মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদ হার আবার বাড়ল
২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৪ এএম | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৪ এএম
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার আরেক দফা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আন্তঃব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর ধারে ব্যবহারিত উপকরণে সব পর্যায়ে সুদ ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারের সুদহার হবে ৯ শতাংশ। আর আন্তঃব্যাংক ধারের সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ এবং সর্বনিম্ন সাড়ে ৭ শতাংশ। রোববার (২৫ আগস্ট) মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সর্বশেষ গত ৮ মে নীতি সুদহার বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত ছিল ৯ শতাংশ। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর গত বছরের জুলাই থেকে সুদহার নির্ধারণে প্রথমে ‘স্মার্ট’ নামে নতুন পদ্ধতি চালু হয়। সরকারি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার নির্ধারিত হয়ে আসছিল। এ উপায়ে এপ্রিলের সর্বোচ্চ সুদহার উঠেছিল ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে আইএমএফের শর্ত মেনে গত ৮ মে একদিনে অর্থনীতির তিন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দিন গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া, নীতি সুদহার বাড়ানো এবং ডলার দরে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে মধ্যবর্তী দর ১১৭ টাকা করা হয়। এর সঙ্গে এক শতাংশ যোগ করে ডলার বেচাকেনার সুযোগ ছিল। ড. আহসান এইচ মনসুর গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডলারের ১১৭ টাকা মধ্যবর্তী দরের সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করে ১২০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রির সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন আবার নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার আরও বাড়বে। সাধারণত চাহিদা নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদহার ও ডলারের দর বাড়ানো হয়। গত জুলাইতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সুদহার ও ডলারের দর বাড়ানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। করোনা পরবর্তী রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ সুদহার বাড়ালেও বাংলাদেশে ছিল ৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আজকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, মুদ্রানীতি কমিটির ৫ম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর ধার নেওয়ায় ব্যবহারিত ওভারনাইট রেপো নীতি সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হলো। এছাড়া তারল্য ব্যবস্থাপনা অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য আন্তঃব্যাংক ধারে ব্যবহারিত নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ১০ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) শতকরা ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এর মানে আন্তঃব্যাংক ধারে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ নিতে পারবে।
বিভাগ : ব্যবসা-বাণিজ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী
ফ্যাসিস্ট সরকারের ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞার পর অবশেষে মঞ্চে আসছে থিয়েট্রিক্যাল বাহাস ও কন্ঠনালীতে সূর্য
মিলেছে ‘হারিছ চৌধুরী’র ডিএনএ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ
নাম পরিবর্তনের দাবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের
গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
আইএসের নৃশংসতার বিচারে জাতিসংঘ ব্যর্থ : নাদিয়া মুরাদ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের মানববন্ধন
মানিকগঞ্জে হাঙ্গার প্রজেক্টের গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত
এবার ভারতের মালদহে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা
কিশোরগঞ্জের হাওর-অর্থনীতি বেগবান করতে চলছে কয়েকশ কোটি টাকার প্রকল্প
প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম
দেশের ৬৯ কারাগারের ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক
পায়রার রাজস্ব আয় বাড়বে তিনগুণ, দেশের অর্থনীতিতে রাখবে বড় ভূমিকা
মমতা ব্যানার্জির মনে গভীর কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদ : রিজভী
কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা
কুড়িগ্রামে সাবেক এমপি পুত্র সবুজ গ্রেফতার
ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদালের ওপর গুলিবর্ষণ
খুলনায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু
বাড়তি মেদ কমাতে ‘খাওয়া কমানো’ কতটা কার্যকর