দখলি সম্পদ বাঁচাতে মরিয়া এস আলম
১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৬ এএম
দেশের বিতর্কিত ও চর্চিত নাম এস আলম। হাসিনা রেজিমে দেশের আর্থিকখাতের নিয়ন্ত্রক বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। শুধু আর্থিকখাতই নয়; দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বাজার সিন্ডিকেট তথা দেশের ‘টপ টু বটম’ সব কিছুর নীতিনির্ধারকও ছিল এই এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ। এস আলম ব্যাংকিংখাতের বাইরেও ভোগ্যপন্য সয়াবিন তেল, চিনি, এলাচ থেকে বিদ্যুৎ সবকিছুতেই তার পদচারণা ছিল। এ জন্য প্রয়োজনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দখলদারি, গুম-খুন করতেও পিছপা হননি। বাশখালী পাওয়ার প্ল্যান্টে একদিনে ৫ জন শ্রমিককে হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। এখনো যার বিচার হয়নি। এক সময়ে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এরপর বিএনপির সঙ্গে সখ্যতা বাড়ান। সর্বশেষ দিন পরিবর্তনে হয়ে গেলেন আওয়ামী লীগের অর্থের চালিকাশক্তি। যাকে এক কথায় বলে, একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গত ১৬ বছরে আওয়ামি লীগ বিশেষ করে পলায়নকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে ব্যবহার করে শত হাজার কোটি টাকার রাজত্ব কায়েম করেছেন। এস আলম নামে-বেনামে সরকারি ও বেসিরকারি কয়েকটি ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তিদের নামেও ঋণ নেওয়া হয়েছে। এক ইসলামী ব্যাংক থেকেই নিয়েছেন ৫১ হাজার ৪৪৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ দিয়ে ৭ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করে পাচার করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আত্মসাতকৃত টাকার অধিকাংশ সিঙ্গাপুর, দুবাই, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। আর তার এই সম্পদ রক্ষার্থে মরিয়া হয়ে পড়েছেন সাইফুল ইসলাম মাসুদ। এখনোও ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বসত বাড়িতে টাকা রাখা আছে এস আলম গ্রুপের। এই টাকাগুলো দ্রুত পাচার করার জন্যে এস আলমের সহযোগীরা তৎপর। ইতিমধ্যে কেউ কেউ বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে ধরাও খেয়েছেন। এদিকে বিশ্বের সকল প্রভাবশালী মহলকে ব্যবহার করে এস আলম গ্রুপ পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজছে। বিলিয়ন ডলার ছড়িয়ে দেশের আর্থিক খাতকে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। একদিকে ভারতে পলায়নকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শেল্টার দিচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে ফিরলে আরও আস্থাভাজন হতে পারেন। অন্যদিকে বিএনপির কিছু লোভী নেতাকে ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে যুব দল দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংকে আধিপত্য নিতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্নস্থানে সংখ্যালঘুদের হামলা এবং কিছু কিছু যায়গায় গুজব ছড়িয়ে দেশের মধ্যে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এস আলম। দেশে এ কাজ বাস্তবায়ন করছে এস আলমের জুতা টানা এপিএস এবং এইচএসসি পাস করেও ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ বাগিয়ে নেওয়া আকিজ উদ্দিন। চট্রগ্রামে বিভিন্ন নেতার বাসায় টাকার বস্তা পাঠাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা তথা দেশকে সঙ্কটে ফেলার চেষ্টা করছেন।
এদিকে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গত বৃহষ্পতিবার চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ এস আলমের ‘বেনামি ঋণের’ মাধ্যমে ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। এসব অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল ‘গ্লোডেন স্টার’ ও ‘টপ টেন ট্রেডিং হাউজ’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। ‘গ্লোডেন স্টার’ পাঁচটি চেক ইস্যু করেছিল। প্রতিষ্ঠানের মূল হিসাব ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায়। ওই পাঁচটি চেক আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে ৩৪৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়। একই দিন টপ টেন ট্রেডিংয়ের ৫৪৮ কোটি টাকার বেনামি ঋণও আটকে দেয় ব্যাংকটি।
প্রতিষ্ঠান দুটি মূলত ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি, এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন ও এস আলম গ্রুপের সুবিধাভোগী বেনামি প্রতিষ্ঠানের। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আকিজ উদ্দিন বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বরাবরের মতোই টাকা তুলে নিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পেরে চেক আটকে দেয় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এছাড়া এস আলমের মালিকানাধীন ৮টিসহ মোট ১০টি ব্যাংকের অবস্থাই নাজুক। এরমধ্যেও নামে- বেনামে টাকা তুলতে তৎপর রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত এস আলমের বেনামি ঋণ আটকাতে তার মালিকানাধীন এসব ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে ক্লিয়ারিংয়ের বিশেষ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে এই আকিজ উদ্দিন এখন কোথায়, তা খোদ ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারাও জানেন না। ব্যাংকখাতে ত্রাস সৃষ্টিকারী আকিজ উদ্দিন শেখ হাসিনা ভারতে পলায়নের পর এখনো ব্যাংকে আসেননি। আবার ব্যাংক থেকে তিনি ছুটিও নেননি। ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, আকিজ উদ্দিন বেনামে কোম্পানি খুলে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করতেন। ব্যাংকের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, গোল্ডেন স্টারের ওই অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ঘুষ দেওয়ার কথা বলে মাঝেমধ্যে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলন করা হতো।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এস আলম আবারও আর্থিকখাতের মসনদে ফিরতে এবং বর্তমান অবস্থায় টাকা পাচারসহ সকল অপকর্ম থেকে রক্ষা পেতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকেও কাজে লাগানোরও চেষ্টা করছে। নিজেদের সম্পদ বাঁচাতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে এস আলম গ্রুপ।
সূত্র মতে, ১৯৮৪ সালে নিজের মামা আখতারুজ্জামান বাবুর ব্যবসায় যোগ দিয়ে এস আলমের কর্মজীবনের শুরু। বাবু ছিলেন আওয়ামি লীগের প্রথম সারির একজন নেতা এবং চট্টগ্রামের একজন মাফিয়া। ১৯৮৬-১৯৮৭ সালে বাংলাদেশের ইউনাইটেড ব্যাংকের দখল নেন তিনি। এই অপকর্মে আখতারুজ্জামানের বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন ভাগ্নে এস আলম তথা মাসুদ। আওয়ামি লীগের প্রভাবশালী নেতা আখতারুজ্জামানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে ছেদ টেনে এস আলম বাংলাদেশের ইউনাইটেড ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২০টি বাস কেনেন। এই বাসগুলো চলাচল করত ঢাকা-চট্টগ্রাম-টেকনাফ রুটে। তবে এই বাসগুলোতে যাত্রী পরিবহন করা হত না। এরপরে জানাজানি হয়, ওই বাসগুলোতে যাত্রী পরিবহন না করে এস আলম মায়ানমার, চট্টগ্রাম থেকে মাদক পাচার, চোরাচালান করতেন ঢাকাতে। এস আলমের জীবনের উত্থানের কাহিনি রহস্য-রোমাঞ্চের থেকে কম কিছু নয়। বারবার তিনি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে রাজনৈতিক রং বদলেছেন। আর এভাবে প্রতিপত্তি বাড়িয়ে অবৈধ পথে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯০ সালে জামাত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় এলে এস আলম ব্যবসা সম্প্রসারণের শুরু। ওই সময়ে জামাতের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তখন সে দলের লোক হয়ে উঠেন। সূত্র জানায়, এস আলম গ্রুপের ৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকার আয়কর মওকুফ করে দিয়েছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। হাসিনা জমানায় কার্যত বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় পরিচালনা করতেন এস আলম। এছাড়া শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানারও ব্যক্তিগত কোষাধ্যক্ষ ছিলেন এস আলম। সূত্র মতে, ২০১৭-২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার শুরু করেন এস আলম। আওয়ামি লীগ জমানায় তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অঙ্কের টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন এস আলম। এরপর সিঙ্গাপুর সরকার কালো টাকার কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করায় ৭৪ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুর থেকে দুবাইয়ে চলে যান এস আলম। বর্তমানে দুবাইয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।
এস আলম এর এসব অপকর্ম যাদের যোগসাজশে হয়েছে তারা হলেন- ইসলামিক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আকিজ উদ্দিন, এস আলমের ভাই আবদুস সামাদ লাবু, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. মো. আব্দুল কাদের, আভিভা ফাইন্যান্স তথা রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুস্তাফিজ, আভিভা ফাইন্যান্সের ভাইস- প্রেসিডেন্ট হারুণ, এস আলম গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ফাইন্যান্স) সুব্রত কুমার ভৌমিক এবং গ্লোবাল ইসলামি ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি কে হালদার (বর্তমানে যিনি ভারতের জেলে আটক)। যাঁদের হাত দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ইতিমধ্যেই দেশের বাইরে পাচার করেছেন এস আলম। এছাড়া এস আলমের এসব অনিয়মে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপদেষ্টা ও ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর, সাবেক নির্বাহী পরিবালক শাহ আলম, সাবেক গভর্নর ফজলে কবির, সদ্য পদত্যাগি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর সাইদুর রহমান এবং খুরশীদ আলম ও সদ্য পদত্যাগি উপদেষ্টা আবু ফারাহ মো. নাছের এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, বর্তমান ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বড় একটি সিন্ডিকেট। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাবেক সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, এস আলমের এসব অনিয়মকে নিয়ম বানাতে সাহায্য করেছেন।
এই গ্রুপটির অধীনে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ও জনমানুষের ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকসহ ১০টি ব্যাংক রয়েছে। গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফাস্ট সিউকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং সর্বশেষ গত দু’মাস আগে সংযোজন ছিল ন্যাশনাল ব্যাংকের মালিকানা। এছাড়াও পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকেরও নীতিনির্ধারক বিতর্কিত এই গ্রুপটি।
দীর্ঘদিন আর্থিকখাতকে নিয়ন্ত্রণ করা এস আলম আবারও দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ জন্য একদিকে তিনি ভারতে পলায়নকারী শেখ হাসিনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনের শুরুর দিকেই বুঝতে পেরেছিলেন বর্তমান সরকার আর থাকছে না। তাই বিএনপি’র সঙ্গেও সম্পর্ক রাখা শুরু করেন। যদিও আগে থেকেই বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, একসময়ে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা সাইফুল ইসলাম মাসুদের। তাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরে বসে সব পক্ষের সঙ্গেই লিয়াজো রেখেছেন তিনি। এমনকি দেশের আর্থিকখাতে যে অরাজকতা বিরাজ করছে এর পেছনে কলকাঠিও নাড়ছেন এস আলম। সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলামী ব্যাংকে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন ও তার অনুসারীদের ভাড়া করেছেন। এস আলম গ্রুপের হয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে নয়ন ও তার অনুসারীরা এই ব্যাংক দখলে ভাড়াটে হিসেবে কাজ করে। ব্যাংক দখলে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন। তার ছোড়া গুলিতে ৬ ব্যাংক কর্মকর্তা আহত হন।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন। এই পদে তার নিয়োগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে এ বিষয়ে তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, এস আলম ব্যাংকগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এই ব্যাংকের টাকা ডলার হয়ে বিদেশে চলে গেছে। এখন এস আলম গ্রুপ ও যাদের নামে ঋণ বের হয়েছে, তাদের সব সম্পদ জব্দ করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
১৫ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন থাকলেই ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে
দেশের দুই প্রকল্পে ২৪৮ মিলিয়ন ডলার দেবে জাপান
ইসরাইলে একদিনে ৩৪০ মিসাইল হামলা হিজবুল্লাহর
পুলিশের কেউ চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলে রক্ষা নেই ------ ডিএমপি কমিশনার
ভালো নির্বাচন ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই : ইসি সানাউল্লাহ
পাকিস্তানে ইমরান খানের হাজার হাজার সমর্থক গ্রেপ্তার
তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় ছাত্রদলের গভীর উদ্বেগ
চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে শাহবাগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ
ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ আটকের প্রতিক্রিয়ায় শাহবাগে বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ
সেন্টমার্টিনে চলবে পর্যটকবাহী জাহাজ
বরগুনায় বিদেশী পিস্তলসহ ২৭ মামলার আসামী জাকির গ্রেপ্তার: গুলিবিদ্ধ-১
শাহবাগে চিন্ময় কৃষ্ণ আটকের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ
‘নির্বাচনের ট্রেন চলছে, এমন ধারণা দিতে নতুন কমিশন গঠন করেছে সরকার’
টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ ‘মাদক কারবারি’ আটক
শ্রম সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতিতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রশংসা
যত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত সরকার হবে ততই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে-নুরুল ইসলাম মণি
পুলিশ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারতো : নাহিদ ইসলাম
বাচ্চারা প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই হলিউড ছাড়বেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ