দীর্ঘ ৩৩ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না সিলেটে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামী মাসুকের

সিলেট ব্যুরো

১১ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪০ পিএম | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪০ পিএম

১৬ বছর বয়সে খুন করে করেছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘ ৩৩ বছরের পলাতক জীবন। পলাতক জীবনে ভারত হয়ে সৌদি আরব। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। ৫৬ বছর বয়সে এসে বন্দি হলেন পুলিশের খাঁচায়। ঘটনাটি সিলেট গোলাপগঞ্জের লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামে। চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার আসামী ছিলেন গ্রামের চরন মিয়ার পূত্র মাসুক মিয়া। তার হাতে খুন হন আব্দুস সালাম। আব্দুস সালাম একই গ্রামের হাছন আলীর পূত্র। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায়। মামলা (নং- ০৮(০৪)৯০), জি.আর মামলা নং- ৩৯/৯০, দায়রা নং ২৯/৯১। এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজার প্রাপ্ত হন মাসুক মিয়া।

জানা যায়, ১৯৯০ সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার পুরকায়স্থ বাজার হইতে করগাঁও যাওয়ার পথে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে আব্দুস সালামকে নির্মমভাবে হত্যা করেন মাসুক মিয়া। হত্যার পর কৌশলে চট্রগ্রাম পালিয়ে যান তিনি। সেখানে ৫/৬ মাস থাকার পর চাচা আরজদ আলীর কাছে চলে যান ভারতে। আরজদ আলী পাকিস্থান আমল থেকেই অবস্থান করছিলেন ভারতে। এক পর্যায়ে কর্মের সন্ধানে পাড়ি জমান সৌদি। এমধ্যে ছদ্মবেশে ভারত হয়ে দেশে এসে ২/১ মাস অবস্থান করে আবার চলে যেতেন নিজ গন্তব্যে। কিন্তু সত্যর মৃত্যু নাই, সত্যের মুখোমুখি হতে হবে, এটাই সার্বজনীন। সেই সার্বজনীনতা ব্যর্থ হয়নি মাসুকের বেলায়ও। কয়েকদিন পূর্বে বোনের কুলখানিতে অংশগ্রহনের জন্য দেশে আসেন তিনি। বোরকা পরিধান করে এলাকায় প্রবেশ করে তিনি। খবরটি পৌছে যায় গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশে। এরপর পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই লুৎফুর রহমানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে তাকে। গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম।

বিভাগ : বাংলাদেশ