বিএনপি নেতাদের গোশত ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি, ছাত্রদল আহবায়ককে শোকজ
১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

নোয়াখালীর সেনবাগে বিএনপি নেতাদের গোশত ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দেয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহকে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের ফেসবুক পেজে দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতির পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রকাশ করা হয়।
সানাউল্লাহকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ১৯ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হলো।’
এর আগে গত ১ এপ্রিল রাতে সেনবাগ থানার মোড়ে এক পথসভায় বক্তব্যে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন বিন্নাগনিকে মাইনাস করে, বিন্নাগনির ছেলেপেলেদের ওপর আক্রমণ করে আপনারা আপনাদের গায়ের গোশত ঝাড়বেন, আমরা আপনাদের গোশত ছিনিয়ে নিয়ে আসবো। যদি আমাদের আর একটা নেতা-কর্মী, ছেলের গায়ে বিএনপির নামধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হাত দেয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে সেই হাত আমরা কেটে নেবো।’
এতে তিনি আরও বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও আমার এলাকা বিন্নাগনির মানুষের ওপর হামলা নির্যাতন হয়েছে। এখন আবারও হামলা করতে বিএনপি নামধারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় হয়েছেন। আমার কোনো ভাইয়ের ওপর, আমাদের কোনো নেতা-কর্মীর ওপর যদি কেউ আক্রমণ করার দুঃসাহস দেখান, আপনারা বিএনপি নয়, যত বড় বিএনপি হন, যত বড় আওয়ামী লীগের দালাল হন, আপনাদের আমরা একবিন্দু পরিমাণও ছাড় দেবো না।’
সানাউল্লাহ দাবি করেন, ‘বিগত ১৬টি বছর এই অর্জুনতলার লোকজন বিন্নাগনিকে ফিলিস্তিন বানিয়ে রেখেছে। কিছু হলেই বিন্নাগনি আক্রমণ। কিছুই হলেই বিন্নাগনির ছেলেদের নামে, নেতাদের নামে মামলা। ১৬ বছর আমরা ঠিকমতো ঘরে ঘুমাতে পারিনি। অর্জুনতলার নেতৃত্বে ২০১৮ সালে আমাদের বিন্নাগনি কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের আন্দোলনের পরে আমাদের অনেক নেতা-কর্মীর গায়ে হাত দেয়া হয়েছে। আমরা তখনো বিচার চাই নাই, এখনো বিচার চাই না।’
সেনবাগ উপজেলায় বিএনপি দু'ভাগে বিভক্ত। একপক্ষে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক ও অপর পক্ষে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান। ছাত্রদল নেতা মো. সানাউল্লাহ সাবেক এমপি জয়নুল আবেদীন ফারুকের অনুসারী। তিনি সেনবাগ পৌরসভার বিন্নাগনি এলাকায় বসবাস করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সিলেটে তিন দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন

শেরপুরে গাছের ডালে ঝুলছিল লিঙ্গ কর্তন করা কৃষকের মরদেহ

আড়াইহাজারে একরাতে চার বাড়িতে ডাকাতি, আহত ২

ডিমলায় পূর্বশত্রুতা জেরে নিরীহ স্কুল শিক্ষকের দেড় একর জমির ভুট্টা গাছ থেকে লুট করলো দুর্বৃত্তরা

বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন খুলনার কর্মবিরতি

দুই দিন পর পুনরায় সচল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ

যশোরে অভয়নগরে মানুষ কেনার হাট

পরিবারসহ সাবেক বিমান বাহিনী প্রধানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ব্যাটে-বলে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ 'এ'

খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

টাঙ্গাইলে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় পিস্তলসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার

নতুন পরিকল্পনা অনুমোদন, পুরো গাজা দখল করতে যাচ্ছে ইসরাইল

বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মুফতি ফয়জুল করিমের আবেদন খারিজ উচ্চ আদালতে যাবার ঘোষনা

জুলাই হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের দ্রুত বিচার করতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

উপযুক্ত ক্রীড়াবিদ তৈরিতে তারুণ্যের উৎসব হতে পারে ভালো প্ল্যাটফর্ম: তপু বর্মন

বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা : বিএনপি নেতাকর্মীর বিরোদ্ধে মামলা

ভোলায় আবার অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট, ভোগান্তীতে মানুষ

মতলবে পিকআপ ভ্যান খাদে পড়ে নিহত ১, আহত ৮

৬৭ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ