খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার আয়োজনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ২য় পর্যায়ের প্রস্তাবিত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণা প্রকল্পসমূহের মূল্যায়ন সভা বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলাস্থ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন রিসার্চ এডভাইজারি কমিটির (আরএসি) সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।
এ সময় তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর ও ফলপ্রসূ গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে যেসব গবেষণার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে এবং সমাজের জন্য যেসব গবেষণা ইমপ্যাক্টফুল তা নির্বাচন করতে হবে। পূর্বের ছোট ছোট গবেষণাকে পরিবর্ধন/পরিমার্জন করে বৃহৎ পরিসরে গবেষণা করার সুযোগ থাকলে সেদিকে নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দরবনের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানকার শিক্ষক-গবেষকদের সুন্দরবন এবং উপকূলীয় এলাকার জীবনমান, জীববৈচিত্র্য, প্রতিবেশ-পরিবেশ নিয়ে বড় ধরনের গবেষণার সুযোগ রয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এতদাঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশাও অনেক। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে মানবকল্যাণ ও বাস্তবমুখী গবেষণা হওয়া জরুরি। যাতে গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন আরএসির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, অতীতের ছোট গবেষণাকে বড় ধরনের গবেষণায় রূপান্তর করতে পারলে তা হবে সমাজের জন্য ইমপ্যাক্টফুল। এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণা প্রকল্প বাছাই করতে হবে। কারণ, গবেষণা যদি প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের উপকারে আসে তাহলে গবেষণাটি সার্থক হবে। এক্ষেত্রে গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দের কোনো অভাব হবে না।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। আরএসি’র সদস্য-সচিব এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ খান, ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ জামাল উদ্দিন, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ উদ-দারাইন, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার এবং আরএসি’র বহিঃস্থ সদস্য ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট পাইকগাছা খুলনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লতিফুল ইসলাম।
মূল্যায়ন সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. জি এম আতিকুর রহমান, বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ রুবেল আনছার, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর মোঃ রেজাউল ইসলাম, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. আহসান হাবীব, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শিমুল দাস, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মেহেদী হাসান, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক শিকদার সাইফুল ইসলাম, আইআইএসএসসি’র সায়েন্টিফিক অফিসার অন্তি ইসলাম তাঁদের গবেষণা প্রস্তাবনাগুলো পাওয়ারপয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।