ওয়াজ মাহফিলের মঞ্চে যোগ্য আলেমদের দেখতে চান মুফতি মনিরুজ্জামান রাহমানী
১৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:২৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫২ পিএম
সারাদেশে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল করে ইতোমধ্যেই আলোচিত হয়েছেন মুফতি মনিরুজ্জামান রাহমানী। বিষয়ভিত্তিক আয়াতের তাফসীর, বর্তমান প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত সমস্যার বিশ্লেষণ এবং এর থেকে উত্তরণের পথ-পদ্ধতি নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেন তিনি। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করার কারণে তিনি বেশি প্রশংসিত হন।
মুফতি মনিরুজ্জামান রাহমানী বলেন, দেশের যুবকরা গান-বাদ্য বাদ দিয়ে আশাতীতভাবে ওয়াজ মাহফিলের প্রতি ঝুঁকছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় বিষয়। তবে, এটাকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে কিছু সুরেলা বক্তা। তারা গতানুগতিকভাবে মাদরাসায় পড়াশোনা করেনি। কোরআন হাদিসের গভীর জ্ঞান অর্জন করেনি। শুধু একটু কণ্ঠ ভালো হওয়ায় তারা প্রচুর মাহফিল পাচ্ছে।
মাওলানা রাহমানী বলেন, এসব বক্তারা তো জ্ঞান অর্জন করেনি। তাই স্টেজে বসে কোরআন হাদিসের কথা বাদ দিয়ে কেচ্ছা কাহিনি বলে ওয়াজ মাহফিলের পুরো সময় শেষ করে দেয়।
তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিলের এমন অবস্থা এটা কিন্তু মজার কথা নয়। বরং হতাশার কথা। দেশে এসব ওয়াজ মাহফিলে যদি যোগ্য আলেমরা কথা বলতেন তাহলে সমাজ সংস্করণে ব্যাপক ফলপ্রসূ হত।
মাওলানা মনিরুজ্জামান রাহমানী বলেন, এ ক্ষেত্রে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজকরা ব্যবস্থা নিতে পারেন। তারা আয়োজক কমিটির মধ্যে তাদের এলাকার শীর্ষ আলেমদের রাখবেন। তাদের সাথে পরামর্শ করে বক্তা দাওয়াত দিবেন। আশা করা যায় এতে সুফল আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, মুফতি মনিরুজ্জামান রাহমানী ১৯৯৯ সালে লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছের কালমাটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। প্রাথমিক পড়াশোনা নিজ গ্রামের স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অতঃপর পবিত্র কোরআনের হিফজ শেষ করে দেশের প্রসিদ্ধ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) এবং উচ্চতর ফিকহ (ইফতা) সম্পন্ন করেন। এ ছাড়াও ঢাকা আলিয়া থেকে দাখিল আলিম ও ফাজিল সম্পন্ন করেন। মুফতি মনিরুজ্জামান বর্তমানে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তাফসীর বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন।
মুফতি মনিরুজ্জামান গত ১৮ ডিসেম্বর ছুটিতে দেশে এসেছেন এবং এ সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দ্বীনি প্রোগ্রাম করছেন। হাল সময়ে ভারতের কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি ওয়াজ মাহফিল করছেন। আগামী ২১ মার্চ তিনি পুনরায় মিশর ফিরে যাবেন বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ