দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: লিফলেট বিতরণ কালে ১২ দলের নেতারা

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৩ মে ২০২৪, ০২:২২ পিএম | আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০২:২২ পিএম

দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, আধিপত্যবাদ, আগ্রাসন, গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, রাওয়াল পিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল, দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গাজীপুর জেলার গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তারা এসব কথা বলেন।
জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০ ওয়াগান রেলগাড়ি ভর্তি করে ২৭০০ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় ভারত, ১০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যশস্য ধান, চাল, গম লুট করে, ৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সামগ্রী পাচার করে, ১.৫ ব্রিলিয়ান ডলারের পাট চুরি করে নিয়ে যায় বাংলাদেশের শিল্প কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে আগরতলায় পাঁচটি নতুন শিল্প-কারখানা তৈরি করে । ভারতে বাংলাদেশী জাল টাকা ছেপে দেশের বাজার সয়লাব করে দেয়।এভাবে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই শোষণ করে আসছে।

নেতারা বলেন, আমরা বিশ্ব সংবাদ মাধ্যম ও দেশের সংবাদ মাধ্যমে দেখছি ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য মালদ্বীপ নেপাল ও শ্রীলঙ্কাও ভারতের পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে।তাদের দুইটি ওষুধে ক্যানসারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

বিগত ১৬ বছরে সীমান্তে ১২০০ এর অধিক নিরীহ নাগরিককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তে ঝুলে থাকে তখন মনে হয় সমগ্র বাংলাদেশ আজকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে।নেতারা বলেন যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা আরো বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা,তিস্তা,টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধ হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনোদিন গ্রহণ করবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবো। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন গণসচেতনতা তৈরি লক্ষে ভারতীয় পণ্যের বিষক্রিয়ার কথা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণে উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ মহাসচিব আবু হানিফ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, যুগ্ম মহাসচিব চাষী এনামুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আমিন, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, সহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

 


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জাতীয় ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা, জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই

জাতীয় ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা, জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই

সউদির সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর ৬ মসজিদে ঈদুল আজহা উদযাপন

সউদির সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর ৬ মসজিদে ঈদুল আজহা উদযাপন

বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা  উপজেলার ১৩ টি গ্রামে  ঈদুল আজহা উদযাপন

বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা  উপজেলার ১৩ টি গ্রামে  ঈদুল আজহা উদযাপন

সেন্টমার্টিন এর পরিস্থিতি পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

সেন্টমার্টিন এর পরিস্থিতি পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে পুলিশ সদস্য, নেটদুনিয়া উত্তাল

সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে পুলিশ সদস্য, নেটদুনিয়া উত্তাল

রাজধানীতে ঈদের দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

রাজধানীতে ঈদের দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

নলছিটিতে সিএনজি-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

নলছিটিতে সিএনজি-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

নিষিদ্ধ হ্যালোসিন পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা

নিষিদ্ধ হ্যালোসিন পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা

কলাপাড়ায় ৭ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ উদযাপন করছেন আগাম ঈদ

কলাপাড়ায় ৭ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ উদযাপন করছেন আগাম ঈদ

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক: উত্তরের পথে স্বস্তির ঈদযাত্রায় বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক: উত্তরের পথে স্বস্তির ঈদযাত্রায় বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

প্রেসক্রিপশনে ভুল ওষুধ লিখে সমালোচনার মুখে ডাক্তার

প্রেসক্রিপশনে ভুল ওষুধ লিখে সমালোচনার মুখে ডাক্তার

ইসরাইলি সংগঠনে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ইসরাইলি সংগঠনে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেন বেবী নাজনীন

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেন বেবী নাজনীন

সউদি আরবসহ যেসব দেশে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

সউদি আরবসহ যেসব দেশে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

গাজায় হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত

গাজায় হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত

ঢাকা বোট ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়লেন বেনজীর

ঢাকা বোট ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়লেন বেনজীর

প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মো‌দি

প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মো‌দি

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১০ কিলো‌মিটার যানজট

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১০ কিলো‌মিটার যানজট

২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫১ হাজার যানবাহন পারাপার : টোল আদায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ

২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫১ হাজার যানবাহন পারাপার : টোল আদায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ

নোয়াখালীতে নিজ ফার্মেসী থেকে ব্যাবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নোয়াখালীতে নিজ ফার্মেসী থেকে ব্যাবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার