জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে সর্বত্র
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

পৃথিবীর বুকে মানব সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবাঞ্ছিত চাপ পড়তে শুরু করে। তবে শুরুতে জনসংখ্যার স্বল্পতা, বনাঞ্চলের ভরপুরতা, কৃষিকেন্দ্রিক জীবিকা তথা জীবাশ্ম জ্বালানির অপ্রচলনের কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশে লক্ষ্যণীয় প্রতিকূল প্রভাব পড়েনি। যৎসামান্য হানিকর প্রভাব পড়লেও প্রাকৃতিক নিয়মে তার সংশুদ্ধি ঘটে যায়। তাই তখন পরিবেশ নিয়ে ভাবিত হবার কোনো কারণ ছিল না। সভ্যতার অগ্রগমনের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। পরিবেশের উপর প্রতিকূল প্রভাবের মাত্রা বৃদ্ধি ক্ষিপ্রতা লাভ করে।
পশ্চিমা দেশে শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে পরিবেশের ওপর মানব কর্মকা- সৃষ্ট চাপ অসহনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়, যার ভয়াবহতা ক্রমে আমাদের উদ্বেগের স্তর অতিক্রম করে প্রাণীকূলের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে এক অশনি সংকেতরূপে প্রকটিত হয়। শিল্পায়ন-নগরায়নের চাকা যে হারে অগ্রসর হতে লাগল সে হারে বনাঞ্চলের প্রাচুর্য হ্রাস হল। কলকারখানা ও যানবাহনের আকস্মিক সংখ্যাবৃদ্ধির ফলে জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকল। জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দহন বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রার উত্তরোত্তর সংযোজনে সহায়ক ভূমিকা পালন করল।
অপরদিকে ক্রম হ্রাসমান বনাঞ্চল বায়ুম-ল থেকে ক্ষতিকারক কার্বন-ডাই-অক্সাইডের যথাযথ বিয়োজনে অপারগ হয়ে পড়ল। ফলস্বরূপ বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড জমা হতে লাগল। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ধর্ম তাপ ধারণ তাই পুঞ্জীভূত এ গ্যাসের প্রভাবে বায়ুম-ল উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হতে লাগল। বিশেষ করে, উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রাবৃদ্ধি নাটকীয় রূপ ধারণ করে। ‘গ্রিন হাউস গ্যাস’ আখ্যাত এ কার্বন-ডাই-অক্সাইড গোলকীয় উষ্ণায়নের মুখ্য ঘটক।
উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রখর সূর্যকিরণ, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, পৃথিবীর কক্ষপথ, সমুদ্রস্রোত এবং আরো কিছু প্রাকৃতিক কারণে পৃথিবীর উষ্ণতার তারতম্য তথা জলবায়ু পরিবর্তন ঘটে থাকে, যা আমাদের এ পৃথিবী নামক গ্রহের সৃষ্টিলগ্ন থেকে চলমান রয়েছে। তবে বর্তমানে উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এত উদ্বেগ এবং এত আলোচনার কারণ ভিন্ন। তা হলো, কোনো প্রাকৃতিক উপাদান নয় বরং মানুষের নানাবিধ কাজকর্মের ফলস্বরূপ বিগত বহু বছর ধরে বায়ুম-লের ক্ষতিকারক গ্যাস বিশেষ করে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রার সঙ্কটজনক বৃদ্ধি গোলকীয় উষ্ণায়নের প্রধান কারণ। বর্তমানে মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের ফলে বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এককথায় অস্বাভাবিক ও ভয়াবহ।
শিল্প বিপ্লবের সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের জীবনশৈলী, পরিবেশ ও জলবায়ুতে পরিবর্তন আসে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, কলকারখানা, যানবাহন চালনা ইত্যাদির জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ব্যাপক মাত্রায় শুরু হয়। অপরদিকে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে বনভূমি নিধন। মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের ফলে বায়ুমন্ডলে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড জমা হয়, তার শতকরা ৭৫ ভাগ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে আসে। বায়ুম-লে এ মারাত্মক হারে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রাবৃদ্ধিতে ‘গ্রিন হাউস গ্যাস এফেক্ট’ নামক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।
শিল্প বিপ্লবের পর এক শতকের অধিক সময় অতিবাহিত হয়। ঐ দীর্ঘ সময়কালে পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ তেমন প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হয়নি। বিশ্ব পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের আনুষ্ঠানিক বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭২ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জাতিসংঘের বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনে। পরিবেশ সম্পর্কে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময়ের সুযোগ ঘটে ঐ সম্মেলনে।
সম্মেলনে উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে সুদীর্ঘ পর্যালোচনার পর যে বিষয়ে মতৈক্য সৃষ্টি হয় তা হল, গোটা পৃথিবীর পরিবেশ বর্তমানে তীব্র সঙ্কটাপন্ন এবং এর থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে আশু কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত না হলে অনতিকালের মধ্যে অবস্থা নিয়ন্ত্রণ অযোগ্য হয়ে পড়বে। এ গুরুতর সতর্কবাণী উচ্চারিত হবার পর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিবেশ নিয়ে নানা আলোচনা তথা সেমিনার, বিতর্ক, পদযাত্রা ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশের পালা শুরুহয়। পরিবেশ সচেতনতাকে জাগ্রত ও উন্নততর করার লক্ষ্যে প্রতি বছর ৫ জুন দিনটিকে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ রূপে পালন করার প্রথা চালু হয়।
পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, ব্রাজিলের রাজধানী রিও-ডি-জেনিরিও-তে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন, যা ‘ঊধৎঃয ংঁসসরঃ’ নামে পরিচিত। স্থূল কলেবরের এ সম্মেলনে বিশ্বের ১৬০টি দেশের প্রায় ৮ হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। পরিবেশ সম্পর্কে এত দীর্ঘ ও বিস্তৃত আলোচনা ইতোপূর্বে আর হয়নি। উক্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা পরিবেশ রক্ষার্থে যেসব বিষয়ে সহমত পোষণ করেন তা অতি তাৎপর্যপূর্ণ ও নজিরবিহীন। এর মধ্যে অন্যতম হল পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
সাম্প্রতিক কালে উষ্ণায়ন এবং তৎসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জি-আট সম্মেলনে বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে গুরুত্ব পায়। ১৯৭২ সালের স্টকহোম সম্মেলনের পর দীর্ঘ চার দশক অতিক্রান্ত। এ সময়কালে পরিবেশ রক্ষায় প্রভাবী পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা কতটুকু সমর্থ হয়েছি বা বিভিন্ন সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবগুলো কতটুকু অনুসৃত হয়েছে সে ব্যাপারে আত্মতুষ্টির তেমন অবকাশ না থাকলেও ইত্যবসরে যে ইতিবাচক দিকটি ধরা পড়েছে তা হল পরিবেশ চিন্তা আজ সারা বিশ্বে এক সর্বজনীন রূপ পরিগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা গ্রহণ ও তার সফল রূপায়নে এ উপলব্ধি অবশ্য সহায়ক হবে। কেননা যে কোনো গভীর সমস্যা সমাধানের প্রাক শর্ত হল সমস্যা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানার্জন।
উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে এক গোলকীয় সমস্যার রূপ ধারণ করেছে। মানব জীবনের কোন দিক যে এর কু-প্রভাব মুক্ত থাকতে পারবে না তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এর কু-প্রভাবে নিত্যনতুন স্বরূপ উন্মোচিত হচ্ছে। উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব বিষয়ে ইতোমধ্যে যেসব তত্ত্ব ও তথ্য আমাদের গোচরে এসেছে তা একজন পরিবেশ সচেতন মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেবার পক্ষে যথেষ্ট।
পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে পৃথিবীর বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে নাটকীয়ভাবে বাড়তে শুরু করে। দেখা গেছে, বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ১৮৫০ সালের পিপিএম ২৯০ (পার্টস পার মিলিয়ন) থেকে বেড়ে ১৯৭৯ সালে দাঁড়ায় ৩৩৪ পিপিএম। ঊর্ধ্ব এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সাল নাগাদ বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ১৯৭৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হবার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান। ফলস্বরূপ গোলকীয় উষ্ণায়নের মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, যার ভয়াবহ প্রভাব থেকে মানুষসহ গাছপালা, পশু পাখি কিছু রেহাই পাবে না। বলাবাহুল্য, উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের এ ভয়াবহতা ইতোমধ্যে আমরা উপলব্ধি করতে শুরু করেছি।
উষ্ণায়ন মানুষ তথা অন্যান্য প্রাণীকূলের শরীর ও স্বাস্থ্যে মারাত্মক রকমের প্রতিকূল প্রভাব ফেলে থাকে। প্রত্যক্ষভাবে উষ্ণায়ন সৃষ্ট হিটওয়েভ বা তাপ প্রবাহের কবলে পড়ে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া এর পরোক্ষ ফল হিসেবে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। উষ্ণায়নের ফলে চর্ম, ফুসফুস সম্বন্ধীয় বিভিন্ন জটিলতা ও রোগ সৃষ্টি হতে পারে। গোলকীয় উত্তাপ বিশ্বে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে বলে বিজ্ঞানীরা অনেক পূর্বে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। দেখা যাচ্ছে, যত দিন যাচ্ছে তত উষ্ণায়ন সৃষ্ট ব্যাধির কথা প্রকাশ্যে আসছে।
সম্প্রতি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, আসন্ন বছরগুলোতে উষ্ণায়নের পরিণতি স্বরূপ এক বিরাট সংখ্যক আমেরিকাবাসী কিডনি স্টোনের সমস্যায় ভুগবেন। প্রখর উত্তাপের ফলে শরীর থেকে অত্যধিক ঘাম বেরিয়ে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করার জন্য কিডনিতে পাথর হতে পারে। গবেষকদের মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ কিডনি স্টোন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমান ১৬ লক্ষ থেকে বেড়ে ২২ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে যার ফলে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হবে অন্যূন এক বিলিয়ন ডলার। গবেষকদের এ তথ্য আমেরিকা-সমন্ধীয় হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশও যে অনুরূপ সমস্যায় জর্জরিত তা বলাবাহুল্য।
শুধু মানুষ নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীও গোলকীয় উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রভাবিত। জীববৈচিত্র সম্পর্কিত গবেষণা থেকে জানা যায়, ফসিল রেকর্ড রয়েছে এমন যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে দ্রুতবেগে বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হচ্ছে। জীববৈচিত্র্যের এ দ্রুত বিনাশ নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। গোলকীয় উষ্ণায়নের বিরূপতায় প্রাণীকূলের মতো উদ্ভিদকূলও সমানভাবে অপকৃত। উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও প্রজননে জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল লক্ষিত হয়। অনেক উদ্ভিদ পরিবর্তিত অবস্থা মানিয়ে নিতে পারে না। বিষয়টির গভীরতা উপলব্ধি করতে একটি উদাহরণের উপস্থাপনা প্রাসঙ্গিক হবে। সাম্প্রতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ফুলের মনমাতানো আকর্ষণীয় সুগন্ধ দিন দিন কমে আসছে। হয়তো এমনো দিন আসবে যখন ফুলের গন্ধ একেবারে হারিয়ে যাবে।
উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের আর্থ-সামাজিক প্রভাব কত ভয়াবহ ও সুদূরপ্রসারী তার ধারণা অত্যন্ত দূরূহ। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জলবায়ুর অবাঞ্ছিত পরিবর্তনের ফলে কোথাও প্রচ- খরা আবার কোথাও প্রবল বর্ষণ ও বন্যা ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনছে। উদ্বেগের বিষয় হল, জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব লক্ষিত হচ্ছে খাদ্যশস্য উৎপাদনে। খরা-বন্যা দু’য়ের ফলে কৃষির উৎপাদন সরাসরি ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সরকারি কোষাগারের সংকোচন ঘটছে, বিঘিœত হচ্ছে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের রূপায়ণ। কৃষিজ সামগ্রীর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিল্পের উপর, কেননা অধিকাংশ শিল্প-কারখানা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে যে সত্যটি প্রতিভাত হয় তা হল উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে নিছক এক পরিবেশ সমস্যা নয়, তা আমাদের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনস্বাস্থ্য আদি যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট; সদস্য, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক কমিটি, সিলেট।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার : তারেক রহমান

বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র ঢাকায় ‘সামাজিক উন্নয়নে রমজানের অবদান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে মতামত দিতে আরো সময় চায় ১২ দলীয় জোট

মুসলিম লীগ নেতা কুদরতউল্লাহর দাফন

রোহিঙ্গাদের জন্য রেশন হ্রাস রোধে জরুরি তহবিলের আবেদন ডব্লিউএফপি’র

ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা পাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

ইসলামের ছদ্মাবরণে উগ্রপন্থা ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে

ধর্ষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে নারীদের সমাবেশ

রাষ্ট্রকাঠামোর পরতে পরতে ফ্যাসিবাদের ছায়া বিদ্যমান : ১১৯ নাগরিক

নাহিদের এনসিপি থেকে তিন নেতার পদত্যাগ

রোজায় সবজির দাম সহনীয় নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল

ঈদযাত্রার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ

৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যুর তারিখ নির্ধারণ

দেশি-বিদেশি সফল উদ্যোক্তাদের পুরস্কার দেবে বিডা

শেরপুরে সুবাস ছড়াচ্ছে লিচুর মুকুল

অয়েল ট্যাংকার বিক্রি করবে এমজেএলবিডি

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে

কুষ্টিয়ায় নারী উদ্যোক্তাকে অনৈতিক প্রস্তাব যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার

গফরগাঁওয়ে নতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যোগদান

কুলাউড়ায় পুত্রসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক