ঢাকাবাসীকে জলমগ্নতা থেকে রক্ষায় পূর্ণ প্রস্তুতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে: মেয়র তাপস
২২ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম
ঢাকাবাসীকে জলমগ্নতার দুর্দশা থেকে রক্ষা করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পূর্ণ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে নগরীর যাত্রাবাড়ীস্থ ধলপুর আউটফল এলাকায় কেন্দ্রীয় যানবাহন বিরামাগার (মটর গ্যারেজ) এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা নর্দমাগুলো পরিষ্কার করছি। ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে খাল ও নর্দমাগুলো পাওয়ার পর থেকে আমরা সূচি অনুযায়ী বছরের প্রথম থেকেই এগুলো পরিষ্কার আরম্ভ করি। যাতে করে জলাবাদ্ধতা না হয়। আপনারা দেখেছেন, এরই মাঝে বৃষ্টি হয়েছে কয়েক পসলা। তাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোথাও কোনও জলমগ্নতা হয়নি। এজন্য আমাদের যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সেগুলো আমরা করে চলেছি। যাতে করে আগামী বর্ষা মৌসুমে আমরা পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকতে পারি। আমাদের লক্ষ্য, ঢাকা শহরে অতিবৃষ্টি হলেও আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যেই জলমগ্নতা বা জলবদ্ধতা নিরসন করতে পারি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারি।
কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ বিরামাগার সম্পর্কে অবগত করে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, এই জায়গাটায় ১৫ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগতরা দখল করে রেখেছিল। আমরা সেটা পূর্ণভাবে দখলমুক্ত করেছি। এর মধ্যে পাঁচ একর জমিতে আমাদের যারা কর্মচারী তাদেরকে এবং তেলেগু সম্প্রদায়ের ১২৬টি পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। বাকি ১০ একর সাত শতাংশ জমিতে আমাদের সকল যান-যন্ত্রপাতি, গাড়ি রাখার জন্য একটি আধুনিক বিরামাগার স্থাপনের কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। এটা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে। এখানে সর্বমোট ৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গাড়ি ও যান-যন্ত্রপাতি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, এর মাধ্যমে টাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সকল গাড়ি, যান-যন্ত্রপাতি রাখতে আর কোনও অসুবিধা হবে না। মেরামত, ধোয়ামোছার জন্য আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা এখানে থাকবে। এখন আমাদেরকে অনেক গাড়িই বাইরে রাখতে হচ্ছে, রাস্তার উপর রাখতে হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে হচ্ছে। (কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ নির্মাণ সম্পন্ন হলে) এটা আর হবে না। এককভাবে একটি কেন্দ্রীয় বিরামাগারে গাড়ি রাখার সংস্থান হবে এবং এর মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরও বলেন, এখানে যে তেলেগু সম্প্রদায় রয়েছে তাদের মধ্যে যদিও ১২৬টি পরিবার আমাদের কর্মচারী না। তারপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও আমাদের প্রায় ৮০০ মতো কর্মচারী আছে, তাদেরকেও আমরা এই পাঁচ একরে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন, এখানে অনেকগুলো ভবন করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য এখানে আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান ও নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ৫ একর জমিতে নতুন আবাসিক ভবন হবে। সেখানে আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীদের বরাদ্দ দিব।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ