বারি আম-১৪ : ফল গবেষণার সাফল্য
১৩ জুন ২০২৩, ০২:০০ পিএম | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩, ০২:০০ পিএম
দেশে এখন মধুমাস চলছে, বাহারি ফলের সমাহার। আম, জাম, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ এমন কোন ফল নেই যে এমধু মাসে পাওয়া যায় না। আমের রাজা ল্যাংড়া পাঁকতে শুরু করেছে। দেশের ফলের তালিকায় নতুন দুটি জাত যুক্ত করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) এর রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র।
যার একটি রঙিন আমের জাত ‘বারি আম-১৪’, যার বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica। এটির উৎস সৌদি আরব। প্রয়োজনীয় গবেষণা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই জাতটি বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে। অন্যটি হলো স্থানীয় ফলসা ফলের জাত ‘বারি ফলসা-১’। যা Grewia asiatica নামে পরিচিত, ফলসা জাম পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অপ্রচলিত এই ফল দেশজুড়ে ছোট গাছে জন্মালেও এবারই প্রথম এটি দেশের একটি ফল হিসাবে স্বীকৃতি পেলো।
জাতীয় বীজ বোর্ড ৩১ ডিসেম্বর এ দুটি ফলের জাতের নিবন্ধনের সনদ দিয়েছে। সনদ দুটি চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে রাজশাহীতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন।
এই দুটি জাতের মাধ্যমে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে দেশের ফল ভান্ডারে মোট নয়টি জাতের ফলের সংযোজন হলো।
ড. আলিম বলেন, দেশে এখন মোট ৩৬ প্রকারের ফলের ৯২টি জাত নিবন্ধিত আছে। ‘আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি যে এই ফলগুলি স্বাদ, পুষ্টির মান এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনার জন্য কৃষক এবং সবার কাছে জনপ্রিয় হবে,’ বলেন তিনি।
২০১০ সালে, বারির বিজ্ঞানী গোলাম মর্তুজা সৌদি আরব থেকে একটি আমের গাছের ডাল সংগ্রহ করে রাজশাহীর গবেষণা কেন্দ্রে দেন।
কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ডালের কলম করে দশটি চারা গাছ তৈরি করেন। চারা গাছগুলোর মধ্যে একটি মাত্র গাছ বাঁচানো যায়।
ড. আলিম বলেন, সেই একটি গাছ থেকে কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা গত দশ বছরে মোট পাঁচটি মাতৃ গাছ তৈরি করেছেন। এগুলোই বারি আম-১৪। এই গাছগুলো প্রতি বছর জুলাইয়ের শেষে ফল দেয়। ফলগুলি পাকার সময় আকর্ষণীয় লাল খয়েরি রঙ হয়। আয়তাকার এই আমের প্রতিটির ওজন প্রায় ৫৬৯ গ্রাম। এর ৭৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ খাওয়া যায় এবং এতে ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ মিষ্টতা আছে।
এর ফলন হেক্টর প্রতি ১৪ টন হবার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে ফলসা গাছ নিয়মিত মে এবং জুন মাসে ফল দেয়। এই ছোট গোলাকার ফলগুলি প্রায় শুন্য দশমিক ৬৬ গ্রাম ওজনের হয় এবং পাকলে বেগুনি হয়। এর মিষ্টতার পরিমাণ ২৪ শতাংশ। প্রতিটি গাছে বছরে ২০ কেজি ফল ধরে। ড. আলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখন ফলের জাতগুলোর সম্প্রসারণের কাজ করবো।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিচার শেষ হওয়ার পূর্বে আ.লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম-নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে: রাশেদ খান
ফরিদপুরের নিজ বাড়িতে মামা-ভাগ্নের দাফন সম্পন্ন
পেকুয়ায় বৃহত্তর তাফসির মাহফিল ঘিরে উপজেলা হলরুমে সর্বশেষ প্রস্তুতির বৈঠক
প্রতিবেশী দেশ থেকে ইসকনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করেছে : জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমান
র্যাবের অভিযানে জাহাজে সাত খুনের ঘটনার হোতা গ্রেফতার
গোপন তথ্য ফাঁস করছেন পুলিশ কর্মকর্তারাই
ব্রাহ্মণপাড়ায় আতঙ্কের আরেক নাম অবৈধ ট্রলি ট্রাক্টর
টেস্টে ফেরা আরও দীর্ঘ হচ্ছে রশিদের
দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ মুসলমান, ২ ভাগ অন্য ধর্মাবলম্বী: বিশ্ব জরিপ সংস্থা
কাপ্তাইয়ে চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে শুভ বড় দিন উদযাপন
ক্ষমতাচ্যুত আ.লীগ জনগণ থেকে সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন ছিল: আমিনুল হক
চার দিন ধরে স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ, থানায় অপহরণের অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
তোরেসকেও হারাল বার্সা
সিলেটে বর্ণিল আয়োজনে বড়দিন উদযাপন
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় গফরগাঁওয়ের ২ যুবক নিহত
বরগুনা প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন: সোহেল হাফিজ সভাপতি, সালেহ্ সম্পাদক
চাঁদপুরে জাহাজে নিশংস হত্যাকাণ্ড: ৭ দিনের রিমান্ডে ইরফান
টঙ্গীতে হত্যার প্রতিবাদে সোনারগাঁওয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ
মাদারীপুরের শিবচরে ঘর পেয়ে খুশি বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি আলেকজান বেগম