শুল্ক–কর বৃদ্ধির ফলে দেশের তামাক খাতে কী প্রভাব পড়বে
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৬ এএম | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৬ এএম
অর্থবছরের মাঝপথে গত ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে রয়েছে সিগারেটও। ইতিমধ্যে শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রভাবে সিগারেটের দাম বেড়েছে। নতুন শুল্ক-কর পরিশোধ করে সিগারেটের চালান বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক—দুটোই বাড়ানো হয়। ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিগারেটের মূল্যস্তর অনুযায়ী স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে। সে অনুযায়ী সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো শুল্ক-কর পরিশোধ করছে। এতে খুচরা বাজারে সিগারেটের দাম বেড়েছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ১০ শলাকা হিসাবে নিম্নস্তরের সিগারেটের প্যাকেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের সিগারেটের প্যাকেটের দাম ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক সাড়ে ৬৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ; উচ্চস্তরের সিগারেটের প্যাকেটের দাম ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক সাড়ে ৬৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ; অতি উচ্চস্তরের সিগারেট ১৬০ টাকা বাড়িয়ে ১৮৫ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক সাড়ে ৬৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ব্যান্ডরোল থাকে। কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানকে প্যাকেটের গায়ে ব্যান্ডরোল লাগিয়ে বাজারজাত করতে হয়। ব্যান্ডরোল বিক্রির মাধ্যমেই সরকার সিগারেট থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে।
এ বিষয়ে বিএটি বাংলাদেশের কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা মনে করি আকস্মিক কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সকল অংশীজনদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এর পরামর্শ অনুযায়ী, সিগারেট এর উপর অৰ্পিত কর হওয়া উচিত ৭৫% যা আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে, যা এই অধ্যাদেশের পর বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে।
তিনি আরও বলে, “তাড়াহুড়ো করে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে বাজারে রাজস্ব ফাঁকিক্রিত অবৈধ ও চোরাই সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। আর তা হলে সরকারের রাজস্ব আহরণের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমরা আশা প্রকাশ করবো যে সরকার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে অতি শীঘ্রই সংলাপের মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।”
সিগারেট ও তামাক খাত থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায়। প্রতিটি শলাকার দামের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশই তাদের শুল্ক-কর হিসেবে দিতে হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিগারেট খাত থেকে সব মিলিয়ে ৩৭ হাজার ৯১৫ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করেছে সরকার। ৩১টি কোম্পানি সিগারেট বিক্রির বিপরীতে সরকারকে এই শুল্ক-কর দিয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিগুলোর সিগারেট বিক্রির বিপরীতে ৩২ হাজার ৮১৬ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করেছিল ভ্যাট বিভাগ।
বিভাগ : ব্যবসা-বাণিজ্য
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে-রাজশাহীতে আইজিপি
রাধানগর উচ্চ বিদ্যালয় এডহক কমিটির সভাপতি হলেন মাহাবুব চেয়ারম্যান
হাজীগঞ্জে ভেকু দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার হিড়িক
৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিলো গ্রিস
গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের কারাদণ্ড
খুঁজে খুঁজে একে একে সবাইকে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপি নির্বাচনের জন্য ‘অস্থির’ কেন?
বরিশালে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকগন মুনফা সহ বিনিয়োগকৃত আসল অর্থ তুলতে পারছেন না
মানিকগঞ্জে ক্যান্সার আক্রান্ত দুই সন্তানের জননীকে জবাই করে হত্যা
ভারত কেন এখন তালিবানকে কাছে টানছে ?
মুরাদনগরে ভূমিদস্যুদের আতঙ্ক এসিল্যান্ড
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ : ফিলেমন ইয়াং
গুরুদাসপুরে একই গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ও কলেজ ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
মতলবে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন
দেশের সর্বাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হোটেলিয়ার-শাখাওয়াত হোসেন
যুদ্ধবিরতি চুক্তি : প্রথম পর্যায়ে মুক্তি পাবেন এক হাজার ফিলিস্তিনি
কালবিলম্ব না করে অবাদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করুন- এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী
সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে চার কমিশন
ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রামে আমান গ্রুপের শীতবস্ত্র বিতরণ
গাজার 'মানবিক অঞ্চল' নিয়ে উদ্বেগ ,ইসরায়েলি আক্রমণ অব্যাহত