ভূল পদ্ধতি থেকে সরে মশক নিধনে বিশেষ অভিযান শুরু ডিএনসিসির
১৯ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫২ পিএম
গত ৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে নগর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, বর্তমানে মশা মারতে ভুল পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে, এতে মশা মরে না। শিগগিরই আধুনিক পদ্ধতিতে এলাকাভিত্তিক মশার প্রজাতি নির্ণয় আচরণ গবেষণা করে ওষুধ প্রয়োগ করতে ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। আপাতত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে তাদের ল্যাব কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।
এরই অংশ হিসেবে রোববার (১৯ মার্চ) সকালে ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন মিরপুরের বাইশটেকি এলাকায় সপ্তাহব্যাপী এ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। শুরু হওয়া বিশেষ এই অভিযান চলবে ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিএনসিসি জানায়, শুষ্ক মৌসুম শুরুর কারণে ইতোমধ্যেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কিউলেক্স মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিউলেক্স মশার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে মশক নিয়ন্ত্রণে১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী (শুক্রবার ব্যতীত) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযানের উদ্বোধনে অংশ নিয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমে ৪০০ X ৪০০ গ্রিড পদ্ধতিতে প্রতি ওয়ার্ডকে ৬ ভাগে ভাগ করে প্রতি এক ভাগে এক দিন নিবিড়ভাবে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ কার্যক্রমে পূর্বে শনাক্তকৃত মশার প্রজননস্থল হিসেবে চিহ্নিত সকল হটস্পটে ব্যাপকভাবে কীটনাশক প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হটস্পট অপসারণ করা হবে।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রতিদিন মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। এখন বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই আমাদের রুটিন কাজের পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপি বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। এই বিশেষ অভিযানের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন করা। জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণ সচেতন হলে এবং দায়িত্ব পালন করলেই আমরা মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
এসময় ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা বলেন, মিরপুরের বাইশটেকি এলাকায় বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করলাম। একটি নির্মাণাধীন ভবনে ফাউন্ডেশনের জন্য কয়েকটি গর্ত খুঁড়েছে এবং প্রতিটি গর্তে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় অসংখ্য লার্ভা পেয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনদিন সময় দিয়েছে এগুলো নিয়ম মেনে ব্যবস্থাপনা করার জন্য। ভবন মালিককে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে যেন পানি না জমে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ