সাপের কামড় : চিকিৎসা ও সচেতনতা জরুরি

Daily Inqilab আফতাব চৌধুরী

০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৭ এএম

বর্ষা মৌসুমে বন্যা যেমন দেখা দেয়, তেমনি চারদিকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে প্রাণীকূলের আবাসস্থল সংকট দেখা দেয়। ফলে সাপসহ অন্যান্য প্রাণী জীবন বাঁচাতে লোকালয়ে এসে পড়ে। বিশেষ করে বন্যার সময় কোনো এলাকা নিমগ্ন হলে ও বনজঙ্গল ডুবে গেলে সাপ, পোকা ইত্যাদি মানুষের আবাস্থলে এসে পড়ে। এ সময় অনেকে সাপের কামড়ের শিকার হয়। বন্যার সময় সাপ-পোকার আচরণ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। ফলে এ সময় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। বিষধর সাপের কামড় জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ সাপের ওপরের দাঁতের গোড়ায় যে বিষথলি থাকে, কামড়ের সাথে সাথে সে বিষ ক্ষতের মাধ্যমে রক্তনালীতে প্রবেশ করে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সাপের বিষের বিষাক্ত উপাদানগুলো স্নায়ুকোষকে আক্রমণ করে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া প্রতিহত করে এবং মৃত্যু ঘটায়।

আমাদের এ অঞ্চলে প্রায় ৮০ প্রজাতির সাপের মধ্যে ১২ প্রজাতির সামুদ্রিক সাপসহ ২৭ প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬ প্রজাতির বিষধর সাপের দংশন চিকিৎসা শাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে গোখরা, পদ্মগোখরা, কেউটে, সবুজ সাপ, চন্দ্রবোড়া এবং সামুদ্রিক সাপ। দংশিত স্থানে কামড়ের দাগ দেখে সাপটি বিষধর কিনা তা শনাক্ত করা সম্ভব। সব বিষধর সাপের সামনে দু’টি বিষদাঁত থাকে, যা অন্যান্য দাঁত থেকে বড়, তীক্ষ্ম ও বাঁকানো। সাপে কামড়ালে যদি কামড়ানো স্থানে দুটি তীক্ষ্ম গভীর দাগ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেটি বিষধর সাপের কামড়। আর যদি ছোট ছোট একসারি দাগ থাকে, তবে সেটি বিষধর নয়। সুস্পষ্টভাবে শনাক্ত করা না গেলে অর্থাৎ সাপটি বিষধর কিনা, এ নিয়ে সন্দেহ থাকলেও কালক্ষেপণ না করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সাপ না দেখলেও দংশনের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে দংশনকারী সাপের ধরন অনুমান করা যেতে পারে। যেমন রাতে ঘুমের মধ্যে মাটিতে শোয়া অবস্থায় সাপে কামড়ালে, তা কেউটে সাপের দংশন হতে পারে, মিঠে পানিতে মাছ ধরার সময় জেলেদের দংশনকারী সাপ সম্ভবত গোখরা, জঙ্গলে কিংবা বাগানে কাজ করার সময় সাধারণত সবুজ সাপ দংশন করে থাকে এবং কৃষকের ধান কাটার সময় সাপের কামড় খেলে তা সম্ভবত রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া।

গোখরার দংশনে ৬ থেকে ৮ মিনিটের মধ্যে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। দংশিত স্থান লাল হয় ও চাপ দিলে ব্যথা লাগে। কিছুক্ষণ পর সেখানে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। কেউটে সাপে কামড়ালে দংশিত স্থান ফুলে ওঠে না এবং দংশনের স্থানে কোনো খোঁচার দাগ দৃশ্যমান নাও হতে পারে। দংশিত স্থানে সামান্য ব্যথা, চুলকানি এবং অবশ বা ঝিনঝিন ভাব হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, প্রথমদিকে সর্পদংশনের সন্দেহ নাও হতে পারে। দংশনের ফলে সৃষ্ট উপসর্গগুলো বিলম্বে দেখা দিতে পারে। কেউটে সাপ গোখরার চেয়ে ৬ থেকে ৮ গুণ বেশি বিষধর। এদের বিষদাঁত ছোট ও প্রতি দংশনে মাত্র ৮ থেকে ১২ মিলিগ্রাম বিষ বের হয়। তবে এর ২ থেকে ৩ মিলিগ্রামই একজন বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। চন্দ্রবোড়া সাপে দংশনে যন্ত্রণা বোধ হয়, দংশিত স্থানে জ্বালাপোড়া করে, চামড়া লালচে হয়ে ফুলে ওঠে এবং রক্তপাত হয়। বাচ্চা গোখরা ও বাচ্চা চন্দ্রবোড়া সাপ বড়গুলোর চেয়ে ভয়ঙ্কর ও কিছুটা আক্রমণাত্মক। গড়পড়তা হিসেবে, গোখরা সাপের দংশনের ৮ ঘন্টা পর, কেউটে সাপের দংশনের ১৮ ঘন্টা পর এবং চন্দ্রবোড়া সাপের দংশনের তিনদিন পর রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে। তবে মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। সবুজ সাপে কামড়ালে শরীরের এক বা একাধিক স্থান যেমন- চামড়ার নিচে, মাড়ি থেকে এমনকি মগজের মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। দংশিত স্থান ফুলে যেতে পারে ও ফোস্কা পড়তে পারে। এর দীর্ঘমেয়াদী প্রতিক্রিয়া যেমন- পঁচন ছাড়া এতে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে মগজের মধ্যে রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হতে পারে। সাপের কামড়ের পর রোগীর কথা বলতে অসুবিধা হলে, চোখের পাতা ভারী বা ঘুম ঘুম ভাব হলে, মুখ থেকে লালা ঝরলে অথবা বমি হতে থাকলে বুঝতে হবে এটি বিষধর সাপের কামড়ে হয়েছে। রোগী নেতিয়ে পড়ে, পা দুর্বল হয়ে আসে এবং দাঁড়িয়ে থাকতে বা চলাচল করতে পারে না। তার জিহ্বা ও স্বরযন্ত্র ফুলে যেতে পারে, দু’ঘন্টার মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস লঘু হয়ে আসতে পারে।

সাপের কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিছুতেই ঘাবড়ানো যাবে না। কারণ, সব সাপের কামড় বিষধর সাপের নয়। আবার বিষধর সাপে কামড়ালেও দংশনের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিষ ঢেলে দিতে না পারলে বিষক্রিয়া নাও হতে পারে। সাপেকাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়াসহ আগে থেকে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা থাকা প্রয়োজন। এগুলো জেনে রাখা ভাল। কারো পায়ে বা হাতে সাপে কাটলে কাছাকাছি কোথাও বসে পড়ে কামড়ের স্থানের কিছুটা উপরে গামছা বা ওড়না বা অনুরূপ কাপড়ের টুকরো দিয়ে কেবল একটি গিট দিন। পায়ে কামড়ালে উরুতে, হাতে কামড়ালে কনুইয়ের উপরে এমনভাবে গিট দিতে হবে, যেন খুব আঁটসাট বা ঢিলে কোনটিই না হয়। দড়ি অথবা সুতা দিয়ে শক্ত করে গিট দেয়া যাবে না। গিট দেয়ার কাপড়ের টুকরো দেড় ইঞ্চির মতো চওড়া হলে ভালো হয়। হাতের কাছে গামছা, ওড়না বা কাপড়ের টুকরা না থাকলে পরনের কাপড়ের কিছুটা অংশ ছিঁড়ে বাঁধতে হবে। কিছুতেই বিলম্ব করা যাবে না। বাঁধনটি যেন অস্থিসন্ধিতে যেমন- কনুই, কবজি বা গোড়ালি এবং গলা বা মাথায় না হয়। যদি বাঁধনটি খুব শক্ত হয়ে যায় তবে একটু ঢিলা করে দিতে হবে, যাতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে না পড়ে। বাঁধনটি প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর ৩০ সেকেন্ডের জন্য কিংবা ১ ঘন্টা অন্তর ১ মিনিটের জন্য আলগা করে দিতে হবে। ২ ঘন্টার বেশি সময় বাঁধন রাখা উচিত নয়। এতে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাতের ফলে পচন হওয়া, মাংসপেশী অবশ হওয়া, গিট দেয়া অঙ্গে বিষ জমে থেকে বিষক্রিয়ার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাপে কাটার সময় রোগীর কাছে কেউ থাকলে তার দায়িত্ব হবে সাথে সাথে রোগীকে শুইয়ে দিয়ে এসব পরিচর্যা করা। রোগীর নড়াচড়া সর্ম্পর্ণরূপে বন্ধ রখতে হবে। হাড় ভেঙ্গে গেলে যেভাবে স্পিø্ন্ট এর সাহায্যে নড়াচড়া প্রতিরোধ করা হয়, দংশিত হাত-পা তেমনভাবে রাখতে হবে। নড়াচড়া করা যাবে না। নড়াচড়ায় মাংসপেশীর সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই, দংশিত হাত-পা এমনভাবে কাঠের টুকরো, বাঁশের চটা বা কঞ্চির সাথে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বাঁধতে হবে, যাতে নড়াচড়া না হয়। বাঁধন দেয়ার সময় সাপের কামড়ের স্থান পরিষ্কার ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ব্যান্ডেজ দিয়ে আবৃত রাখতে হবে। আক্রান্ত স্থান কাটা, সুঁই ফোঁটানো বা কোনো কিছুর প্রলেপ দেয়া যাবে না।

সাপ ভয়ঙ্কর হলেও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং অনেক রোগের ঔষধ প্রস্তুতের জন্য সাপের প্রয়োজন রয়েছে। সাপ সাধারণভাবে আক্রমণকারী নয়, বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। সাধারণত কেউ উত্যক্ত করলে, তাড়িত হলে, দুর্ঘটনাবশত পদদলিত হলে বা গায়ে হাত পড়লে এরা দংশন করে। তাই অকারণে সাপকে না মারাই উত্তম, কোথাও সাপ দেখলে তাকে নিজের মতো করে চলে যেতে দেয়াই ভাল। ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গলের ভিতর খুব সাবধানে হাঁটতে হবে, কোনো গর্তে হাত দেয়া যাবে না। রাতে পথ চলার সময় আলো ও লাঠি নিয়ে চলাচল করা উচিৎ। পানিতে মাছ ধরার সময় জালে হাত দেয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিষধর সাপের কামড়ের আধুনিক চিকিৎসা আছে, তাই ঝাড়-ফুক, তাবিজ-কবজ বা কবিরাজ-ওঝার কাছে সময় নষ্ট না করে রোগীকে দ্রুত নিকটতম জেলা বা উপজেলা হাসপাতাল অথবা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। সাপে কাটার ঔষধ এন্টিভেনম বিনামূল্যে সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে পাওয়া যায়। এর সরবরাহ সবসময় বজায় থাকে। রোগী যত পরেই আসুক না কেন, এন্টিভেনম প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা থাকলে তা দিয়ে দিতে হবে। বাঁধন বা গিটসহ রোগী আসলে তা খোলার আগেই এন্টিভেনম প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় জমাকৃত বিষ হঠাৎ বেশি পরিমাণে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক বিষক্রিয়া করতে পারে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কোটা আন্দোলন, গভীর রাতে উত্তাল ঢাবি

কোটা আন্দোলন, গভীর রাতে উত্তাল ঢাবি

গ্রামীণ ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

গ্রামীণ ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

কেরানীগঞ্জে ভুয়া দাতা সেজে দলিল করার সময় আটক ৩

কেরানীগঞ্জে ভুয়া দাতা সেজে দলিল করার সময় আটক ৩

ফ্রান্সে রোববার চূড়ান্ত দফা ভোট, নিয়োজিত থাকবে ৫০ হাজার পুলিশ

ফ্রান্সে রোববার চূড়ান্ত দফা ভোট, নিয়োজিত থাকবে ৫০ হাজার পুলিশ

পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার পর শাহবাগ ছাড়লেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার পর শাহবাগ ছাড়লেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলা

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলা

ইন্দোনেশিয়ার গুহায় আবিষ্কৃত ৫১ হাজার ২০০ বছরের পুরনো চিত্রকর্ম

ইন্দোনেশিয়ার গুহায় আবিষ্কৃত ৫১ হাজার ২০০ বছরের পুরনো চিত্রকর্ম

মিথ্যাচার করাই বিএনপি'র স্বভাব: একেএম এনামুল হক শামীম

মিথ্যাচার করাই বিএনপি'র স্বভাব: একেএম এনামুল হক শামীম

সরকারি টাকায় বিদেশ সফর বন্ধ, গাড়ি কেনায় নিষেধাজ্ঞা

সরকারি টাকায় বিদেশ সফর বন্ধ, গাড়ি কেনায় নিষেধাজ্ঞা

মাতারবাড়িতে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হবে: বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

মাতারবাড়িতে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হবে: বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

কাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ তলা বাড়ি ও দুই ফ্ল্যাট জব্দের হুকুম

কাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ তলা বাড়ি ও দুই ফ্ল্যাট জব্দের হুকুম

আমিরাতে ব্রেন স্ট্রোক করে দু-মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশির মৃত্যু

আমিরাতে ব্রেন স্ট্রোক করে দু-মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশির মৃত্যু

পশ্চিম সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি, হতাহত ৩২

পশ্চিম সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি, হতাহত ৩২

ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার করে নেপাল- ভূটানে বাণিজ্য করার সুবিধা দিতে হবে সংবাদ সম্মেলনে ববি হাজ্জাজ

ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার করে নেপাল- ভূটানে বাণিজ্য করার সুবিধা দিতে হবে সংবাদ সম্মেলনে ববি হাজ্জাজ

প্রশ্ন : প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করা প্রসঙ্গে।

প্রশ্ন : প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করা প্রসঙ্গে।

মালয়েশিয়াগামী ১৭ হাজার কর্মীর টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর

মালয়েশিয়াগামী ১৭ হাজার কর্মীর টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর

‘প্রগতি’ প্রথম সংখ্যা

‘প্রগতি’ প্রথম সংখ্যা

বর্ষাকাল

বর্ষাকাল

আজ ব্রিটেন এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে : কেয়ার স্টারমার

আজ ব্রিটেন এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে : কেয়ার স্টারমার

অসমাপ্ত সমীকরণ

অসমাপ্ত সমীকরণ