মনোহরগঞ্জে দিন-দুপুরে চেতনানাশক ঔষধ খাওয়াইয়ে অটোরিকশা ও টাকা ছিনতাই

লাকসাম -মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বাতাবাড়িয়া গ্রামের হাফেজ কুদ্দুস মিয়ার ছেলে নোমানকে দিনে-দুপুরে চেতনা নাশক ঔষুধ খাওয়াইয়ে, তার কাছে থাকা নগট টাকা ও অটোরিকশা চিনতাই করা হয়।

রবিবার, ২৯ডিসেম্বর দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারের উত্তর পাশের সড়কে নোমানকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পেয়ে, তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা।

নোমানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় - কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বাতাবাড়িয়া গ্রামের হাফেজ কুদ্দুস মিয়ার ছেলে নোমান দীর্ঘ দিন থেকে অটোরিক্সা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করেন। এক ছেলে এক মেয়ের জনক মোঃ নোমান প্রতিদিনের ন্যায় আজও সকালবেলা বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। খিলা বাজার থেকে ২/৩জন লোক যাত্রী সেজে নোমানকে নিয়ে যায় মুন্সিরহাট বাজারের দিকে। পথিমধ্যে তাকে চেতনা নাশক ঔষুধ খাওয়াইয়ে অচেতন করে, মুন্সিরহাট বাজারের উত্তর পাশে সড়কের উপর ফেলে যায়।এসময় নোমানের কাছে থাকা সকল নগদ টাকা ও অটো রিক্সা নিয়ে যায়।পরে নোমানের পরিচিত এক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় সড়কের পাশে নোমানকে পড়ে থাকতে দেখে,তার পরিবারের কাছে খবর দেয়। স্বজনরা গিয়ে নোমানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে লাকসাম সরকারী হাসপাতালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এই বিষয়ে নোমানের জেঠাতো ভাই আলাউদ্দিন হৃদয় ঘটনার সত্যতার স্বীকার করে জানান - প্রায় ছয় বছর থেকে নোমান অটো রিক্সা চালায়। অটোরিকশা চালিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে সুখেই ছিলেন নোমান। তিনি নোমানের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার অপরাধীদেরকে বের করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন করেন এবং নোমানের পরিবারের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করবেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে জানান -আমি বিষয়টি আপনার মাধ্যমে শুনেছি,সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কে গ্রেফতার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

বিভাগ : বাংলাদেশ