কক্সবাজারের উপকুলীয় এলাকায় মোখার আঘাতে প্রায় ১২ শ ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত
১৫ মে ২০২৩, ০৯:৫১ এএম | আপডেট: ১৫ মে ২০২৩, ০৯:৫১ এএম

গতকাল দুপুর ১২ টার পরে, সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার উপকূল জুড়ে তান্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এই তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি ছিল। অনেক ঘড় বাড়ি বিনষ্ট হয়েছে, ক্ষয় ক্ষতির পরিমানও বেশি। তবে আঘাতের কবলে পড়েছে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং, টেকনাফ পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, বাহারছড়া ইউনিয়ন, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী, পাটুয়ারটেক, সোনারপাড়া এলাকা। পালংখালী ইউনিয়নের বালুখস্লী থাইংখালী, তেলখোলা, বটতলী। রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, শীলের ছড়া, দোছড়ি, উখিয়া সদর, তুতুরবিল, ডেইল পাড়া, হাতি মোরাসহ অনেক এলাকা।সেখানেও ব্যাপক সংখ্যক ঘর ও গাছ ভেঙ্গে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম জানিয়েছেন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং, টেকনাফ পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, বাহারছড়া ইউনিয়নের গাছের উপর তান্ডব চালিয়েছে মোখা। এসব এলাকার ৩০ শতাংশ গাছ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া বহু ঘর ভেঙ্গে গেছে।
এর সংখ্যা নির্ধারণে কাজ চলছে মন্তব্য করে স্থানীয় সংবাদদাতা মাহমুদ জানান, সেন্টমার্টিন বাদ দিলে টেকনাফ উপজেলায় আরও হাজারের উপরে ঘর বাড়ি ভেঙ্গে গেছে, কিছু আংশিক ও কিছু পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসুর হায় মানুশগুলোর আর্তচিৎকারে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত।
উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের উপকুলবর্তী এলাকাসমুহ ভয়াবহ মোখার আঘাতের শিকার হয়েছে। তাছাড়া উখিয়া সদর রাজা পালং ইউনিয়ন, পালংখালী ইউনিয়ন, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের কাঁচা ঘর, মাঠের শাকসব্জি, পানের বরজ, গাছ গাছালী বিনষ্ট হয়েছে। কোন ইউনিয়নে কত পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের কাজ চলছে।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মোখার আঘাতে পালংখালী ইউনিয়ন দবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার কাচা ঘর বাড়ি, মাঠের ফসল, শাকসবজি, পানের বরজ, বসতবাড়ির গাছ গাছালী পড়ে গেছে বা গাভহের ঢাল পড়ে অনেকেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
উখিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ঘূর্নিঝড়ে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের সবধরনের সহযোগিতা করার আশ্বস্ত করেন।
এদিকে বেশকিছু গাছ ও ঘর ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, 'প্রাথমিক তথ্য মতে ব্যাপক সংখ্যক গাছ ভেঙ্গে গেছে। জেলায় ১২ হাজার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ঘর ২ হাজারের বেশি। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন মিলে ক্ষতির পরিসংখ্যা নির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এর সঠিক চিত্র পেতে সময় লাগবে। একই সঙ্গে জোয়ারের পানিতে নতুন করে বেড়িবাঁধের কিছু এলাকাও ভেঙ্গে গেছে বলে জানা গেছে। তা নির্ধারণেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে'।
কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, রবিবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। এরপর বৃষ্টির তীব্রতা বেড়েছে।
এদিকে কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া তিন লাখ মানুষ বিকাল ৫ টা থেকে আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। যদিও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, এত দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্র না ছাড়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও উন্নত হলে এদের ঘরে পৌঁছে দেয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

পাকিস্তানি সেনাকে আটক করল ভারত, সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ

সউদী আরব পৌঁছেছেন ২২২০৩ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু

পল্টনের সাব্বির টাওয়ারে আগুন চার ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

পুতিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সরাসরি না বললেন জেলেনস্কি

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা একদিন পেছালো

ইসরায়েলি নৃশংস হামলা অব্যাহত, গাজায় একদিনে নিহত ৩৯

মানিকগঞ্জে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

ছাতকে বন্ধু-বান্ধব ইউকে গ্রুপের সদস্যদের সংবর্ধনা দিল বিডিগ্রুপ

রাফিনিয়া-ফারমিনে বার্সার অনায়াস জয়

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মুক্ত গণমাধ্যম অপরিহার্য : অধ্যাপক তামিজী

গ্রিন রেলওয়ের জন্য ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার প্রকল্প

ভোলা সমিতি ঢাকা’র নতুন কমিটি

রানাপ্লাজায় রেশমা উদ্ধার ছিলো সাজানো নাটক : এম সাখাওয়াত হোসেন

টিসিবির ভুয়া কার্ড বাতিল করে স্মার্টকার্ড চালু করা হবে : না.গঞ্জে খাদ্য উপদেষ্টা

কাশ্মীরের ২৬ হিন্দু পর্যটককে দিল্লি সরকার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ

গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ৬ দিন পর মারা গেলো ১ বছরের আয়ান

ঢাবির প্রায় ৩০০ খ্যাতিমান গবেষককে সম্মাননা প্রদান

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

ব্যাংকের অভাবে হুন্ডির মাধ্যমে আসছে রেমিট্যান্স ইরাকের শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি