রেল ট্রানজিটে ভারতেরই লাভ

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম

দেশে এ মুহূর্তে সর্বাধিক আলোচ্য বিষয় ভারতের রেল ট্রানজিট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১-২২ জুন ভারত সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দশটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার অন্যতম রেল ট্রানজিট। এই চুক্তির সুবাধে ভারতের মালবাহী ট্রেন গেদে সীমান্তবর্তী রেলস্টেশন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে দর্শনা, ঈশ্বরদী, আব্দুলপুর, পার্বতীপুর, চিলাহাটি হয়ে ভারতের হলদিবাড়ি যাবে। অপরদিকে, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে গত ১৭ জুন দেশের এক দৈনিকে প্রকাশ, ‘চিকেন নেকের সুরক্ষায় ভারত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে নতুন রেলপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের রেল বোর্ড নতুন এই রেললাইনের অনুমোদন দিয়েছে, যার দৈর্ঘ্য ১,২৭৫.৫ কিলোমিটার। তন্মধ্যে বাংলাদেশের ৮৬১, নেপালের ২৯২.৫ কিলোমিটার, বাকিটা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। এই নতুন রেললাইন চালু হলে ভারতের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে ভারতের রেল কর্তৃপক্ষের অভিমত। ভারতের এই রেল ট্রানজিটে বাংলাদেশের লাভ কি তা জানা যায়নি। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের রেল চলাচলের ক্ষেত্রে মাসুল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে সে বিষয়ে দুই দেশের কারিগরি পর্যায়ে আলোচনা হবে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোাধ্যায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাকে না জানিয়ে তিস্তা ও গঙ্গার পানি নিয়ে আলোচনা করায়।

ইতোপূর্বে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে থাকা সব রেলপথ খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ‘ইন্টারচেঞ্জ’ পদ্ধতিতে। উপরন্তু ভারতের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নতুন কিছু রেলপথও নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া, বাংলাদেশের সড়ক, নৌ, সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার জন্য ভারত চুক্তি করে বাস্তবায়ন করেছে। গভর্নেন্স এন্ড পলিসি রিসার্চের উদ্যোগে গত ২৯ জুন অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশিষ্ট পন্ডিতগণ বলেছেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের সাথে ১২০টি গোলামীর চুক্তি করেছে। এসব চুক্তির মাধ্যমে ভারত লাভবান হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশের জনগণের কোনো লাভ হচ্ছে না।’ ভারত চাপ দিচ্ছে, ব্রিক্সে যোগ না দেওয়ার জন্য। তাতে চীন ও ব্রাজিলের সমর্থন রয়েছে। ভারতের বাধার কারণে বাংলাদেশ ব্রিক্সের সদস্য হতে পারছে না। অথচ সৌদি আরব, ইরানসহ পাঁচটি দেশ ব্রিক্সের নতুন সদস্য হয়েছে সম্প্রতি। সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ করার ব্যাপারে বার বার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও অনবরত বহু নিরহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশি খুন-জখমের শিকার হচ্ছে বিএসএফের গুলিতে। গত একযুগে সীমান্তে বিএসএফের হাতে ১,২৭৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক নির্মম হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে বলে বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অভিমত।

ইরানের তেল-গ্যাস আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে ভারতে আনার পাইপ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। তাতে বাংলাদেশ যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি ভারতের বাধার কারণে। ভারতের সাথে বাণিজ্য বৈষম্য ব্যাপক, যা ভারতের অনুকূলে ও বাংলাদেশের প্রতিকূলে। তবুও ভারত বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে বেশি শুল্ক আরোপ ও নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে! ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশ শুষ্ক মওসুমে মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে আর বর্ষা মওসুমে ডুবে যাচ্ছে। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হয়েছে। কিন্তু পানি আসে না। তবুও চুক্তি নবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশ বহুদিন থেকে চেষ্টা করছে। তাতে ভারত বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করছে না। উপরন্তু চীন যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা (যা সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের কাছে তিস্তা খাল খনন বলে খ্যাত) তৈরি করে প্রয়োজনীয় টাকা ঋণ দিয়ে নির্মাণ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে বাগড়া দিয়েছে ভারত। বলছে, তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিষয়টি আমরা দেখা-শোনা করবো অভিন্ন নদী তিস্তার পানি চুক্তির দাবি খতম হয়েছে। এখন চীন প্রণীত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে ভারত নতুন খেলা শুরু করেছে। ফলে এ প্রকল্পেরও অপমৃত্যু ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন প্রেক্ষিতে প্রকল্পের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে চীন ভারত তা দেবে না। নিজস্ব অর্থ দিয়েও তা করা সম্ভব হবে না। ফলে আম-ছালা দু’টিই যাবে! অপরদিকে, পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বিবিসিকে বলেছেন, ‘পানি চুক্তি ছাড়া তিস্তা প্রকল্প সমস্যা সমাধানে কাজে আসবে না।’ এটা সর্বজনবিদিত, চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নে ভারত বাধা দিচ্ছে। ভারতের মদদেই বাংলাদেশের বর্তমান ভোটারবিহীন এবং হাইব্রিড গণতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী সরকার ইত্যাদি বলে খাত সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। আমেরিকার সাথে বৈঠকে স্পষ্ট করে ভারত বলে দিয়েছে, তার দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দরকার (কিন্তু জনগণের ধারণা, একতরফা সুবিধা গ্রহণের জন্য)।

যা›হোক, বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো ও বেশিরভাগ মানুষ ভারতের রেল ট্রানজিটের কঠোর সমালোচনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলো এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তারা এই চুক্তিকে বাংলাদেশের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে। কোনো কোনো দল বলেছে, ‘আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাসে পরিণত হয়েছে।’ অনেকেই বলেছেন,বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের রেলপথ প্রতিহত করবো। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল-বিএনপি এই চুক্তিকে, ‘গোলামীর নবতর সংস্করণ’ বলে অভিহিত করে এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উপরন্তু বিএনপি ভারতের সঙ্গে ইতিপূর্বে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কোনো ধরনের দাসত্ব চাই না।’ প-িত ব্যক্তিরাও এই রেল ট্রানজিটের বিপক্ষে বলছেন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ও একুশের পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম এক দৈনিকে বলেছেন, ‘অনেকদিন থেকেই ভারতের জ্ঞানে রেল ট্রানজিটের বিষয়টি আছে। এগুলো সবই ভারতের স্বার্থ পূরণ করবে। এসব সমঝোতা কিংবা চুক্তি কোনটাই বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লী সফরে ভারত যা কিছু চেয়েছে তার সবই পেয়েছে। ভারত একতরফা লাভবান হচ্ছে। এখানে বাংলাদেশের কিছুই প্রাপ্তি নেই। হবেও না। আগেও হয়নি।’ সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘নতুন এই চুক্তির বিনিময়ে বাংলাদেশ তেমন কিছু পাবে না। নিরাপত্তাও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।’

বিশ্বয়ানের এ যুগে কানেক্টিভিটি যত বেশি হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তত বেশি লাভবান হচ্ছে। আঞ্চলিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ, বাণিজ্য ইত্যাদি হচ্ছে। আঞ্চলিক জোটগুলোও দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের একলা চলা বা বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা ক্ষতিকর।তাই আমাদেরও আঞ্চলিক মিএতা, বিনিয়োগ, বেসামরিক বাণিজ্য বাড়াতে হবে। যার প্রধান উপায় হচ্ছে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত ও শক্তিশালী করা। স্মরণীয় যে, স্থলবেষ্টিত নেপাল বাংলাদেশের মোংলা বন্দর ব্যবহার করার জন্য ১৯৭৭ সালে চুক্তি করেছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ভারত তার ভূমি ব্যবহার করতে দেয়নি। বাংলাদেশ থেকে নেপালের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার ও ভুটানের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। চীনের দূরত্বও সামান্য। কিন্তু মাঝখানে ভারত রয়েছে। সে সামান্য যায়গা তারা ব্যবহার করতে না দেওয়ায় নেপাল মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারছে না। নেপাল এখন চীনের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করেছে।তবুও নেপাল মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে ইচ্ছুক রয়েছে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সড়কের বেহাল দশা: ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সড়কের বেহাল দশা: ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

শনিবার সকালে পানির স্রোতে ভুঞাপুরের ভালকুটিয়ায় একটি কাচা সড়ক ভেঙ্গে গেছে

শনিবার সকালে পানির স্রোতে ভুঞাপুরের ভালকুটিয়ায় একটি কাচা সড়ক ভেঙ্গে গেছে

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনার ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: অনেকগুলোর শ্রেণীকক্ষই ব্যবহার অনুপযোগী

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনার ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: অনেকগুলোর শ্রেণীকক্ষই ব্যবহার অনুপযোগী

অবিলম্বে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী

অবিলম্বে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী

চীন ও ভারতের উচিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে স্থিতিশীল করা: ওয়াং ই

চীন ও ভারতের উচিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে স্থিতিশীল করা: ওয়াং ই

কুড়িগ্রামে চরম দুর্ভোগে ৫ উপজেলার বানভাসি মানুষ

কুড়িগ্রামে চরম দুর্ভোগে ৫ উপজেলার বানভাসি মানুষ

সাত বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে কয়েক লাখ মানুষ

সাত বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে কয়েক লাখ মানুষ

বোহাই সাগরে বড় আকারের দুর্যোগ মহড়া

বোহাই সাগরে বড় আকারের দুর্যোগ মহড়া

ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.০৫ সেন্টিমিটার

ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.০৫ সেন্টিমিটার

সাটু‌রিয়ায় পল্লী বিদ‌্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারী‌দের কর্মবির‌তি

সাটু‌রিয়ায় পল্লী বিদ‌্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারী‌দের কর্মবির‌তি

পাঁচ মাসে চীনের সেবা খাতের বাণিজ্য বেড়েছে ১৬ শতাংশ

পাঁচ মাসে চীনের সেবা খাতের বাণিজ্য বেড়েছে ১৬ শতাংশ

হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে এবার বন্যার প্রকোপ, ঘরছাড়া অন্তত ২০ হাজার

হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে এবার বন্যার প্রকোপ, ঘরছাড়া অন্তত ২০ হাজার

মাগুরায় তীর্থ হত্যার মূল নায়ক গ্রেফতার তীর্থের মটর সাইকেল উদ্ধার

মাগুরায় তীর্থ হত্যার মূল নায়ক গ্রেফতার তীর্থের মটর সাইকেল উদ্ধার

ভারতের মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টায় ৭ শিশুর মৃত্যু

ভারতের মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টায় ৭ শিশুর মৃত্যু

চীনে নতুন গুচ্ছ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

চীনে নতুন গুচ্ছ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

ঢাকায় বাঘা পৌরসভার মেয়র ডিবির হাতে গ্রেফতার

ঢাকায় বাঘা পৌরসভার মেয়র ডিবির হাতে গ্রেফতার

ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের আহ্বান করলেন ৪ মার্কিন সিনেটর

ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের আহ্বান করলেন ৪ মার্কিন সিনেটর

দাবার বোর্ডেই চিরঘুমে কিংবদন্তি গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান

দাবার বোর্ডেই চিরঘুমে কিংবদন্তি গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান

নরসিংদীর বেলাবোতে বিটুমিনের কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

নরসিংদীর বেলাবোতে বিটুমিনের কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

ব্রিটেনের নতুন ফার্স্ট লেডি ‘ইহুদি’ ভিক্টোরিয়া, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এবার ‘শাবাত’

ব্রিটেনের নতুন ফার্স্ট লেডি ‘ইহুদি’ ভিক্টোরিয়া, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এবার ‘শাবাত’