি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পর্তুগালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭
খুলনার কাউন্সিলর টিপু হত্যার তিন আসামি গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার
ইউক্রেন যুদ্ধে হারের কথা স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
তাদের চোখের সামনে লাশগুলো থাকার কথা ছিল কিন্তু আছে শুধু ক্ষমতা
শত্রুদের অজানা অস্ত্র আছে ইরানের কাছে
ডিসেম্বরের সেরা বুমরাহই
রাজশাহীতে বিএমডিএ সদও দপ্তরে দুদকের অভিযান নথিপত্র তলব
২০২৪ সালে পবিত্র হজ ও ওমরাহ করেছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ
ভেজাল টমেটো বীজে সিলেটে সর্বনাশ কৃষকদের
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করলেন -ড.এম আসাদুজ্জামান
রাগে র্যাকেট-ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ
পটুয়াখালীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
ভোটার হালনাগাদ নিয়ে ইসির বিশেষ নির্দেশনা
তবে কি ফিলিস্তিনে গণহত্যা-ধ্বংসযজ্ঞের ফল পাচ্ছে আমেরিকা?
মেসার্স ইশা ফিলিং স্টেশনকে মাপে কম দেওয়ায় জরিমানা
সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই, পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে আগে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
বাংলাদেশের নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কথা বলতে চায় না জাতিসংঘ
বেগমগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত
মডেল তিন্নি হত্যা মামলা: খালাস পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য অভি