কালের বিবর্তনে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গোদাগাড়ীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প

Daily Inqilab গোদাগাড়ী রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম

কালের বিবর্তনে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে রাজশাহী গোদাগাড়ীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প। বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ সংকটের মুখে পড়েছে এই মৃৎ শিল্পটি। তারপরও পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে অনেকেই। গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা, পালপাড়া, গোগ্রাম, বাসুদেবপুর ইউনিয়নে থাকা কুমারপাড়া যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা একটি স্বর্ণালী ছবি।

 

এখন আর পুর্বেরমত কুমার পাড়ার পাশদিয়ে যাওয়ার সময় কাঁচা মাটির সোঁদা গন্ধ পাওয়া যায় না। প্লাস্টিক এর তৈরী আসবাবপত্রের বদৌলতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাংলার পুরোনো এই শিল্প। বেকার হয়ে পড়ছে প্রায় সকল মৃত শিল্পী। মাটির আসবাবপত্রের চাহিদা না থাকা ও কুমার মাটি সংকটের কারণেই বর্তমানে মাথা তুলতে পারছেনা এই শিল্প।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কুমারপাড়া, প্রেমতলী, কুমুরপুর, বাসুদেবপুর প্রভূতি এলাকায় শতাধিক পরিবার টি কুমার পরিবার বসবাস করছে। তারা দিন রাত একাকার করে মাটি দিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন মৃৎ-পণ্য।

 

পাল বা কুমাররা মাটি দিয়ে শৈল্পিক হাতে তৈরী করেন বিভিন্ন রকম, মাছ ধোয়া ঢোলা, কলস, পনুয়া, কসুরী, দইয়ের বাটি, ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রকার খেলনা যেমন- পুতুল, হাতি, বাঘ, ঘোড়া, গাভী, পাখী, নৌকা, বালতি, গামলা, জগ, কড়াই, চুলা, টাকা জমানোর ব্যাংক ঘটি-বাটি, শানকি, কলসি, পোড়া মাটির পুতুল, মাটির মূর্তি, অলংকৃত পোড়ামাটির ফলক, মাটির প্রদীপ, ফুলদানি, খোলা, কড়াই, কয়েলদানি, এস্ট্রে, মগ, দৈ এর পাত্র ইত্যাদি সব তৈজসপত্র। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রুটি বানানো খোলা, কড়াই ও দৈ রাখার পাত্র। শীতকালে ফুলদানি ও ফুলের টব বিক্রি হয় ভালো। এছাড়া একেক সময়ে এক ধরনের জিনিস বিক্রি হয়। তবে দুই যুগ পূর্বে এ শিল্পতে যে প্রাণ ছিল, তা আজ নেই বললেই চলে।
অনেকে এগুলো বাড়িতে বাড়িতে ফেরি করে ও বিভিন্ন হাটে নিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত কুমাররা। এখন তা আর তেমন একটা চোখে পড়েনা।

 

কুমারদের পূর্বপুরুষরাও এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এ পেশা দিয়ে এখন আর সংসার চালানো যায়না বলে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে ঝুঁকছে অন্য পেশায়। তাদের তৈরি এ সব জিনিস এখন আর তেমন একটা ব্যাবহার করা হয় না। হিন্দুদের পূজা কিংবা বিয়েতে এখনো মাটির তৈরী কলস, বাটি ইত্যাদির ব্যবহার হলেও সেটা অতি নগণ্য। বর্তমানে পহেলা বৈশাখ সহ গ্রামীণ মেলায় মাটির তৈরি বিভিন্ন খেলনা পুতুলসহ কিছু জিনিস বিক্রি হয়। অনেকেই মাঝে মাঝে শখের বসে যৎসামান্য জিনিস ক্রয় করে থাকে।

 

এক সময় এসব আসবাবপত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কদর ও চাহিদা ছিল। এক সময় মাটির তৈরী গাছ রোপণের টপের বেশী চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কমে গেছে। যা দেশের নার্সারীসহ বিভিন্ন বাড়ির শোভা বর্ধনের কাজে ব্যবহৃত হত। প্রতিটি টপ তখন ১০-১৫ টাকায় বিক্রয় করা হলেও বর্তমানে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প মূল্যে তা বিক্রি করতে পারছে না তারা। এছাড়া এখন প্লাস্টিক সহ বিভিন্ন আয়রন জাতীয় জিনিসের তৈরি টপ পাওয়া যায় বলে এখন মাটির তৈরী টপের চাহিদা কমে গেছে।

 

মাটির তৈরি থালা আকৃতির বাসন যা আগে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এখন আর তা ব্যবহার হচ্ছেনা। এসব কারণে প্রায় সারাবছরই কুমারদেরকে বসে থাকতে হয়। বাজারে প্লাস্টিকের পণ্যের কারনেই মূলত এই শিল্প বিলুপ্তির পথে। তাই মাটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে মাটির তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। যদি সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয় তাহলে হয়তো আবার এ শিল্পে প্রাণ ফিরে আসবে ।

এ ব্যাপারে মাটিকাটা ইউনিয়নের কুমারপাড়ার হরিশচন্দ্র পাল (৬০) নৃপেন্দ্র পালন(৫৫) ও জিতেন্দ্র পাল (৫৫) বলেন, বিগত সময়ে সরকারীভাবে কোন সহযোগীতে পাইনি। প্রশিক্ষণও আমরা পায না, চেয়ারম্যান মেম্বারেরাও কোন খোজখবর নেয় না। বাপ-দাদার কাছে শেখা আমাদের এই জাত ব্যবসা আজও আমরা ধরে রাখছি। এখন মেলায় মৃৎশিল্পের কদর না থাকায় আসে না মৃৎশিল্পের কারিগরেরা তাদের পণ্য নিয়ে। যার কারণে মৃৎশিল্পের জায়গাটি এখন দখল করেছে কাচ, প্লাস্টিক ও বিভিন্ন ধাতব পণ্য। আর এসব কারণে আগের মতো মেলার জৌলুস বা চাকচিক্যও খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে গ্রামাঞ্চলে মেলার আয়োজন হলে কিছু দৃষ্টিগোচর হয় মৃৎশিল্পের তৈজসপত্র।

ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি এখনো আঁকড়ে ধরে আছে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী কুমারপাড়া এলাকার ২৩টি কুমার পরিবার। বর্তমানে এ গ্রামে ২৫টি কুমার পরিবারের বসবাস হলেও ২টি পরিবার ছেড়ে এ পেশা। বর্তমানে ২৩টি পরিবার এ পেশায় নিয়োজিত। গ্রামটিতে ঢুকতেই রাস্তার পাশে সারি সারি কাচা, আধা-কাচা মাটির তৈরি পাত্র রোদে শুকাতে দেখা যায়। এছাড়াও রাস্তার একপাশে চারটি বাড়ির সামনে দেখা যায় মাটির তৈরি নানান তৈজসপত্রের সমাহার।

 

প্রেমতলী কুমারপাড়ার মৃৎশিল্পী বিনয় কুমার পাল জানান, মৃৎশিল্পের জন্য পর্যাপ্ত মাটি আহরণ ও সংরক্ষণের সমস্যা, বাড়তি খরচ, উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত যন্ত্রপাতির অভাব ও প্লাস্টিক-সিরামিকসহ ধাতব দ্বারা তৈরি আসবাবপত্রের দৌরাত্ম্যর কথা। এমন সঙ্কট নিরসনে তার দাবি- উন্নত কলাকৌশলের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে ক্ষুদ্র ঋণ ও উন্নত যন্ত্রপাতির। আধুনিক কলাকৌশলসহ উন্নত হিট মেশিন ও নকশা করার যন্ত্রপাতি পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অনেক উন্নতমানের সিরামিক্সের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় মাটির পণ্য তৈরি সম্ভব। এতে আবারো মৃৎশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়া সম্ভাবনাও রয়েছে বলে দাবি মৃৎশিল্পী বিনয়ের।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাথে তাল মেলাতে হলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজন ওই সমস্ত শিল্পের সাথে জড়িতদের সরকারি সহযোগিতার। যেমনটি করছে ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, নেপালসহ অন্যান্য দেশগুলো। তারা তাদের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত কলাকৌশল এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বীয় ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখেছে। এমনকি তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্রশিল্পের পণ্যগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে, অথচ আমরা তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ।
ঐতিহ্যবাহী শিল্পটিকে টেকানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যকে টেকাতে হলে মৃৎশিল্পীদের আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কলাকৌশলের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের সহযোগিতায় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদেরও মৃৎশিল্প ব্যবহারের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন,অর্থ প্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ পেশার শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরি। কেননা, সরকার যদি পাল বা কুমারদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে কিছুটা সহায়তা দিতে পারে, তাহলে মাটির শিল্পের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

গোদাগাড়ীর আশপাশের এলাকায় এক সময় মাটির তৈরি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা ছিল, কিন্তু বর্তমানে বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ সংকটের মুখে পড়েছে এই মৃৎশিল্পএকই এলাকার জিতেন পাল (৬৫) বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন মাটি সংগ্রহে অনেক খরচ করতে হয়। এ ছাড়াও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে মিল না থাকায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মৌলভীবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী দুই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক নিয়ে ঝিনাইদহে জেলা পর্যায়ে তামার বিরোধী প্রশিক্ষণ
ঝিকরগাছায় কাশেম-ইমরান বাহিনী ফের বেপরোয়া: মানুষ আতঙ্কে, পুলিশ নিবর
পুঠিয়ায় পুকুর টেন্ডার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
আরও
X
  

আরও পড়ুন

মিলানকে হারিয়ে ৫১ বছর পর বোলোনিয়ার প্রথম শিরোপা

মিলানকে হারিয়ে ৫১ বছর পর বোলোনিয়ার প্রথম শিরোপা

মৌলভীবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী দুই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী দুই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু

৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক নিয়ে ঝিনাইদহে জেলা পর্যায়ে তামার বিরোধী প্রশিক্ষণ

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক নিয়ে ঝিনাইদহে জেলা পর্যায়ে তামার বিরোধী প্রশিক্ষণ

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় তুরস্কে শুটিংয়ে হিন্দুত্ববাদীদের নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় তুরস্কে শুটিংয়ে হিন্দুত্ববাদীদের নিষেধাজ্ঞা

মোদি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পুরো ভারত! গদিতে টান পড়লো এবার?

মোদি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পুরো ভারত! গদিতে টান পড়লো এবার?

ঝিকরগাছায় কাশেম-ইমরান বাহিনী ফের বেপরোয়া: মানুষ আতঙ্কে, পুলিশ নিবর

ঝিকরগাছায় কাশেম-ইমরান বাহিনী ফের বেপরোয়া: মানুষ আতঙ্কে, পুলিশ নিবর

ছয় গোলের ম্যাচে ছায়া হয়ে রইলের মেসি

ছয় গোলের ম্যাচে ছায়া হয়ে রইলের মেসি

চট্টগ্রাম বন্দরে অখালাসকৃত পণ্য দ্রুত নিলাম

চট্টগ্রাম বন্দরে অখালাসকৃত পণ্য দ্রুত নিলাম

আন্দোলনে বন্ধ ঢাকার সড়ক, তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

আন্দোলনে বন্ধ ঢাকার সড়ক, তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

ইসরায়েলকে ‘গণহত্যাকারী’ আখ্যা, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা স্পেনের

ইসরায়েলকে ‘গণহত্যাকারী’ আখ্যা, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা স্পেনের

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উচ্ছেদ অভিযান

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উচ্ছেদ অভিযান

‘চল চল যমুনা যাই’ এই রাজনীতি আর হতে দিব না : মাহফুজ আলম

‘চল চল যমুনা যাই’ এই রাজনীতি আর হতে দিব না : মাহফুজ আলম

কুড়িগ্রাম সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু

কুড়িগ্রাম সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় রাজি ইমরান খান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় রাজি ইমরান খান

পুঠিয়ায় পুকুর টেন্ডার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

পুঠিয়ায় পুকুর টেন্ডার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বরিশালে আমু, সাদেক, খোকন, জেবুন্নেসা ও লুনাসহ ২৪৭ জনের নামে মামলা

বরিশালে আমু, সাদেক, খোকন, জেবুন্নেসা ও লুনাসহ ২৪৭ জনের নামে মামলা

উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

দোয়ারাবাজারে ৪৫ কেজি ওজনের মাছ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়!

দোয়ারাবাজারে ৪৫ কেজি ওজনের মাছ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়!

মবের শিকার নাকি অসুস্থতা! কি ঘটেছে মিশার সঙ্গে

মবের শিকার নাকি অসুস্থতা! কি ঘটেছে মিশার সঙ্গে