জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ : কিছু প্রাসঙ্গিক কথা

Daily Inqilab রিন্টু আনোয়ার

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ নিয়ে সব মহলে আলোচনা হচ্ছে। এর সঙ্গে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশও করা হয়েছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গ্রেটার ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি বা রাজধানী মহানগর সরকার গঠনের সুপারিশ তো রয়েছেই। বাস্তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা অপেক্ষার ও দেখার বিষয়। কারণ, সুপারিশ বা প্রস্তাব মোটেই সিদ্ধান্ত নয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে। এর ভিত্তি দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার। বাস্তবায়ন হবে রাজনৈতিক তথা নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। তাই অপেক্ষাটা একটু দীর্ঘ হওয়াই স্বাভাবিক।

প্রশাসনে কিছু সংস্কার এবং বিকেন্দ্রীকরণের কাজ শুরু হয়েছিল প্রেসিডেন্ট এরশাদের হাতে। সেটার ফলো আপ হয়নি। বরং এরশাদ পতনের পর তা থিতিয়ে পড়ে। কিন্তু, প্রশাসন সংস্কারের আবেদন ও তাগিদ থেকেই যায়। সে তাগিদ আবার এলো অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মাধ্যমে। এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, উন্নয়নের ধারা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ কমানো, দুর্নীতির লাগাম টানা, সরকার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের অংশগ্রহণ বাড়ানো। সর্বোপরি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। উন্নয়নকে তৃণমূল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া, ইউনিয়ন, জেলা-উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনসহ গোটা স্থানীয় সরকারকে কর্মতৎপর রাখার কথা সব দলই বলে। কিন্তু, ফাঁক বা গোলমাল তৈরি হয় কাজকর্মে।

মানুষের ঢল থামিয়ে তা সারাদেশে জেলা শহরে, উপজেলা সদরে এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে গেলে প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকারে বিন্যাস দরকার, তা এখন সবারই উপলব্ধি। উন্নয়ন, প্রশাসন ও সরকার ব্যবস্থার তৃণমূলে ইউনিয়ন পরিষদ। একসময় এই ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থা খুবই শক্তিশালী ছিল। পরে যোগ হয়েছে উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, যেখানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। সংসদ সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষমতার এখতিয়ার নিয়ে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে এবং রাজনৈতিক ভুল দৃষ্টিভঙ্গির সুযোগে উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে। কার্যত এই ব্যবস্থা কাগজে-কলমে বিদ্যমান থাকলেও স্থানীয় সরকার পর্যায়ে উপজেলা পরিষদ হয়ে পড়ে কেবলই কিছু লোকের কর্মযজ্ঞের আইডেন্টিটি। এ নিয়ে আমার কিছু কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নয়ন করা সম্ভব নয়Ñ এ উপলব্ধি থেকে যুক্ত হয়েছিলাম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অভিযাত্রায়। থানাকে উপজেলা, মহকুমাকে জেলা এবং দুটি বিভাগ করা হয়েছিল তার সময়ে। অপ্রয়োজনীয় কিছু দপ্তর বিলুপ্তির পাশাপাশি তিনি গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য এলজিআরডি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংস্কারের আরো সম্প্রসারণে প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে জনমত গঠনে একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটিও হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, শাসনতান্ত্রিক সংস্কার ও বিকেন্দ্রীকরণ। কাজটি করতে গিয়ে আমার নিজের তথ্যজ্ঞানসহ কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা প্রিয় পাঠকদের সঙ্গে একটু শেয়ার করতে চাই।

বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এলাকায় রয়েছে বনভূমি। এর মধ্যে বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ১,০০৮টি নদ-নদী নিয়ে ২২,১৫৫ কিলোমিটার জায়গা দখল করে আছে আমাদের নদীপথ। এই নদীপথের বিশাল অংশ জুড়ে আছে ধু-ধু বালুচর। তাও শাসন-প্রশাসনের বাইরে নয়।

ঢাকা শহরের যে আয়তন, তাতে বিশ্বের অন্যান্য আদর্শ শহরের মতো করে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ লোক বাস করতে পারে। কিন্তু, বাস্তবে তা কম-বেশি আড়াই কোটি। ঢাকার রাস্তা, পার্ক, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, শিক্ষা-চিকিৎসা, বিনোদন ইত্যাদি তাদের জন্য অকুলান। জাতিসংঘের হিসাবে বিশ্বের একটি স্বাস্থ্যকর শহরের প্রতি একর এলাকায় ৭০ থেকে ৮০ জন নাগরিকের বসবাস করা উচিত। এটা সর্বোচ্চ ১২০ জন পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় তা ৭০০ থেকে ৮০০ জন বসবাস করে। অথচ, জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের টোকিওতে মোট ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস করে। কিন্তু সেখানে প্রতি একরে ৯০ জনের কম মানুষ বাস করে। সিঙ্গাপুরের মতো বহুতল ভবনসমৃদ্ধ শহরে তা ৮০ জন, সিডনিতে ৫৮ জন ও নিউইয়র্কে ১১২ জন।

বাংলাদেশের ভালো সবকিছুই ঢাকাকেন্দ্রিক। ভালো স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, হাসপাতাল, নার্সিংহোম সবকিছু এই ঢাকাতেই। শিক্ষার জন্য বা চাকরি নিয়ে যারা একবার ঢাকায় আসেন তারা আর নিজ জেলায় ফিরে যেতে চান না। তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। ঢাকার বাইরে জীবিকা ও সুযোগ-সুবিধার বিস্তার থাকলে তারা নিশ্চয়ই এভাবে ঢাকাকেন্দ্রিক হতেন না। আর তাই সেইক্ষেত্রে দেশকে ৮টি প্রদেশে বিভক্ত করা উচিত ছিল ওই প্রস্তাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবনায় মাত্র ৪টি করার কথা বলা হয়েছে।

থিম এবং স্পিরিট একই। বাংলাদেশসহ ৭টি দেশ নিয়ে যে সার্ক গঠিত হয়েছে তার মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকায়সহ কয়েকটি দেশে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও একই শাসন ব্যবস্থা বলবৎ রয়েছে, যেখানে আমাদের দেশের একটি বিভাগের জনসংখ্যার চেয়েও কম জনসংখ্যার দেশে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তিত রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশেও এ পদ্ধতি প্রবর্তন করতে কোনো বাধা থাকা উচিত নয়।

নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধির আলোকে এখন আমাদের নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা চিন্তা করতেই হবে। সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, দ্রুত উন্নয়ন এবং নতুন শতকে অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশকেও অগ্রসর হতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে অনেকেই মনে করেন, একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রস্তাবিত প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের আর কোনো বিকল্প নেই। এই ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলে গোটা দেশে উন্নয়নের ভারসাম্যও নিশ্চিত হবে। এতে বেকার সমস্যা হ্রাস পাবে এবং দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ঢাকায় জনসংখ্যার চাপ কমবে। উন্নয়নের ধারা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ কমানোর জন্য, দুর্নীতি হ্রাস করার জন্য, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য, সরকার ব্যবস্থায় অধিক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য এবং সর্বোপরি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা বিবেচনায় অতি জরুরি।

এ কথা বলাই যায়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী ও তার সহকর্মীরা এ রিপোর্টটি তৈরিতে অনেক খেটেছন। খাটতে হয়েছে। তাদের প্রস্তাবনায় নয়াদিল্লির একটি আদল রয়েছে। যেখানে কেন্দ্র শাসিত রাজধানী মহানগর সরকার গঠন করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যাসের কথা আছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদবি পরিবর্তন, জেলা পরিষদ বাতিল, উপজেলা পর্যায়ে একজন এএসপিকে ‘জননিরাপত্তা অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার মতো সুপারিশও রয়েছে। একটির বদলের তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন এবং উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে আনার মতো প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

‘জেলা প্রশাসক’ পদবি পরিবর্তন করে ‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কমিশনার’ করার সুপারিশ করা হয়েছে। ইংরেজিতে ‘ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট’ ও ‘ডিসট্রিক্ট কমিশনার’ হওয়ার সুবাদে সংক্ষিপ্ত রূপ ‘ডিসি’ অপরিবর্তিত থাকবে। অনেক দিন থেকেই এ নিয়ে সমালোচনা চলছিল। ডেপুটি কমিশনার, ডিস্ট্রিক কমিশনার বা ডিস্ট্রিক কালেকটরের বাংলা অনুবাদ মোটেই জেলা প্রশাসক হয় না। সেই আলোকে ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার’ পদবি বদলে ‘উপজেলা কমিশনার’ করতে বলা হয়েছে। ইংরেজিতে যা অভিহিত হবে সাব-ডিসট্রিক্ট কমিশনার বা এসডিসি হিসেবে। এছাড়া, ‘অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)’ এর স্থলে ‘অতিরিক্ত জেলা কমিশনার (ভূমি ব্যবস্থাপনা)’ করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা কমিশনারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সি আর মামলা (নালিশি মামলা) প্রকৃতির অভিযোগগুলো গ্রহণের ক্ষমতা দেয়ার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। বলা হয়েছে, ‘তিনি অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য উপজেলার কোনো কর্মকর্তাকে বা সমাজের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে সালিশী বা তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারবেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হলে থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবেন।’

উপজেলা পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থাপনের সুপারিশ রয়েছে প্রতিবেদনে। দেওয়ানি ও ফৌজদারি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পুনঃস্থাপন করা হলে নাগরিকরা উপকৃত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছে কমিশন। থানার অফিসার ইন চার্জÑ ওসি’র কাজ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার তদারকির জন্য উপজেলা পর্যায়ে একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে ‘উপজেলা জননিরাপত্তা অফিসার’ হিসেবে পদায়নের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। বলা হয়েছে, ‘এর ফলে থানার জবাবদিহিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।’

দেশের জনসংখ্যা ও সরকারের কার্যপরিধির নিরিখে বর্তমান প্রশাসনিক ও স্থানীয় সরকার কাঠামো যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা এই চার বিভাগে বিভক্ত ছিল। বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে পুরনো চার বিভাগের সীমানা ধরে চারটি প্রদেশ করে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে কমিশন। এর ফলে এককেন্দ্রিক সরকারের পক্ষে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার সুযোগ হ্রাস পাবে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা শহরের ওপর চাপ কমবে। এছাড়া, জেলা পরিষদ বাতিল ও উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করতেও বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে প্রতিবেদনে। বর্তমানে ক্যাডার ও নন ক্যাডার সার্ভিসের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীনে। তবে, সরকারকে দেওয়া প্রস্তাবে তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। ক্ষেত্রগুলো হলোÑ সাধারণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। সিভিল সার্ভিসের আওতায় ‘একীভূত ক্যাডার সার্ভিস’ এর বদলে ‘কাজের ধরন ও বিশেষায়িত দক্ষতা’ অনুযায়ী আলাদা নামকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে চালু বিভিন্ন ক্যাডারকে ১২টি প্রধান সার্ভিসে বিন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া উপসচিব পদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে আনার প্রস্তাব আছে কমিশনের প্রতিবেদনে। সচিব নিয়োগে মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন, সিনিয়র সচিব পদটির পরিবর্তে মুখ্য সচিব পদ চালুর সুপারিশও রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা কমিয়ে আনার তাগিদ আসছিল অনেক দিন থেকে। বর্তমানে ৪৩টি মন্ত্রণালয় এবং ৬১টি বিভাগ রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রণালয়গুলোকে যুক্তিসঙ্গতভাবে হ্রাস করে কমিশন মোট ২৫টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টি বিভাগে পুনর্বিন্যাস করার সুপারিশ করছে।’ মন্ত্রণালয়গুলোকে পাঁচটি গুচ্ছে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো: বিধিবদ্ধ প্রশাসন, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য, ভৌত অবকাঠামো ও যোগাযোগ, কৃষি ও পরিবেশ, মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন। এসব প্রস্তাব বা সুপারিশ রাখতেই হবেÑ এমন কথা কোথাও বলা হয়নি। তা উচিতও নয়। তবে, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে অনেক কিছু।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
rintu108@gmail.com


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বালাকোট যুদ্ধ : মুসলিম নবচেতনার মাইলফলক
বেগম জিয়ার বীরোচিত প্রত্যাবর্তন : মাইনাস টু নিয়ে ভারতীয় প্রোপাগান্ডার বেলুন ফুটো
অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সংকট বাড়ছে
আওয়ামী লীগ ঘাতক ও সন্ত্রাসী দল
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা : সম্ভাবনার পথ অন্বেষণ করতে হবে
আরও
X
  

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে দুই ছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে দুই ছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু

বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধানের সম্পদ জব্দের নির্দেশ, ৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধানের সম্পদ জব্দের নির্দেশ, ৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল ৩৭% পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল ৩৭% পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

লক্ষ্মীপুর শহরে ওভারব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

লক্ষ্মীপুর শহরে ওভারব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নষ্ট হচ্ছে ১৫৩কোটি টাকার মেশিনারি

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নষ্ট হচ্ছে ১৫৩কোটি টাকার মেশিনারি

খালেদা জিয়া কখনো স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোস করেননি: কাদের গনি

খালেদা জিয়া কখনো স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোস করেননি: কাদের গনি

পাকুন্দিয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ২ ছাত্রী নিহত,  ১জন আহত

পাকুন্দিয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ২ ছাত্রী নিহত, ১জন আহত

ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকাল নাটোর পৌরবাসি

ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকাল নাটোর পৌরবাসি

গোয়ালন্দে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

গোয়ালন্দে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

চান্দিনায় ন্যায্যমূল্যের  পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে   কে এম জামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে

চান্দিনায় ন্যায্যমূল্যের  পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে   কে এম জামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে

পাবিপ্রবির ছাত্র হল-১ এর প্রভোস্ট হলেন ড. শাহজাহান আলী

পাবিপ্রবির ছাত্র হল-১ এর প্রভোস্ট হলেন ড. শাহজাহান আলী

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বিদায়

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বিদায়

ভূঞাপুরে মাদক ৩ কারবারির কারাদন্ড

ভূঞাপুরে মাদক ৩ কারবারির কারাদন্ড

আমাদের প্রয়োজন অংশীদার, উপদেশদাতা নয় : জয়শঙ্কর

আমাদের প্রয়োজন অংশীদার, উপদেশদাতা নয় : জয়শঙ্কর

নারায়ণগঞ্জে হকার হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জে হকার হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন

পবিপ্রবি'র পোস্ট গ্রাজুয়েট ¯ট্যাডিজ এর ৭০ তম সভা অনুষ্ঠিত

পবিপ্রবি'র পোস্ট গ্রাজুয়েট ¯ট্যাডিজ এর ৭০ তম সভা অনুষ্ঠিত

হাঁস নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মীরসরাইয়ে বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যা

হাঁস নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মীরসরাইয়ে বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যা

ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ

ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ

পাকিস্তানের পক্ষে ৫৭ মুসলিম দেশ, চিন্তায় ঘুম নেই ভারতের

পাকিস্তানের পক্ষে ৫৭ মুসলিম দেশ, চিন্তায় ঘুম নেই ভারতের

এবার হত্যার হুমকি পেলেন শামি

এবার হত্যার হুমকি পেলেন শামি