পর্যটকে জমজমাট কক্সবাজার -পর্যটক সেবা আরো উঁচুতে নিয়ে যেতে কাজ করছে জেলা পুলিশ

কক্সবাজার ব্যুরো

১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পিএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

পর্যটকে জমজমাট এখন কক্সবাকার। পর্যটকরা ভারত বিমুখ হওয়ায় নতুন মোড় নিয়েছে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে। একদিকে বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের উস্কানিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র অব্যহত রয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের মানুষ দারুন ভাবে ক্ষুব্ধ ভারতের উপর। তাই এই পর্যটন মৌসুমে হাজার হাজার বাংলাদেশী ভারত ভ্রমণ করার কথা থাকলেও তারা আর ভারত যাচ্ছেন না। এই সুযোগে অতীতে ভারতমুখী

পর্যটকরা এখন কক্সবাজার ভ্রমনে আসছেন। এটি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি ভালো সুযোগ বলা যায়।

এদিকে সাপ্তাহিক দুদিন ছুটির সাথে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে টানা বন্ধ থাকায় লাখ লাখ পর্যটক আছেন কক্সবাজারে। খবর নিয়ে জানা গেছে, মধ্য ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঝারি হোটেল থেকে তারকা হোটেল পর্যন্ত কোন হোটেলে সিট খালি নেই বুকিং নিতে পারছেন না তারা।

ব্যাপক পর্যটক আগমনের এই সুযোগে জমজমাট হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য। হোটেল মোটেল, রেস্টুরেন্ট শুঁটকির দোকান, আচারের দোকান সহ সৈকতে ছাতা চেয়ার ব্যবসায় এখন জমজমাট অবস্থা। এই সুযোগে ভালো আয় হচ্ছে অটো রিক্সা ও টমটম চালকদের।

জমজমাট পর্যটক আগমনের সুযোগে হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং বাইক চালকেরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করে পর্যটকদের পকেট কাটতে না পারে মত সতর্ক রয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে অতীতে ফ্যাসিবাদের সময় হোটেল মোটেল ও রেস্টুরেন্টে অতিরিক্ত খাবারের মূল্য আদায় করায় কক্সবাজার বিমুখ হয়ে পড়েছিলেন পর্যটকরা।

তবে এসব বিষয়গুলো কক্সবাজার থেকে পর্যটকদের মুখ ফেরাতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেই প্রমাণিত হয়েছে। এখন কোন ব্যবাসয়ীরাও এধরণের নৈরাজ্যের মাধ্যমে
পর্যটকদের কক্সবাজার বিমুখ করতে চাননা।

পর্যটন ব্যবসায়ী টুয়াক নেতা আনোয়ার কামাল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ থাকায় পর্যটকরা সবাই কক্সবাজারে ছুটি কাটাতে আসছেন।

এ প্রসঙ্গে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস সমিতি নেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম শিকদার বলেন, ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্ববর্তী সরকারের সময় ভারতের নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে দেশের ভ্রমণ পিপাসুরা ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে তারা কক্সবাজার ভ্রমণে আসছেন। এটি কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য সুখবর বলা যায়।

বৃহষ্পতিবার কক্সবাজার হোটেল হোটেল জোনের বেশ কিছু হোটেল ঘুরে জানা গেছে ব্যাপক পর্যটক আগমনের খবর। হোটেল মালিকরা জানান, মধ্য ডিসেম্বর থেকে হোটেলে বুকিং বেড়ছে। এই ধারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

গত সপ্তাহে কক্সবাজারের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেছেন পর্যটন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ। তিনি কক্সবাজারের পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারি এবং বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ রহমতউল্লাহ বলেন, স্থানীয় অধিবাসীসহ কক্সবাজার ভ্রমণকারী লাখ লাখ পর্যটক সেবায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তথা কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও টুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক যাচ্ছে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ শুধু নিরাপত্তাই নয়, কিছু টেকনোলজি বেইজড সেবা চালুও করেছে। এর মধ্যে অন্যতম অনলাইন বাসটার্মিনাল, কক্স ক্যাবসহ অনলাইন হোটেল বোর্ডার ইনফরমেশন সেন্টারও আছে।

কক্সবাজার জেলার পর্যটনের স্ট্যান্ডার্ডকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।

বিভাগ : বাংলাদেশ