অপরিকল্পিত চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল লাইন যেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্য মরণ ফাঁদ!
০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৩৬ পিএম | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৩৬ পিএম
চট্টগ্রাম থেকে পর্যটননগরী কক্সবাজার পর্যন্ত একটি পরিকল্পিত রেল লাইন হোক এটা সময়ের দাবির সাথে, সবার দাবিও ছিল। এটার জন্য অনেক লেখালেখি হয়েছে, অনেকেই শ্রম দিয়েছে, সংগ্রাম করেছে। সেই সব লেখালেখি, শ্রম ও সংগ্রামের বাস্তব ফসল আমাদের কাছে দৃশ্যমান। আগামী সেপ্টেম্বর অক্টোবরে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল লাইন উদ্বোধন হবার অপেক্ষায়। কিন্তু অপরিকল্পিত রেল লাইনের কারনে দক্ষিন চট্টগ্রামের উপজেলা সমুহ বর্তমানে মারাত্মকভাবে জলাবদ্ধতা ও বন্যায় নিমজ্জিত! চট্টগ্রাম কক্সবাজার সংযোগ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কয়েকদিন হচ্ছে। আজকে শত শত ঘরবাড়ি, গবাদি পশু-পাখি, শস্যমাঠ, তরিতরকারির ক্ষেতসহ হাজার হাজার মানুষ বন্যায় পানির নিচে। তারা আজ আশ্রয়হীন। তারা অবর্ননীয় খাদ্য, পানীয় জল ও নিরাপত্তা সংকটে। তাদের জীবদ্দশায় এরুপ পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়নি। আজ এরুপ অবস্থার অন্যরালে অপরিকল্পিত চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল লাইন সড়ক।
ভুক্তভুগীদের ভাষ্য-আমরা কোনভাবেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিরোধী নয়। আমরা পরিবেশ, প্রতিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপের বিরোধী- আমরা ইকোসিস্টেম, বাস্তুসংস্থান ও প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে অপরিকল্পিত উন্নয়নের বিপক্ষে।
ভুক্তভুগী অনেক ময়-মুরব্বিদের বলতে শুনেছি, অন্তত গত ৫০/৬০ বছরেও এমন বন্যা তাদের চোখে পড়েনি। হঠাৎ অ-অনুমেয়৷ অপ্রত্যাশিত বন্যায় সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েছে।নিমিষেই সাতকানিয়া-চন্দনাইশ-চকরিয়া-ঈদগাঁ ও রামু এলাকার ঘতবাড়ি, আবাসস্থল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ হাজার হাজার নারী পুরুষ পানিবন্দী। তারা অবর্ননীয় দু:খে কষ্ঠে কালাতিপাত করছে। তারা আজ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়ে প্রতিকুল পরিবেশ ও বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অপরিকল্পিত রেললাইনের উভয় পাশে পানি আটকে রীতিমতো অভিশাপ হয়ে ওঠেছে সেই সাধের রেল লাইন। তার সাথে সমান তালে রয়েছে নদী-নালা, খাল-বিল, ভরাট, অপরিকল্পিত নগরায়ন। নদী, খাল ও প্যারাবন দখলতো এখন রীতিমতো উৎসবের আবহ সৃষ্টি করেছে!
ভবিষ্যতে অভিশাপ হয়ে উঠবে মাতামুহুরি, বাঁকখালী নদী। বাঁকখালী নদীর উপর ভরাট করে তৈরি করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দিত বিমানবন্দর! যে বিমান বন্দরে বিমান গুলো সমুদ্রের পানি ছুঁয়ে উড্ডয়ন-অবতরণ করবে!
অন্যদিকে মহেশখালীতে চলছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ডীপ সী পোর্ট, কক্সবাজার সদরে পাহাড় কেটে আবাসস্থল নির্মান, বিভিন্ন সরকারি বাহিনীর স্থাপনা তৈরি তো আছেই। এদিকে উখিয়া টেকনাফের বনভুমি, পাহাড়, জীব বৈচিত্র্য, প্রান প্রকৃতি ধ্বংসের কথা তো বলাই বাহুল্য! ১৪ লক্ষ রোহিঙ্গা বিস্ফোরণ, সাথে আছে মাথার উপর ৭ লক্ষ মেট্টিক টনের কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস, ভু-উপরিস্থ পানির স্তর ইতিমধ্যে গিলে খেয়ে এখন ভূ-ভ্যন্তরস্থ পানিও তুলে সাবাড়ের দিকে! যেকোন মুহুর্তে উখিয়া টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা সমুদ্র গর্ভে বিলীন হতে ঢের বাকী নেই!!
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান