ঢাকা   রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দারাজকে সাথে নিয়ে শাকিলের ‘দ্য গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইল’ জয়

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২২ জুলাই ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম

ইতিহাস গড়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্য গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইল পাড়ি দিলেন ইকরামুল হাসান শাকিল। ০৯ জুলাই ২০২৩ এ কাঞ্চনজঙ্ঘা বেস ক্যাম্পে পৌঁছে ৩৩ তম ব্যক্তি হিসেবে এই অসামান্য অর্জন করেন শাকিল। সীমিত খাবার ও প্রতিকূল পরিবেশের সাথে অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে দেশের জন্য অনন্য সম্মান বয়ে আনলেন তিনি। গত বছরের আগস্টে শুরু করে ৯৬ দিনের বেশি পায়ে হেটে, ভূমিধস পরিস্থিতিতে ও অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছেন ১,৭০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্য গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইল। সাথে জয় করেছেন ২৯ টি দুর্গম উঁচু পথ, যার মধ্যে ১৪টি ছিল ৫০০০ মিটারের অধিক ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

 

শাকিলের এই স্বপ্নপূরণে শুরু থেকেই পৃষ্ঠপোষক ছিল দারাজ বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন উচ্চতায় তুলে ধরার শাকিলের এই প্রয়াসে দারাজ একাত্মতা ঘোষণা করে প্রথমেই।

 

এই বিজয়ে দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, ‘জাতি আজ শাকিলের বিজয়ে উল্লাসিত। আর এই উল্লাসের বীজ বপনে সহায়তা করে দারাজ অত্যন্ত গর্বিত।

 

যুবা দ্বারা পরিচালিত আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে আমরা অধ্যবসায়, উদ্যম, সর্বোপরি মানুষের প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেই।

 

শাকিলের এই ত্যাগ এবং দেশকে আন্তর্জাতিক সম্মান প্রদানের তার এই লক্ষ্য আমাদের তরুণদের এগিয়ে যেতে পথ দেখায়, আর অনুপ্রাণিত করে পরিবর্তনকে আলিঙ্গন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বকে জয় করতে।’

 

শাকিল শুরু থেকেই তার 'গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইল' অভিযানের যাত্রায় পাশে থাকার জন্য দারাজ বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অভিযান শেষে দারাজের লোগো সম্বলিত ছবি দিয়ে দারাজকে পাশে পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ভবিষ্যতে আরও মাইলফলক অর্জনে দারাজকে পাশে পাবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন শাকিল।

 


বিভাগ : অর্থনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো খুলনার তরুণরা
কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না : অর্থ উপদেষ্টা
প্রাইম ব্যাংক’র সাথে চুক্তি করলো কাশপিয়া গ্রুপ
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আরও

আরও পড়ুন

ইভেন্টের  সেরা লড়াইটি উপহার দিলেন আফরা-সানজিদা

ইভেন্টের সেরা লড়াইটি উপহার দিলেন আফরা-সানজিদা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পাহাড়ের পর জয়-জাকিরকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পাহাড়ের পর জয়-জাকিরকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

নাটকীয় শেষ দশ মিনিটে দুই গোল শোধ করে বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা

নাটকীয় শেষ দশ মিনিটে দুই গোল শোধ করে বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা

বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম

বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম

নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল

নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক