এসএমপির সেই শাদিদ এখন যাচ্ছেন রংপুরে, কোন বাধাই ঘুষে বিরত রাখেনি তাকে

সিলেট ব্যুরো

০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

ঘুষখোর অফিসার হিসেবে কুখ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে নিয়ে বলার মতো দু:সাহস দেখাতেপারেনি কেউ। কারন তিনি ছিলেন গোপালগঞ্জি পোলা। সেই কারনে সাত খুন মাফ। সুযোগের যোলআনা নিয়েই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে প্রভাব খাটিয়েছিলেন তিনি।

ফ্যাসিস্ট সরকারখ্যাত আওয়ামী লীগের শেষ ৪ বছর তিনি প্রভাব খাটিয়ে দায়িত্বে থাকেন সিটিএসবি’র (এসএমপি) ডিসি’র । এই অফিসারের নাম ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এই উপ-কমিশনারকে সরিয়ে ওএসডি হিসেবে সুংযুক্তি করা হয়েছে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে।

দিন বদলেছে, তাই কর্মের প্রাপ্তি কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিচ্ছেন তার মতো অনেক কর্মকর্তা।
বুধবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন ৬৫ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি এবং ও এসডি করা হয়েছে। এর মধ্যে শাদিদ রয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি ও ওএসডি করা হয়। এ্ই প্রজ্ঞাপনের তালিকায় রয়েছেন এসএমপি’র উপ-কমিশনার (সদ্য বদলিকৃত) ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ। তিনি ছিলেন সিটিএসবি’র দায়িত্বে। দায়িত্বে থাকাকালে পাসপোর্ট ভেরিফেকশনের সময় মানুষকে হয়রানি করার অনেক অভিযোগ রয়েছে। খোদ পুলিশ সদস্যদের আত্মীয়দের কাছ থেকেও তার নাম ভাঙ্গিয়ে ইনকোয়ারি অফিসাররা ঘুষ খেতেন বলে পাওয়া গেছে একাধিক অভিযোগ।

ভুক্তভোগী সিলেটের অনেক সাংবাদিকও। তাদের স্বজনদেরও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময় টাকা দিতে হয়েছে পুলিশের সিটিএসবি সদস্যদের। সবাই ডিসি শাদিদের নাম করেই ঘুষ গ্রহণ করতেন। এছাড়া ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ ৫ আগস্ট পরবর্তীতে সিলেটে হওয়া একটি মামলারও এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

বিভাগ : বাংলাদেশ