সালথায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পরিদর্শন করলেন শামা ওবায়েদ

সালথা (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা :

০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ এএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ এএম

বিএনপির কোনো কর্মীর ওপর ফুলের টোকা পড়লেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আশ্রয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগীয়) শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, বিএনপি কারো ওপর নির্যাতন করতে চায় না। কেউ যদি বেগম খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের কিংবা আমার কোনো নেতার-কর্মীর উপর ফুলের টোকা দেয় তাহলে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। আমরা সালথায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে চাই। সেই শান্তি যদি কেউ বিনষ্ট করে, অশান্তি তৈরি করে তাদের কাউকে প্রশাসনের ছাড় দেয়া উচিত না। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষস্থল উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনকালে এমন মন্তব্য করেন । এ সময় স্থানীয় ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার মাতুব্বরকে ঘটনার জন্য দায়ী করেন এবং তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, যদি আফছার চেয়ারম্যান এই সমাজে সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে চায়, তাহলে তাকে দলমত নির্বিশেষে মিলেমিশে চলতে হবে। আর যদি এ ধরনের অন্যায় কাজ করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় নেব।

স্থানীয় বিএনপি নেতা মিন্টু মিয়াকে নিরাপদ দাবি করে তিনি বলেন, মিন্টুর দোষ ছিল রোজার মাসে বিএনপির ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়া। এ কারণে নিরাপরাদ লোকের বাড়িতে হামলা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান। এছাড়া এ ঘটনা সাথে দলীয় নেতা কর্মীরা কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার কথা জানান।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ২০টি বসতঘর ভাঙচুরসহ দুটিতে আগুনও দেয়া হয়। এছাড়া আহত হন ২৫ জন। এ ঘটনায় এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্যা।

বিভাগ : বাংলাদেশ