বান্দরবানে টানা বর্ষণ ও পাহাড় ধসে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ। সাঙ্গু নদী পথে বোট চলাচল করছে।
১২ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩৬ পিএম | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩৬ পিএম
বান্দরবানে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রুমা ও থানচি উপজেলা সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে । বিধ্বস্ত সড়কে কোথাও কোথাও রাস্তার চিহ্নও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে উপজেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উক্ত উপজেলাদ্বয়ে জরুরি ভিত্তিতে চলাচলের জন্য বান্দরবান পৌরসভার ক্যাচিংঘাটা থেকে সাঙ্গু নদী থেকে বোট চলাচল করা হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন ক্ষত চিহ্ন ভেসে উঠছে।
স্থানীয়রা জানায়, থানচি ও রুমা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে রাস্তা। থানচি সড়কের বলিপাড়ার আগে বারো কিলোমিটার এলাকায়, বিদ্যামনি পাড়া, ভিনতে পাড়া, শীলাঝিড়ি, প্রাতুই পাড়া, পোড়া বাংলোসহ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুমা সড়কের ওয়াইজংশনের কয়েক কিলোমিটার দূরে, মুরুং পাড়ার মুখেসহ সড়কটির কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। সকড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেঙে গেছে রাস্তাও। সড়ক বিধস্ত হওয়ায় গত সোমবার থেকে রুমা ও থানচি উপজেলার সাথে চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়কের কোথাও পঁচিশফিট, আবার কোথাও পঞ্চাশ ফিট পর্যন্ত সড়ক ধসে পড়েছে কয়েকশ ফুট পাহাড়ের নীচে।
স্থানীয় বাসিন্দার মংচানু বলেন, থানচি সড়কের বেশকটি স্থানে বৃষ্টিতে সড়ক ধসে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে চারদিন ধরে। প্রয়োজনীয় কাজ থাকার পরও বান্দরবান যেতে পারছে না লোকজন। চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলাবাসীরা। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দার থোয়াই হ্লা মং বলেন, রুমা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়েছে পাহাড়। পায়ে হেঁটে যাওয়ারও ব্যবস্থাও নেই কোথাও কোথাও। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় থানচিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে। সরবরাহের অভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে।
থানচি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন মিয়া বলেন, থানচি সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্য বিদ্যামনি পাড়া, ভিনতে পাড়া, শীলাঝিড়ি, প্রাতুই পাড়া কয়েকটি স্থানে সড়কে বেশি ক্ষতি হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। কবে নাগাদ রাস্তাটি স্বাভাবিক হবে বলা মুশকিল।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, পাহাড় ধস ও বন্যায় সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারমধ্য রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা এবং বান্দরবান–চট্টগ্রাম ও বান্দরবান–রাঙামাটি সড়কগুলোর ক্ষতির পরিমান বেশি। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে কাজ শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। মোটামুটি সবগুলো রুটে যানবাহন চলাচল করতে পারছে। শুধুমাত্র রুমা ও থানচি উপজেলা সড়ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে সড়কে ক্ষতির পরিমান এখনো নির্ণয় করা হয়নি। পানি নেমে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন ভেসে উঠছে।
ছবি : বান্দরবানে পাহাড় ধসে রুমা ও থানচি সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন স্থানে ক্ষতির চিহ্ন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি : দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
মাঘের শুরুতে আবার আসছে শৈত্যপ্রবাহ
আজহারীর মাহফিলের আগের রাতেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ
আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে করাচিতে
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে বিদেশি অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
ফ্যাসিস্টের দোসর সোহানা সাবা পেল ভারতে বড় দায়িত্ব
সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে অসন্তোষ বিএনপির
মাগুরার শ্রীপুরে কৃষক দলের বিশাল কৃষক সমাবেশ
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমল
নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজারসহ ৬ জন গ্রেফতার
টিউলিপের পতন, এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ট্রাম্পের ফোন
সিরিয়ায় আটক নাগরিকদের দেশে বিচার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফ্রান্স
বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন : ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার
আখাউড়া কালন্দি খালে বইবে জলধারা
টঙ্গীতে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেফতার ১৩
৩৩ জিম্মির বিনিময়ে ১ হাজার ৯৭৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল
যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
আল-শারা ও শেখ মোহাম্মদের ঐতিহাসিক টেলি-আলোচনা