খুলনা বারের সাবেক সম্পাদক কারাগারে
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি এড. কে এম ইকবাল হোসেন প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক শরীফ হোসেন হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খুলনা জেলা পিপি এড. তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে তাকে ৬ সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার তার শেষদিন ছিল। আজ তিনি আদালতে আবেদন করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
আদালত সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার তিনি খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য এসেছিলেন। কিন্তু আইনজীবীদের বিরোধীতার কারণে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি সাধারণ সভার মাধ্যমে একজন চেয়ারম্যান এবং খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সদস্য করে একটি বিশেষ কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়। ওই কল্যাণ তহবিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এড. কাজী বাদশা। সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এড. মো. সাইফুল ইসলাম ও এড. কে এম ইকবাল হোসেন।
পাঁচ বছর মেয়াদী একটি তহবিল গঠন করে প্রত্যেক সদস্য’র কাছ থেকে ৩০০ এবং বার ৭০০ টাকা ধার্য করা হয়। এ উদ্দেশ্যে নিয়ে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর চেয়ারম্যান ও দু’সদস্যর স্বাক্ষরে সমিতির রেজুলেশনসহ এসআইবিএল ব্যাংকে একটি একাউন্ট খোলা হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও অন্য একজন সদস্য’র স্বাক্ষরে লেনদেন পরিচালিত হবে। ওই একাউন্টে প্রথমিকভাবে টাকা জমা হওয়ার পর পৃথক পৃথকভাবে ৫ টি পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়ী স্কিম খুলে প্রতিমাসে সেখানে নিয়মিত টাকা জমা করা হয়। কিন্তু ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার একবছর ছয়মাস পূর্বে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পরস্পর যোগসাজসে নির্বাহী কমিটির কোন সভা ছাড়াই তাদের স্বাক্ষরে এসআইবিএল ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাত করে।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৮ আগষ্ট জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সদস্য সচিব এড. নুরুল হাসান রুবা বাদী হয়ে দন্ডবিধির- ১৮৬০ এর ৪০৬/৪২০/৩৪ ধারায় খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৬। এ মামলায় আসামিরা হলেন, এড. মো. সাইফুল ইসলাম, এড. তারিক মাহমুদ তারা, এড. কে এম ইকবাল হোসেন, এড. কাজী বাদশা মিয়া ও ইসতিয়াক ( এড. সাইফুল ইসলামের ক্যাশিয়ার)।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
স্ত্রী-সন্তানসহ শাহরিয়ার আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোজাম্বিকে বাংলাদেশিদের ৩শ' ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুর
অতিসত্বর নির্বাচন হওয়ার দরকার : আমীর খসরু
দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে : মেজর হাফিজ
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
ক্যাডার বর্হিভূত রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষা ক্যাডারের
শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নেই আশানুরূপ সাড়া
একতাই পারবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে
তিতাস গ্যাস টি.এন্ড ডি. পিএলসি’র ৫% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা সাজিদুর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ
‘আপনারা আমার খালেদকে ফেরত এনে দেন’ : নিখোঁজ সহ-সমন্বয়কের বাবা লুৎফর
২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের অধিবেশন প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ইনসেপ্টার বিক্রয় প্রতিনিধির ২২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ
ভূমধ্যসাগরে ৮ বাংলাদেশি নিহত
মুক্তি পেলেন ভারতের সমুদ্রসীমায় গ্রেফতার ১২ বাংলাদেশি
আ.লীগকে পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়বে গণঅধিকার পরিষদ