কক্সবাজার শহরে সড়ক অবরোধ করে মানব বন্ধনে উচ্ছেদ আতঙ্কগ্রস্থ হাজারো নারী পুরুষ

Daily Inqilab কক্সবাজার ব্যুরো

১৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

 
উচ্ছেদের মুখে আতঙ্কগ্রস্থ  কক্সবাজার শহরের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়াছড়ার হাজার হাজার অধিবাসী। দেড়শো বছর ধরে বসবাসকারি অর্ধশতাধিক পরিবার উচ্ছেদের হুমকির মুখে পড়েছে।  নিজেদের ঘরবাড়ি ও জমি রক্ষায় শহরের সড়ক বন্ধ করে মানববন্ধন করেছে হাজার হাজার নারীপুরুষ।
 
 
মঙ্গলবার দুপুরে এই মানববন্ধনে অংশ নেয় ওই এলাকার উচ্ছেদের হুমকীর মুখে পড়া হাজারো মানুষ। তারা বলছে প্রশাসনকে 'মিথ্যা ও ভুল' তথ্য দিয়ে ওই অর্ধশতাধিক পরিবারের বাপ-দাদার আমলের বসতভিটা কোস্ট গার্ডের নামে বন্দোবস্ত করে নিয়েছে। এই ঘটনায় তারা নিজেদের বসতভিটা রক্ষায় আন্দোলনে বাধ্য হয়েছেন। 
 
 
কোস্ট গার্ডকে অন্যত্র জমি বরাদ্দ, নয়তো নিজেদের আবাসভূমি রক্ষায় প্রাণপণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুরো উত্তর নুনিয়াছড়াবাসি। তাদের মতে, সরকার চাইলে একই এলাকায় অন্যত্র কোস্ট গার্ডকে জমি বরাদ্দ দিতে পারে। কিন্তু সেটি না করে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়- তা প্রাণ দিয়ে প্রতিহত করবে এলাকাবাসি।
 
 
এমন ভাবেই নিজেদের উচ্ছেদ আতঙ্কের কথা তুলে ধরেছেন অর্ধশতাধিক পরিবার ও উত্তর নুনিয়াছড়া সমাজ কমিটি। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকালে এসব কথা বলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তারা।  
উত্তর নুনিয়াছড়া সমাজ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বাদশাসহ এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাগণ মানববন্ধনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
 
 
এসময় তারা চারটি দাবি তুলে ধরেন। এই দাবি গুলোর মধ্যে আছে, তারা পূর্বপুরুষদের বসতিতেই থাকে চায়, কোন অবস্থাতেই স্থানান্তর নয়, কোস্ট গার্ডকে একই এলাকায় অন্যত্র জমি বরাদ্দ দিতে হবে, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সৃজন করা কোর্ড গার্ডের খতিয়ান বাতিল করতে হবে, কোন অবস্থাতেই জনবসতি উচ্ছেদ করা যাবে না এবং জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষ গুলোকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
 
 
এসব দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা করে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই মানববন্ধনে হাজারো নারীপুরুষ অংশ গ্রহণ করে।

বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ফের বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল সীমান্তবর্তী এলাকা
গোদাগাড়ীতে পদ্মার বুকে সবুজের সমাহার
চাঁদপুরে নাশকতার মামলায় ৫ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
সাভারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
দিনাজপুরে ৫৫০ বছরের পুরনো মসজিদে নামাজে আসেন দূরদূরান্তের মুসল্লিরা
আরও
X

আরও পড়ুন

ফের বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল সীমান্তবর্তী এলাকা

ফের বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল সীমান্তবর্তী এলাকা

বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা শঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা শঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

গোদাগাড়ীতে পদ্মার বুকে সবুজের সমাহার

গোদাগাড়ীতে পদ্মার বুকে সবুজের সমাহার

মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

চাঁদপুরে নাশকতার মামলায় ৫ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

চাঁদপুরে নাশকতার মামলায় ৫ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

সাভারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

সাভারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

‘বহিষ্কৃত ১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়’  জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

‘বহিষ্কৃত ১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়’ জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

মহাকাশে ২৮৬ দিন কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও তার সঙ্গীরা

মহাকাশে ২৮৬ দিন কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও তার সঙ্গীরা

দিনাজপুরে ৫৫০ বছরের পুরনো মসজিদে নামাজে আসেন দূরদূরান্তের মুসল্লিরা

দিনাজপুরে ৫৫০ বছরের পুরনো মসজিদে নামাজে আসেন দূরদূরান্তের মুসল্লিরা

ইসরাইলের সিরিয়ার বিমান হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: সউদী আরব

ইসরাইলের সিরিয়ার বিমান হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: সউদী আরব

ট্রাম্পের ফোনেও ইউক্রেনে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি নন পুতিন

ট্রাম্পের ফোনেও ইউক্রেনে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি নন পুতিন

যশোরে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ৩

যশোরে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ৩

মতলবে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, আটক ১ জন

মতলবে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, আটক ১ জন

বরগুনায় চুরির অভিযোগে বৃদ্ধকে মারধর, সেই ভিডিও ভাইরাল

বরগুনায় চুরির অভিযোগে বৃদ্ধকে মারধর, সেই ভিডিও ভাইরাল

হামাসের বক্তব্য: ইসরাইল এখনও ভুলের মধ্যে

হামাসের বক্তব্য: ইসরাইল এখনও ভুলের মধ্যে

নির্বাচন আমাদের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার নয়: নাহিদ ইসলাম

নির্বাচন আমাদের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার নয়: নাহিদ ইসলাম

তুলসীকে দিয়ে ভারতের অযাচিত ষড়যন্ত্রে উদ্বিগ্ন-ক্ষিপ্ত নেটিজেনরা

তুলসীকে দিয়ে ভারতের অযাচিত ষড়যন্ত্রে উদ্বিগ্ন-ক্ষিপ্ত নেটিজেনরা

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান চার্চিলের নাতির

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান চার্চিলের নাতির

শেরপুর গারো পাহাড়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব, ক্ষতিপূরণই কি সমাধান?

শেরপুর গারো পাহাড়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব, ক্ষতিপূরণই কি সমাধান?