রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামের অনুপম শিক্ষা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার, শান্তি ও মানবিকতার আদর্শ প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দেয়। ইসলামী শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মানুষ অন্যের অধিকার রক্ষা করতে এবং ন্যায়ের পথে চলতে সচেষ্ট থাকবে। ইসলামে রাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার মূল ভিত্তি হলো ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং মানবিক উন্নয়ন। ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থায় শাসক এবং শাসিতের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা নৈতিকতা ও ন্যায়নীতির মানদ-ে নির্ধারিত। ইসলামের এই আদর্শে শাসক ও শাসিত উভয়ই নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকে। শাসকদের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের সেবার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যদিকে, নাগরিকরা সৎকর্ম ও ন্যায়বিচার বজায় রেখে রাষ্ট্রের নিয়ম মানতে বাধ্য। পবিত্র কুরআন ও রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শিক্ষা অনুযায়ী, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা শুধু রাষ্ট্রের নয়, বরং প্রত্যেক ব্যক্তির দায়িত্ব। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর বিদায় হজের ভাষণে বর্ণিত সাম্যবাদের মর্মবাণী ও খোলাফায়ে রাশেদিনের সময়ে শাসকদের দায়িত্বশীল আচরণ এ বিষয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
ইসলামে রাষ্ট্রের ভূমিকা ও গুরুত্ব: ইসলামের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের মূল কাজ হলো সমাজে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। রাষ্ট্রকে এমন একটি কাঠামো হিসেবে দেখা হয়, যেখানে মানুষ তাদের মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে এবং সমাজে ভারসাম্য বজায় থাকে। ইসলামী রাষ্ট্রে সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং রাজনৈতিক প্রতিটি স্তরে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে আদর্শ স্থাপন করা হয়েছে, তা মানব ইতিহাসে এক অনন্য নজির হিসেবে বিবেচিত। হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর রাষ্ট্রব্যবস্থা এই শিক্ষার এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে তিনি একটি আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তা: ইসলামে ন্যায়বিচারকে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে যে, কুরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচার, কল্যাণ এবং আত্মীয়দের সাহায্যের নির্দেশ দেন’ (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৯০)। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ন্যায়বিচার হলো ভিত্তি, যা সমাজে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ পরিবেশ তৈরি করে এবং সবার অধিকার রক্ষা করে। শুধু শাসকদের ক্ষেত্রেই নয়, বরং সাধারণ মানুষকেও ন্যায়ের পথে থাকতে এবং অন্যের প্রতি সুবিচার করতে উৎসাহিত করে।
ইসলামী রাষ্ট্রে সুবিচারের বাস্তবায়ন: ইসলামের শাসনব্যবস্থায় সুবিচার প্রতিষ্ঠার কিছু মৌলিক উপায় রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সময়ের আরব সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মদীনা সনদে তিনি একটি বহুত্ববাদী সমাজ গড়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যেখানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকবে। এই সনদকে বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান বলা হয়ে থাকে, যা সমাজে সাম্য, সহনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।
প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ইসলামের শিক্ষা: ইসলামের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় শাসকদের জন্য সুবিচার, জবাবদিহি এবং সেবামূলক মনোভাবকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্রে শাসক জনগণের সেবক এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে। ইসলামী খিলাফতের প্রথম শাসক হযরত আবু বকর (রা.) তাঁর শাসনামলে জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার ও সেবামূলক মনোভাব বজায় রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘দুর্বল জনগণই আমার কাছে শক্তিশালী, যতক্ষণ না তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শক্তিশালী আমার কাছে দুর্বল, যতক্ষণ না তাদের দায়িত্ব পালন করা হয়।’
অর্থনৈতিক সুবিচার ও সমতা: ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমতা ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম জাকাত, সদকা এবং ইনফাকের (আল্লাহর পথে দান) মতো ব্যবস্থার মাধ্যমে ধনীদের সম্পদের কিছু অংশ গরিবদের জন্য বরাদ্দ করেছে। এতে করে ধনী-গরিবের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমে এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা হয়। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো এই নীতিগুলো যথাযথভাবে পালন করা এবং নিশ্চিত করা যে প্রতিটি নাগরিক তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না।
বিচার ব্যবস্থায় ইসলামের নির্দেশনা: ইসলামের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কোনো শাসক বা শাসিত কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। নবীজির (সা.) যুগে এক নারী চুরির অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাঁর পরিবার শাস্তি লাঘবের আবেদন করেছিল। তখন নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ, যদি আমার কন্যা ফাতিমাও এই অপরাধ করত, আমি তাঁরও হাত কেটে দিতাম।’ এতে বোঝা যায়, আইনের কাছে সবার জন্য সমান আচরণের গুরুত্ব ইসলামে কতটা শক্তভাবে প্রতিপালনযোগ্য।
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ইসলামী শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা: বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সমাজ ব্যবস্থা এবং আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষাগুলোর বাস্তবিক প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। আজকের সমাজেও শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ইসলাম রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য যে শিক্ষা দিয়েছে, তা সবার জন্য সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং অধিকার রক্ষায় কার্যকর হতে পারে।
ইসলামি রাষ্ট্রে জনগণের অধিকার ও অংশগ্রহণের গুরুত্ব: ইসলামে জনগণকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্রে শাসকদের অধিকার নয়, বরং জনগণের অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। জনগণের মতামত নেওয়া, শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রয়োজন মেটানো রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও পরবর্তী খোলাফায়ে রাশেদিনের শাসনামলে বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণের মতামত নেওয়া হতো এবং তাঁদের অভাব-অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হতো।
শুরা বা পরামর্শ গ্রহণ সুশাসনের চাবিকাঠি: ইসলামে শুরার (পরামর্শ) প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরামর্শ গ্রহণকে সুশাসনের চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তাদের কাজকর্ম পরস্পরের পরামর্শে নির্ধারিত হয়’ (সূরা শূরা, আয়াত ৩৮)। ইসলামী রাষ্ট্রে শাসকগণ পরামর্শ সভার মাধ্যমে নীতি নির্ধারণ করতেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সা.) অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সাহাবিদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায়ও শুরার এই নীতি জনগণের মতামতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শাসকদের জবাবদিহির সুযোগ করে দেয়।
আধুনিক যুগে ইসলামী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ: আজকের বিশ্বে দুর্নীতি, সামাজিক বৈষম্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যে নৈতিক ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে, তা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। শাসকদের জন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য যে নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে, তা বর্তমান সময়েও অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
ইসলামের নীতিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য: ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের আমলে প্রশাসনিক, বিচারিক এবং আইন প্রণয়নÑ এই তিনটি ক্ষেত্রকে পৃথক রেখে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখা হতো। ফলে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারত না এবং জনগণের অধিকার রক্ষা করা সহজ হতো। আধুনিক রাষ্ট্রে এ ধরনের ভারসাম্যের গুরুত্ব অপরিসীম, যা স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।
সুশাসন ও দায়িত্বশীল শাসকের আদর্শ: ইসলামে সুশাসনের জন্য শাসকদের ব্যক্তিগত দায়িত্বশীলতা, নৈতিকতা এবং জনকল্যাণমূলক মানসিকতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হযরত উমর (রা.) শাসনামলে রাতে নগরী পরিদর্শনে বের হতেন, যাতে নিজে জনগণের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকতে পারেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি একটি কুকুরও তৃষ্ণায় মরে, আমি দায়ী থাকব।’ এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, জনগণের প্রতি শাসকদের দায়িত্বশীলতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য নৈতিক মানসিকতার প্রয়োজন কতটা গভীর।
ইসলামি অর্থনৈতিক নীতিতে রাষ্ট্রীয় সমৃদ্ধি: ইসলামে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও সুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর জন্য ইসলামে জাকাত, সদকা এবং ইনফাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে সমাজের সকল শ্রেণি অর্থনৈতিকভাবে সুরক্ষিত থাকে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এসব নিয়ম-কানুন মেনে চললে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়।
বর্তমান বিশ্বের রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা: আজকের বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর মধ্যে দুর্নীতি, বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রধান। এ প্রেক্ষাপটে ইসলামের রাষ্ট্র সংস্কারের শিক্ষা অত্যন্ত সময়োপযোগী। ইসলামী আদর্শের মূল শিক্ষা হলো সবার জন্য ন্যায্যতা ও অধিকার নিশ্চিত করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করা। মুসলিম বিশ্বসহ অন্যান্য দেশগুলোতেও ইসলামের এই ন্যায়বিচারমূলক নীতি প্রয়োগ করলে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও সমাজের স্থিতিশীলতা আনয়ন সম্ভব হতে পারে।
বর্তমান বিশ্বের রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়াসে ইসলামের এই অনুপম শিক্ষা একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রকে শান্তি, সুবিচার এবং স্থিতিশীলতার পথে পরিচালিত করবে। ইসলাম মানবতার কল্যাণে যে রাষ্ট্রব্যবস্থার নির্দেশনা দিয়েছে, তা শুধু একটি নির্দিষ্ট সমাজ বা সময়ের জন্য নয়, বরং এটি চিরন্তন এবং সার্বজনীন। ন্যায়বিচার, সাম্য এবং সুশাসনÑ এই তিনটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা। ইসলাম রাষ্ট্র সংস্কার এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠায় যে মূল্যবোধ ও নীতির ওপর গুরুত্ব দেয়, তা বর্তমান সময়েও রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে একটি আদর্শিক ভিত্তি হতে পারে।
লেখক: কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের