হাসিনা ও ভারতের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

গণঅভ্যুত্থানের ঠিক ৬ মাসের মাথায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়িটি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। দেশজুড়ে (অন্তত ২৪ জেলায়) আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগও করেছে। যেখানে ৫ আগস্ট হাসিনার পতন ও পলায়নের পর এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়ার কথা, সেখানে ছয় মাস পর তা কেন হলো, এ প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। এর কারণ হিসেবে পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, ওইদিন শেখ হাসিনা যদি ভারত থেকে অনলাইনে রাত ৯টায় তার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। তার বক্তব্য দেয়ার ঘোষণায়ই ছাত্র-জনতা ফুঁসে ওঠে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন ‘বুলডোজার’ ও ‘মার্চ টু ৩২’ নামে কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা ঘোষণা করে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে সময় থেকে বক্তব্য শুরু করবেন, সেই সময় থেকে ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া শুরু হবে। ঘটনাও তাই ঘটেছে। যখন হাসিনা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন, তখন ছাত্র-জনতাও বুলডোজার, এক্সকেভেটর এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে ওই বাড়িকে ফ্যাসিবাদের আঁতুড় ঘর আখ্যা দিয়ে আগুন দেয়া ও ভাঙা শুরু করে। তারা ধানমন্ডিতে হাসিনার বাড়ি সুধা সদনেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ফ্যাসিবাদের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা থেকে শেখ মুজিব, শেখ হাসিনার নামে করা হল, নামফলক ও মুরাল মুছে দেয়। ছাত্র-জনতা তাদের এই ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগকে হাসিনার ‘দম্ভচূর্ণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ছাত্র-জনতার এই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকে তাদের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ বলে পর্যবেক্ষকরা অভিহিত করেছেন।

শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে গণহত্যা ও অপরাধের জন্য তার কোনো অনুশোচনা ছিল না। ছিল, শুধু দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি প্রতিশোধ নেয়ার জিঘাংসা। তার বক্তব্যে মানুষের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়ার জন্য তার নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ ছিল। তার এই উসকানিমূল্যক বক্তব্যই ছাত্র-জনতাকে বিক্ষুব্ধ ও তাতিয়ে দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তার এই দম্ভ ধুলিস্যাত করে দিতে ৩২ নম্বরের বাড়িসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার এই ক্রোধের বহিঃপ্রকাশকে কেউ কেউ ইনিয়ে-বিনিয়ে ঠিক হয়নি বললেও সচেতন মহল মনে করেন, এর জন্য হাসিনা নিজেই দায়ী। কারণ, তিনি পালিয়ে গিয়েও জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে ষড়যন্ত্র বন্ধ করেননি। তিনি মোদির সাথে যৌথ প্রযোজনায় একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞকে উসকিয়ে দিয়েছেন। এটা হাসিনা ও মোদির নতুন কৌশল। নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা। ফলে, ওইদিন ছাত্র-জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটা স্বাভাবিক ছিল। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিবৃতিতেও এই কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে মানুষের মনে যে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, এটি তার বহিঃপ্রকাশ। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হতো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাস্থ ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন ভাদেকে তলব করে। ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্র দেয়। পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, ৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা যে ক্রোধ ঢেলে দিয়েছে, তা ওইদিন পর্যন্ত ঠিক ছিল। পরবর্তীতে যে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, তা দেশকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। এমন কিছু হোক, তেমন উদ্দেশ্যেই হাসিনা ওই বিদ্বেষ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এটা একটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রতিপন্ন করতে হাসিনা ও ভারতের একটি সূক্ষ্ম চাল। ভিন্নমাত্রার এ কৌশল ছাত্র-জনতাকে বুঝতে হবে এবং তা এড়িয়ে যেতে হবে। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চলতে থাকলে তা অন্যদিকে মোড় নেবে এবং তা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হলে, ভিন্ন কোনো শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার সুযোগ নিতে পারে। এমনকি, সরকার পারছে না বলে সামরিক শাসনও চলে আসতে পারে। এতে লাভ হবে হাসিনা ও ভারতের। তারা এটাই চাচ্ছে। অন্যকোনো শক্তি বা সামরিক শাসন জারি হলে তাদের ফেরার পথ মসৃণ হবে। দেশ আবারও ফ্যাসিস্টের কবলে পড়বে। ছাত্র-জনতাকে বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। প্রতি পদক্ষেপে তাদের সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টের ফেরার পথ তাদেরকে যেমন বন্ধ করতে হবে, তেমনি দেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের অতন্দ্র প্রহরীও হতে হবে। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সঠিকভাবেই বলেছেন, আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আধিপত্যবাদ মোকাবেলা করছি। নিছক কিছু মূর্তি বা দালান নয়। আমাদের উচিৎ, শত্রুদের শক্তির বিপরীতে পাল্টা চিন্তা, শক্তি ও হেজিমনি গড়ে তোলা। ভাঙার প্রকল্প থেকে সরে এসে আমাদের গড়ার প্রকল্প হাতে নেয়া উচিৎ। অন্তর্বর্তী সরকার যথার্থভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, দেশজুড়ে ‘পপুলার ইস্যু’কে পুঁজি করে যে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, তা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগে ফ্যাসিস্ট শক্তির পথ প্রশস্ত করা। ফলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সরকার এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করে বলেছে, কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকা-কে শক্তভাবে প্রতিহত করবে। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

এটা এখন পরিস্কার, গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পূর্তির দিন পলাতক শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির নতুন মিশনে নেমেছেন। ভারত ও তিনি মিলে নতুন ফাঁদ তৈরি করেছেন। গণঅভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং জনগণের উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তার নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য উসকানি দিয়েছেন। ছাত্র-জনতাকে এ ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। সতর্ক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত, জনমনে ক্ষোভের উৎস হিসেবে অফিস-আদালতসহ যেসব প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিব, শেখ হাসিনাসহ তাদের পরিবারের ছবি ও চিহ্ন রয়েছে, তা সরিয়ে ফেলা। এগুলো বহাল থাকলে কিংবা চোখের সামনে থাকলে মানুষের ক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক। ইতোমধ্যে সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনপ্রশাসন ও সেনাপ্রধানের অফিসে শেখ মুজিবের ছবি ঝুলিয়ে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সচেতন মহলের মতে, গণঅভ্যুত্থান সংবিধান মেনে হয়নি। ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটাতে হয়েছে। কাজেই, ফ্যাসিবাদের সাথে সম্পৃক্ত, এমন কোনো চিহ্ন কোথাও রাখা যাবে না। জনপ্রশাসন, আদালত, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবিসহ গণমাধ্যমকে বুঝতে হবে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের কাছে অচ্ছুৎ ও অপ্রাসঙ্গিক। তাদের রাজনীতি দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বালাকোট যুদ্ধ : মুসলিম নবচেতনার মাইলফলক
বেগম জিয়ার বীরোচিত প্রত্যাবর্তন : মাইনাস টু নিয়ে ভারতীয় প্রোপাগান্ডার বেলুন ফুটো
অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সংকট বাড়ছে
আওয়ামী লীগ ঘাতক ও সন্ত্রাসী দল
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা : সম্ভাবনার পথ অন্বেষণ করতে হবে
আরও
X
  

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে দুই ছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে দুই ছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু

বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধানের সম্পদ জব্দের নির্দেশ, ৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধানের সম্পদ জব্দের নির্দেশ, ৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল ৩৭% পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল ৩৭% পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

লক্ষ্মীপুর শহরে ওভারব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

লক্ষ্মীপুর শহরে ওভারব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নষ্ট হচ্ছে ১৫৩কোটি টাকার মেশিনারি

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নষ্ট হচ্ছে ১৫৩কোটি টাকার মেশিনারি

খালেদা জিয়া কখনো স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোস করেননি: কাদের গনি

খালেদা জিয়া কখনো স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোস করেননি: কাদের গনি

পাকুন্দিয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ২ ছাত্রী নিহত,  ১জন আহত

পাকুন্দিয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ২ ছাত্রী নিহত, ১জন আহত

ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকাল নাটোর পৌরবাসি

ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকাল নাটোর পৌরবাসি

গোয়ালন্দে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

গোয়ালন্দে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

চান্দিনায় ন্যায্যমূল্যের  পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে   কে এম জামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে

চান্দিনায় ন্যায্যমূল্যের  পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে   কে এম জামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে

পাবিপ্রবির ছাত্র হল-১ এর প্রভোস্ট হলেন ড. শাহজাহান আলী

পাবিপ্রবির ছাত্র হল-১ এর প্রভোস্ট হলেন ড. শাহজাহান আলী

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বিদায়

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বিদায়

ভূঞাপুরে মাদক ৩ কারবারির কারাদন্ড

ভূঞাপুরে মাদক ৩ কারবারির কারাদন্ড

আমাদের প্রয়োজন অংশীদার, উপদেশদাতা নয় : জয়শঙ্কর

আমাদের প্রয়োজন অংশীদার, উপদেশদাতা নয় : জয়শঙ্কর

নারায়ণগঞ্জে হকার হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জে হকার হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন

পবিপ্রবি'র পোস্ট গ্রাজুয়েট ¯ট্যাডিজ এর ৭০ তম সভা অনুষ্ঠিত

পবিপ্রবি'র পোস্ট গ্রাজুয়েট ¯ট্যাডিজ এর ৭০ তম সভা অনুষ্ঠিত

হাঁস নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মীরসরাইয়ে বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যা

হাঁস নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মীরসরাইয়ে বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যা

ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ

ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ

পাকিস্তানের পক্ষে ৫৭ মুসলিম দেশ, চিন্তায় ঘুম নেই ভারতের

পাকিস্তানের পক্ষে ৫৭ মুসলিম দেশ, চিন্তায় ঘুম নেই ভারতের

এবার হত্যার হুমকি পেলেন শামি

এবার হত্যার হুমকি পেলেন শামি