কালকিনিতে ক্ষতিপূরণের দাবীতে দালালের বাড়ি ঘেরাও
৩০ মার্চ ২০২৩, ০২:০৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৫ পিএম
লিবিয়া থেকে ইতালি নেয়ার কথা বলে ৩প্রবাসিকে জিম্মিকরে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর রাজদি গ্রামের শাজাহান ফকিরের ছেলে লিবিয়া প্রবাসি সাইদুল ফকিরের বিরুদ্ধে। আর প্রতারনার শিকার হওয়া প্রবাসিদের পরিবারের লোকজন আজ(বৃহস্পতিবার) সকালে ক্ষতিপূরণের দাবীতে দালাল সাইদুল ফকিরের গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করেছে। তবে সাইদুল ফকিরের এক আত্মীয় এসে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিলে ঘেরাও কর্মসূচী স্থগিত করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। সাইদুল ফকিরের মা হাসিনা বেগমের দাবী ভূক্তভোগী ঐ ৩প্রবাসির সাথে তার ছেলে সাইদুলও দালাল ধরে লিবিয়া থেকে ইতালি যেতে গেলে সবাই বিদেশী একটি চক্রের হাতে পড়ে এবং সবাই ঐ চক্রকে মুক্তিপন দিয়ে মুক্ত হয়।’গ্রামবাসী ও ভূক্তভোগী পরিবার জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর রাজদি গ্রামের শাজাহান ফকিরের ছেলে লিবিয়া প্রবাসি সাইদুল ফকিরের সাথে লিবিয়া বসে পরিচয় ঘটে কালকিনি পৌর এলাকার কাশিমপুর গ্রামের আজাহার ঘরামির ছেলে লিবিয়া প্রবাসি রবিন ঘরামি(২২), কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার চরলক্ষীপুর গ্রামের ইকবাল সরদারের ছেলে লিবিয়া প্রবাসি মোঃ আসলাম সরদার(২৩) ও ফরিদপুরের সিকদার কান্দা গ্রামের রহম মৃধার ছেলে লিবিয়া প্রবাসি সোহাগ মৃধা(২৫)’র। তখন সাইদুল ফকির তাদের ৪লক্ষ ৫০হাজার টাকায় লিবিয়া থেকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রলোভন দেখায়। আর সে’মতে ঐ ৩প্রবাসির পরিবার বাংলাদেশে থাকা সাইদুলের মা হাসিনা বেগম, ভাই সাইফুল ফকির ও স্ত্রী ইয়াছমিন বেগমের কাছে টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু বিধি বাম লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় পথিমধ্যে একটি চক্রের হাতে জিম্মি হয় তারা। আর মুক্তিপন হিসেবে পত্যেকের জন্য দেয়া লাগে আরো ১১লক্ষ করে টাকা। গ্রামবাসী সোবহান সরদার, আলামিন সরদার, খলিল সরদার, রাশেদ ঘরামি, জসিম বয়াতি, আঃ হালিম, দেলোয়ার চৌকিদার, নুরমোহাম্মদ, শাহাদাত সরদার, ইলিয়াছ ঘরামি, আবুল চৌকিদার সহ ২০/২৫জন জানায়, মুক্তিপনের টাকা দিতে জিম্মি হওয়া পরিবারের ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে। এখন তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। আর এজন্য নিরুপায় হয়ে ক্ষতিপূরণের দাবীতে তারা দালাল সাইদুল ফকিরের বাড়ি ঘেরাও করছে।’এব্যাপারে সাইদুল ফকিরের মা হাসিনা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন ‘ রবিন ঘরামি, আসলাম সরদার ও সোহাগ মৃধার সাথে আমার ছেলে সাইদুলও দালাল ধরে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় বিদেশী একটি চক্রের হাতে পড়ে এবং সবাই ঐ চক্রকে মুক্তিপন দিয়ে মুক্ত হয়। তাদের মতো আমাদেরও ১১লক্ষ টাকার বেশি গেছে সাইদুলকে মুক্ত করতে। তারা আমাদের কাছে এসে হুমকী ধামকী দেয় কিন্তু আমরাতো কারো কাছে বলতেও পারছিনা।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিমানবন্দরে নরওয়ের নাগরিকদের হেনস্থা, একজনকে বেধরক মারধর
বিডিআর বিদ্রোহের বিচার : বকশীবাজারে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী
এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না : হাসনাত
গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হতে পারে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হবে না ডেনমার্ক
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রচণ্ড দাবানল, মৃত্যু ৫
চার দেশের ভূখণ্ড নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’ মানচিত্র প্রকাশ, প্রতিবাদের ঝড়
ইবিতে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপনে কমিটি গঠন
টিউলিপ মিথ্যা বলেছেন কি না, তদন্ত করবে ব্রিটিশ সরকার
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ২৩ জানুয়ারি
দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২
চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের!
সস্তায় মাংস রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছিল ব্রাজিল, না আসার কারণ জানালো রাষ্ট্রদূত
বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ বোমা হামলা, নিহত অন্তত ১৩
টিউলিপের উচিত এখন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো : দ্য টাইমস
ভয়ঙ্কর দাবানল : জীবন বাঁচাতে গাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন অ্যাঞ্জেলেসবাসীরা
সউদীতে ব্যাপক বন্যা, মক্কা-মদিনায় রেড অ্যালার্ট জারি
মালয়েশিয়ার পাম বাগানে প্রয়োজন ২ লাখ কর্মী
জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন
লন্ডনে চিকিৎসা শুরু খালেদা জিয়ার, যা জানা গেল চিকিৎসা সম্পর্কে