পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা, অবরুদ্ধ উপ-উপাচার্যরা
০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ পিএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
পোষ্য কোটা বাতিল, জুলাই বিপ্লববিরোধী শিক্ষক-কর্মচারীদের শাস্তি, এবং বিতর্কিত দুই শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন।
এই তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছেন দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা) ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন (প্রশাসন)। তবে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।
তিন দফা দাবিগুলো হলো:
১. পোষ্য কোটা আজীবনের জন্য বাতিল।
২. আওয়ামী লীগের দোসর বলে চিহ্নিত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি।
৩. বিতর্কিত সহকারী প্রক্টর নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, "যদি দাবিগুলো মানা না হয়, তবে শীতকালীন ছুটি কিংবা গ্রীষ্মকালীন ছুটি—কিছুই চলবে না। প্রশাসনিক ভবন অনির্দিষ্টকালের জন্য তালাবদ্ধ থাকবে।" তিনি প্রশাসনকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বলেন, "শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের পরিবর্তে প্রশাসন তাদের উপেক্ষা করছে।"
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ১% কোটা রাখার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক বলে দাবি করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। তিনি বলেন, "তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে ভবিষ্যতে এটিও বাতিল করা হতে পারে।" বিতর্কিত নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তথ্যগত ভুলের কারণে এমনটি ঘটেছে, যা ভবিষ্যতে আর হবে না।
অবরুদ্ধ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, "আমি আটকে পড়িনি, অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তবে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন অবশ্যই গণতান্ত্রিক উপায়ে হওয়া উচিত।"
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০
কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর
মাছের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার সীমায় বন্দি হচ্ছেন ভারতীয় জেলেরা