ফরিদপুরে প্রচন্ড তাপদাহে ঘন ঘন লোডশেডিং তাপদাহে জীবন বাঁচাতে কুকুর নামছে পানিতে

ফরিদপুর জেলা সংবাদাদতা

০৬ জুন ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

ফরিদপুরে প্রচন্ড তাপদাহে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মানবজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। কারো কোন শান্তি নাই। কি ঘরে কি বাইরে। পথে ঘাটে যে খানে পারছেন সেখানেই বসে পড়ছেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) বোয়ালমারী উপজেলার চৌরাস্তার পুকুরে প্রচন্ড তাপদাহ থেকে জীবন বাঁচাতে একটু স্বস্তি পেতে বোবা পোষা প্রাণী কুকুরও পানিতে
বসে থাকতে দেখাগেছে।

দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে বিপর্যস্ত দেশ। তা থেকে পিছিয়ে নাই ফরিদপুরের গোটা অঞ্চল। গভীর রাত পর্যন্ত থাকছে গরমের তেজ। কোন বিল্ডিং ভবনের প্লাটে থাকা যাচ্ছে না। ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ আসে যায় এমন অবস্হার শহর, উপশহর এবং গ্রাম গঞ্জের মানুষ দিশে হারা হয়ে পড়ছে। যাহারা বহুতল ভবনের মালিক এক তলা বা টিনের চালার মালিক সকলের এখন সহবস্থান। কারন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাথে সাথে পিঁপড়ার শারির মত বৃদ্ব আবাল বনিতা শিশু কিশোর সকল শ্রেনীর মানুষ ঘর থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এমন অবস্হান উপশহর ও গ্রামগঞ্জে লক্ষণীয়। এ যেন কষ্টের নিরব মিছিল বা পথ অবস্হান। যে সকল মা বোনরা সারা বছর পর্দা করেন তাদের রাস্তার পাশে বাড়ীর সামনে ঘাটে নদীর পাড়ে প্রতিদিনই এখন দেখাযায়। কথা চলছে সব জায়গায়, জ্বালানি সঙ্কটের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অর্ধেক সক্ষমতারও কম চলছে। এতে মধ্যরাতের পরও বিদ্যুতের চাহিদা তেমন একটা কমছে না; কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন রাত ১০টার পর থেকে কিছুটা কমতে থাকে। গত কয়েক দিন সর্বোচ্চ লোডশেডিং হচ্ছে মধ্যরাতের পর। যদিও পরিস্থিতি দিন-রাত সমান। এই পরিস্থিতি সারা দেশেতো আছেই বৃহওর ফরিদপুরের সব জায়গায় একই খবর। প্রচন্ড- গরমের মধ্যে চাহিদা বাড়তে থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো উন্নতি অসেনি। এতে লোডশেডিং পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দিনের কোনো কোনো জায়গায় ঘণ্টায় তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এরমধ্যে নতুন করে দুঃসংবাদ জ্বালানি সঙ্কটে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া। এতোদিন একটি বন্ধ থাকলেও গতকাল থেকে দ্বিতীয় হাফটি বন্ধের মাধ্যমে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর তাই এখান থেকে একটা বড় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সিস্টেমে। অপরদিকে নতুন করে কয়লার চালান না এলে ৪-৫ দিনের মধ্যে আবারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। এছাড়া বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে, লিকুইড ফুয়েল বা তরল জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রায় অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে।
উপরোল্লিখিত, বিষয়গুলো সমাজের যারা একটু সচেতন তারা সকলেই জানেন বলে শোনাযায়। উক্ত দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রই বৃহওর ফরিদপুরের খুব কাছে। এমন অবস্হা ঘটলে এই অঞ্চলটি একপবারেই মুখ থুবরে পড়বে। চরম অসহায় হয়ে পড়বে ছোট খাটো শিল্প কারখানগুলো।
মঙ্গলবার (৬ জুন জেলার) জেলার বোয়ালমারী উপজেলার চৌরাস্তায় মোড় পুকুরে একাকি কুকুর তাপদাহে যন্ত্রা সয্য করতে না পেরে জীবন বাঁচাতে পানিতে নামার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে গেলে সবগুলো লাফিয়ে উঠলেও একটি পানিতেই দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

বিভাগ : বাংলাদেশ