গ্রিসে যাওয়ার লোভে কিডনি দান তদন্তে বিএসএমএমইউ
১৯ জুলাই ২০২৩, ১০:২০ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথমবার কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়েই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়মসহ দাতা-গ্রহীতার মধ্যে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সুজন রায় (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে কিডনি দিয়েছেন তার ছোট ভাই সুসেন রায় (৩১)। তবে অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে কিডনিদাতা ও কিডনিগ্রহীতার মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি কিডনি দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে অবৈধ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। গতকাল তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউ’র ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে শোনার পর খুবই অবাক হয়েছি। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততার সঙ্গে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে বলা যাবে আসলে ঠিক কী ঘটেছিল।
জানা গেছে, হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়াটিক অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মো. মহছেন চৌধুরীকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেনÑ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের প্রফেসর আতিকুল হক, গাইনি বিভাগের প্রফেসর রেজাউল করিম ও বিএসএমএমইউ’র ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দিন।
সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে যিনি কিডনি দিয়েছেন তার নাম সুসেন রায় নন। দাতা ও গ্রহীতা সম্পর্কে ভাই নন। কিডনিদাতাকে গ্রিসে পাঠানো হবে— এমন প্রতিশ্রুতি দেয়ার বিনিময়ে কিডনি নেয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান আইনে আপন ভাইকে কিডনি দেয়া যায়। তাছাড়া নিকটাত্মীয় ছাড়া কারও কিডনি নেয়া যায় না।
জানা গেছে, কিডনিদাতা বিএসএমএমইউ’র চতুর্থ তলায় আইসিইউতে আছেন। কিডনি গ্রহীতা সাততলার পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের (অস্ত্রোপচার পরবর্তী ওয়ার্ড) আইসিইউতে রয়েছেন। এর আগে গত সোমবার বিএসএমএমইইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথম কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়েছে। ৪২ বছর বয়সী বড় ভাই সুজন রায়কে কিডনি দিয়েছেন তার ৩১ বছর বয়সী ছোট ভাই সুসেন রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের প্রফেসর রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন প্রফেসর ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের চিকিৎসক দল এ ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমে অংশ নেন বলেও জানানো হয়।
তবে ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আগে অবশ্যই কিডনি দাতা ও গ্রহীতা আপন ভাই কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করা উচিত ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা