কচাঁ নদীতে নাব্যতা সঙ্কটে নৌ-যান চলাচল ব্যাহত
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম
কচাঁ নদীতে নাব্যতা সঙ্কটে কারণে বরিশাল, ঝালকাঠী, কাউখালী, স্বরুপকাঠি, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মালামাল এই নদীপথে কার্গো জাহাজে আনা-নেয়া ও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বঙ্গোবসাগর থেকে বেড়িয়ে এই নদী হয়ে বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায়। শীত মৌসুমে এই নদীর বুকে বিভিন্ন জায়গায় জেগে উঠেছে ডুবোচর। যার কারণে জাহাজ চালকদের প্রায়ই পড়তে হয় বিপাকে। দেখা যায় বিভিন্ন সময় নতুন চালক হলে প্রায়ই তারা চরে আটকে পড়ে। পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশল করে অথবা জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে তাদের যেতে হয়।
এছাড়াও পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কচাঁ নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবোচরে আটকা পড়ে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে টগড়া-চরখালী ফেরি চালাচল। ফলে বরিশাল-খুলনাসহ ১২টি রুটের যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। মাঝ নদীতে ফেরি আটকে থাকার কারণে প্রতিনিয়ত ফেরির দুই পাড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, চরখালী-টগড়া ফেরি রুট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি রুটের যান চলাচল করে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীটি পার হতে বছরের অন্যান্য সময় থেকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগলে। শীত মৌসুমে এ চিত্র পুরোটাই উল্টো। শীত মৌসুমে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় প্রায়ই ফেরি আটকা পড়ে ডুবোচরে। নদীর প্রায় অর্ধেকটা জুড়েই রয়েছে ডুবোচর। এতে প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি আটকে থাকে নদীর মাঝখানে। আর যতক্ষণ নদীতে জোয়ার না আসে, ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। নদীতে ফেরি আটকে থাকায় যাত্রী ও গাড়িচালকদের মূল্যবান সময় নষ্টসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া ভাটার সময় পন্টুন অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরিতে গাড়ি উঠতেও বিভিন্ন সময় সমস্যা হয়। কচাঁ নদীর নাব্যতা সংকট দূর করতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সরকারকে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন টগড়া-চরখালী ফেরি রুট ব্যবহারকারীরা।
পরিবহন ড্রাইভার আ. কাদের, হাসেম ও কুদ্দুস জানান, যাত্রী নিয়ে এই ফেরি পারাপারে ওপারে পৌঁছানো থাকে অনিশ্চয়তা। এই মৌসুমে প্রায়ই ফেরি মাঝ নদীতে গিয়ে আটকে পরে। ফলে আমাদেরকে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। নির্দিষ্ট সময় যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারি না। ফলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান জানান, আমি নিজেই ভুক্তভোগী। কচাঁ নদীর ডুবোচরে ফেরি আটকে থাকার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। নদী ড্রেজিং ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। অচিরেই ডুবোচর ড্রেজিং করা জরুরি এবং নদী পথের দুরত্ব বেশি হওয়ায় দুই প্রান্তে দুইটি ফেরি থাকলে ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আচমকাই চীনে চালু হোয়াটসঅ্যাপ
নাবালক পুত্রকে দিয়ে ভোট, সমালোচনার মুখে বিজেপি নেতা
মার্কিন দমনমূলক ব্যবস্থার প্রতিবাদ বেইজিংয়ের
কলাপাড়ায় কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ইউরোভিশনে ইসরায়েলের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ফের গোল পেলেন রোনালদো,নাসেরের রোমাঞ্চকর জয়
কাউকে ঋণ দিয়ে তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বেশী নেওয়া প্রসঙ্গে।
যৌনকর্মীদেরও এবার মাতৃত্বকালীন ছুটি, দেয়া হবে পেনশন
আমেরিকান কালার কসমেটিকস হারল্যানে ২৫% ছাড়
প্রথম প্রান্তিকে এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১৭ শতাংশ
‘নেভার সেটেল’ শ্লোগানে দেশের প্রযুক্তিপ্রেমিদের উজ্জীবিত করতে প্রস্তুত শীর্ষ ব্র্যান্ডটি
শেয়ারট্রিপের মেগা ক্যাম্পেইন, শেয়ারট্রিপ পে’র এর মাধ্যমে জিতুন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার
ইউএস ট্রেড শো- ২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন
বগুড়ায় শাজাহানপুরে স্ট্রোকে স্ত্রীর মৃত্যু
তানোরে ২য় বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ময়নার অর্ধশতাধিক মাইক্রোবাস নিয়ে শোডাউন
জয়ের ধারা ধরে রাখার লক্ষ্য বাংলাদেশের
এক দশকের উন্নয়ন বাংলাদেশের জাতীয় বিজ্ঞাপনের বড় অস্ত্র; কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে
সার্বিয়ার জাতীয় জাদুঘরে চীনের ফার্স্ট লেডি
যুক্তরাজ্যের রিফিউজিদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে এইডমিইউকে
চীন ও হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টদ্বয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত