দক্ষিণাঞ্চলে সাড়ে ৬ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষে ২.৫৫ লাখ হেক্টরে আউশ আবাদ শুরু
০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০০ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১১ এএম
বরিশাল কৃষি অঞ্চলে চলতি খরিপ-১ মৌসুমে প্রায় ২.৫৫ লাখ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের মাধ্যমে সাড়ে ৬ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষে কৃষকরা কাজ শুরু করেছেন। গত ১৫ মার্চ বোরো আবাদ শেষ হবার পরে খরিপ-১ মৌসুমে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও এ বাড়তি দানাদার খাদ্য ফসলের আবাদ শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ১১ জেলায় গত বছরের ২ লাখ ৪ হাজার ৮৬৯ হেক্টরের স্থলে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৮৪ হেক্টরে আবাদ লক্ষ্য নির্ধারন করেছে কৃষি মন্ত্রনালয়। ফলে গত বছর উৎপাদিত ৫ লাখ ৭ হাজার টনের স্থলে এবার দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টন আউশ চাল উৎপাদনের আশা করছে মন্ত্রনালয়।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর-ডিএই’র দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, এবার দেশে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪১ হেক্টরে আউশ আবাদের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টনেরও বেশী চাল উৎপাদনের লক্ষ্য অনুমোদন করেছে কৃষি মন্ত্রনালয়। যার মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলাতেই ২.৫৫ লাখ হেক্টরে আবাদ লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। যা থেকে উৎপাদন আশা করা হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখ টন। মুগডাল, তরমুজ ও আমনের মত আউশ আবাদ এবং উৎপাদনেও দক্ষিণাঞ্চল ইতোপূর্বে যথেষ্ঠ ভাল করলেও বিগত দুটি বছর খরিপ-১ মৌসুমে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের অভাবে কৃষকরা আউশ আবাদে কিছুটা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এবার তা থেকে কতটা উত্তরণ ঘঠবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে এবার আউশ আবাদ মৌসুম শুরুর সাথেই স্বাভাবিকের চেয়েবেশী বৃষ্টি লক্ষ করা যাচ্চে। পাশাপাশি সরকার কৃষক পর্যায়ে সার, বীজ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করছে। ফলে আবাদ লক্ষ অর্জনের ব্যাপারে আশাবাদী কৃষি মন্ত্রনালয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট-ব্রি’র বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রের মতে, দক্ষিণাঞ্চলে আউশ ধানের জাত ‘বিআর-৪৮’ এবং সাম্প্রতিক কালে উদ্ধাবিত আরেকটি উচ্চ ফলনশীল ‘বিআর-৯৮’ অত্যন্ত উপযোগী। এরমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের কাছে ‘বিআর-৪৮’ আউশ ধানটি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এরমধ্যে ইনব্রিড জাতের বিআর-৪৮’র গড় ফলন হেক্টরপ্রতি সাড়ে ৫ থেকে ৬ টন ধান। অপরদিকে সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত ‘বিআর-৯৮ ’এর গড় ফলন ৬ থেকে সাড়ে ৬টন পর্যন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্রি’র বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
বোরো ও আমনের মধ্যবর্তি সময়ে আউশের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টন দানাদার খাদ্য উদ্বৃত্ত দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তাকে আরো সংহত করা সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষিবীদ গন। তবে সে লক্ষে ব্রি উদ্ধাবিত সব উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানবীজ ও এর আবাদ প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছে পৌছাতে ডিএই’র যথাযথ ভ’মিকা পালনের তাগিদ দিয়েছেন কৃষিবীদগন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

দাগনভূঞায় সড়ক দুর্ঘটনায় মহিলা নিহত

টানা ১৫ ঘণ্টা ভাষণ, জেলনস্কির রেকর্ড ভাঙলেন মুইজ্জু

খাদ্য সম্পর্কিত জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে এবার কৃষকের জরিমানা দুই লাখ টাকা

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে হামলা পাকিস্তানি হ্যাকারদের!

জাককানইবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা সহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৩০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

ভারত-পাকিস্তান ভ্রমণে দেশের নাগরিকদের সতর্ক করল ব্রিটেন

হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ শহীদ মিনারে হাতে মশাল নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিষিদ্ধ জাল বিনষ্ট, জেলেকে জরিমানা

ডিজিটাল আইডেন্টিফিকেশন এন্ড ফ্যাক্ট চেকিং প্রশিক্ষণ নিলেন জেলা তথ্য কর্মকর্তারা

মারা গেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আবিদ আলী

ডা. জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তায় থাকছে যেসব ব্যবস্থা

কওমি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও কর্মদক্ষতা জাতিকে সমৃদ্ধ করবে ধর্ম উপদেষ্টা

ছাগলনাইয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবারকে জেলা জামায়াতের আর্থিক সহায়তা

এপ্রিল মাসের সেরার লড়াইয়ে মিরাজ

ঝিকরগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি

নালিতাবাড়ীতে গলায় লিচুর বিচি আটকে শিশুর মৃত্যু

দোয়ারাবাজারে ছুরিকাঘাতে শিশুর মৃত্যু