জকিগঞ্জে ক্রসফায়ারের চার বছর পর ওসির বিরুদ্ধে মামলা
০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৪ পিএম | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
চার বছর আগে সিলেটের জকিগঞ্জ থানার ওসি ছিলেন মীর মো. আব্দুন নাসের। ওই সময় দুই ব্যক্তিকে কথিত ক্রসফায়ারে হত্যা ও আরেকজনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আলোচনায় আসেন তিনি। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) জকিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি মীর আব্দুন নাসেরসহ তিনজনকে আসামি করে ৩০২/৩৪ ধারায় নিহত যুবকের মা বাদি হয়ে মামলা (সিআর মামলা নং ৫/২০২৫) করেছেন।
মামলায় ওসি নাসের ছাড়াও আসামি করা হয় সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য তাজ উদ্দিন তাজন এবং আলমনগর গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে মাদক কারবারি জামাল আহমদকে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট কাওছার রশিদ বাহার জানান, জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত খাদিমান গ্রামের আনোয়ার হোসেন মুন্নার মা রুবি বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলে মুন্না পরিবারের হাল ধরে। এক পর্যায়ে মাদক কারবারি তাজ উদ্দিন তাজন তাকে মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করে। ২০২০ সালে মাদক বহনের কাজ ছেড়ে দিতে চাইলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় মাদক ব্যবসায়ীরা। জকিগঞ্জ থানার ওসি ও মাদক ব্যবসায়ীরা তার ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০২০ সালের ২ আগস্ট দুপুরে মুন্নাকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি রাতে থানায় যোগাযোগ করলে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই রাতে সুলতানপুর ইউনিয়নের অজরগ্রামে নিয়ে গুলি করে মুন্নাকে হত্যা করে পুলিশ।
রুবি বেগম দাবি করেন, ঘটনার পর একাধিকবার অভিযোগ দিলেও তদন্তে পার পেয়ে যান ওসি। সরকার পতনের পর সেই ওসিকে সিলেটে আবার যুক্ত করায় প্রথমে ১৭ অক্টোবর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ এবং গত মঙ্গলবার মামলা করেন তিনি।
নিহত মুন্নার বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি ও বিস্ফোরক আইনে ১২টি মামলা ছিল বলে তখন পুলিশ জানিয়েছিল।
শুধু মুন্না নয়, একই বছরের ২৩ আগস্ট জকিগঞ্জের মরিচা এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আব্দুস শহীদ ফুলু নামে এক ব্যক্তি। তিনি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ধর্মদিহী গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে। বড়লেখা থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে এসে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার খাসেরা গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল বাসিতকে ধরেন ওসি নাসের। গভীর রাতে রারাই এলাকায় তাঁর হাত বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টাকালে বাসিত টর্চের আলো দেখে চিৎকার শুরু করেন। লোকজন জড়ো হলে রক্ষা পান বাসেত। এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তাঁর স্ত্রী একাধিক অভিযোগ দেন পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জের তৎকালীন ওসি আব্দুন নাসেরের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। কিন্তু তদন্তের ফলাফল সংশ্লিষ্ট বিভাগ ছাড়া কেউ জানতে পারেনি। সম্প্রতি ওসি নাসেরকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে হবিগঞ্জ অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) যুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি মেনে নেবেন।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
তারকে রহমানের ৩১ দফার রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে সৈয়দপুরে তাঁতী দলের লিফলেট বিতরণ
সৈয়দপুরে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দুই দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত
সৈয়দপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও মামলা চলমান সত্বেও স্থাপনা নির্মাণ
ফুলপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে ফুটবল প্রতিযোগিতায় ভাইটকান্দি ও ফুলপুর বিজয়ী
লালমোহন পৌরসভায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ইউএনও শাহ আজিজ
নাঙ্গলকোটে দুর্ঘটনায় পৌর স্বাস্থ্য সহকারীর মৃত্যু
ঢাকাকে টানা পঞ্চম হারের স্বাদ দিল চট্টগ্রাম
লক্ষ্মীপুরে বিদেশী পিস্তলসহ নারী আটক
সিংগাইরে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার ১
ডিবির অভিযানে মলম পার্টির ৫ সদস্য আটক
সাভারের বাইতুল মকবুল জামে মসজিদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত
‘শেখ হাসিনা এই দেশে আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না’
সীমান্তে অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে: কর্ণেল সাইফুল ইসলাম
থানা থেকে পালালেন গ্রেফতার হওয়া সাবেক ওসি
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় ৫শ’ হজ কোটা বহাল রাখার দাবি
রাজশাহীতে মদপানে ৪ জনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন চার
নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ২ জন আটক
লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট কে এই জোসেফ আউন?
ময়মনসিংহে বাইক রাইডার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই
ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা