ইউনূস-মোদি বৈঠক : একটি পর্যালোচনা

Daily Inqilab ড. বি এম শহীদুল ইসলাম

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ এএম

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত বিমসটেক। দেশগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভূটান, মিয়ানমার, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও থাইল্যান্ড। বিমসটেক হচ্ছে, ‘বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড কোঅপারেশন’। অর্থাৎ, বঙ্গোপসাগরীয় বহুখাতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ। এ সংস্থাটি ১৯৯৭ সালের ৬ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। সম্প্রতি দুদিন ব্যাপী বিমসটেক-এর গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের ফাঁকে বহুল আলোচিত বাংলাদেশ-ভারতের বৈরী সম্পর্কের বিপরীতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ‘সাংরি লা’ হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অভিন্ন উন্মুক্ত আলোচনার জন্য একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শত ব্যস্ততার মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই বৈঠকে তাদের পরস্পরের মধ্যে ৪০ মিনিট ধরে আলোচনা হয়। বৈঠকটি আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রেস উইং জানিয়েছে, তাদের বিনিময় ছিল ‘অকপট, ফলপ্রসূ এবং গঠনমূলক’।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বৈঠকে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। ড. ইউনূস অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্ব পারস্পরিক সম্পর্কের ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত’। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন আমাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে ভারতের সরকার ও জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, গত আট মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে অসংখ্য দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ড. ইউনূস বলেন, আমাদের উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সম্পর্ককে সঠিক পথে নিয়ে যেতে আমরা আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’ উল্লেখ্য যে, ড. ইউনূস এ বছর বিমস টেকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বিমসটেকের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি মুক্তবাণিজ্য চুক্তির জন্য ভারতের সহায়তা কামনা করেছেন। দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে তিনি গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, ‘দুই প্রতিবেশী দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সভ্যতা, সাংস্কৃতি ওৎপ্রোতভাবে জড়িত এবং এটি বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই চলে আসছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক মর্যাদার কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তার প্রতিটি বক্তব্যকে আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করেন। তিনি বলেন, ভারত সব সময় প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করবে। এসব কথার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের জনগণের যে বৈরী সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।

মোদির সাথে আলাপকালে ড. ইউনূস জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন, যেখানে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওএইচসিএইচআর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিক্ষোভ-সম্পর্কিত ১ হাজার ৪০০ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু ছিল। এ ধরনের জঘন্যতম হত্যাকা- পৃথিবীতে বিরল। পৃথিবীর কোনো সরকার প্রধান এমন নিকৃষ্টতর ঘটনা ঘটাতে পারেন না। এমন জঘন্যতম গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ এ হত্যাযজ্ঞের বিচার নিশ্চিত করতে চায়। তিনি মোদিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন; বিক্ষোভ চলাকালে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে গণহত্যা, নির্যাতন ও অন্যান্য অমানবিক কর্মকা-ের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট যৌক্তিক ভিত্তিও প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্বব্যাপী এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ ও উপযুক্ত সাক্ষী। এটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সামান্যতম সুযোগও নেই।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং নির্দিষ্টভাবে তাদের চক্রের নেতাদের গ্রেফতার করা, তাদের হত্যা করা এবং তাদের লাশ লুকিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে করে লাশের কোনো চিহ্ন পাওয়া না যায়। এর জবাবে শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে টানাপোড়েনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়ী করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদির এমন ভাষ্যকে মানতে সম্পূর্ণভাবে নারাজ। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণ মনে করে নরেন্দ্র মোদির এমন বক্তব্য হাসিনা প্রীতির বহিঃপ্রকাশ মাত্র। মোদি বলেন, ‘ভারত শুধু দেশের সঙ্গে আছে, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে নয়।’ মোদির এমন বক্তব্যে বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, যদি পক্ষপাতমূলক না হয়ে থাকে তাহলে ভারত সরকার তার প্রমাণ দেখাক যে, তারা হাসিনার মতো কোনো ব্যক্তির সাথে নেই। থাইল্যান্ড বৈঠকে ড. ইউনূস সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সামনে উত্থাপন করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, প্রাণহানির সংখ্যা হ্রাসে একসঙ্গে কাজ করা কেবল অনেক পরিবারেরই বড় যন্ত্রণা রক্ষা করবে না, বরং আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলতে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করবে। এসব হত্যাকা- প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন এসব হত্যাকা- ঘটে তখন আমি সবসময় কষ্ট পাই।’ সুতরাং কষ্ট লাঘবে আপনাদের কারণীয় ঠিক করতে হবে। মোদি বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী শুধু আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে এবং ভারতীয় ভূখ-ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দুই নেতা এ বিষয়ে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্বেগের উপযুক্ত জবাব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনগুলো ব্যাপকভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বড় করা হয়েছে এবং এর বেশিরভাগই ভুঁয়া খবর। তিনি ভারতের এ নেতাকে কথিত হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য বাংলাদেশে সাংবাদিক পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ড. ইউনূস বলেন, তিনি দেশে ধর্মীয় ও লিঙ্গ সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তার সরকার এ ধরনের ঘটনা রোধে গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। শেষ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এ সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মনে করে, ভারত বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক আচরণ করবে। কোনো ধরনের বৈরী আচরণ বাংলাদেশ ভারতের নিকট থেকে প্রত্যাশা করে না।

লেখক: শিক্ষাবিদ গবেষক ও কলামিস্ট।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বালাকোট যুদ্ধ : মুসলিম নবচেতনার মাইলফলক
বেগম জিয়ার বীরোচিত প্রত্যাবর্তন : মাইনাস টু নিয়ে ভারতীয় প্রোপাগান্ডার বেলুন ফুটো
অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সংকট বাড়ছে
আওয়ামী লীগ ঘাতক ও সন্ত্রাসী দল
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা : সম্ভাবনার পথ অন্বেষণ করতে হবে
আরও
X
  

আরও পড়ুন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ‘মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা’ দিল এনসিপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ‘মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা’ দিল এনসিপি

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: আলী রীয়াজ

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: আলী রীয়াজ

৯ দিন ধরে বন্ধ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অগ্রগতি নেই তদন্ত কমিটির

৯ দিন ধরে বন্ধ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অগ্রগতি নেই তদন্ত কমিটির

ভূরুঙ্গামারীতে অটো রিক্সার ধাক্কায় বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু

ভূরুঙ্গামারীতে অটো রিক্সার ধাক্কায় বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু

"রাবি শিক্ষার্থীদের পেটানোর হুমকি: ভাইরাল স্ক্রিনশটে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতার নাম!"

"রাবি শিক্ষার্থীদের পেটানোর হুমকি: ভাইরাল স্ক্রিনশটে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতার নাম!"

পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের অভিযোগে উদ্বিগ্ন ওআইসি

পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের অভিযোগে উদ্বিগ্ন ওআইসি

সোনারগাঁওয়ে মাদক ব্যবসায়ী জীবনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

সোনারগাঁওয়ে মাদক ব্যবসায়ী জীবনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

লক্ষ্মীপুর শহরে ওভারব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

লক্ষ্মীপুর শহরে ওভারব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

আশুলিয়ায় তীব্র লোডশেডিং, জনজীবনে চরম ভোগান্তি

আশুলিয়ায় তীব্র লোডশেডিং, জনজীবনে চরম ভোগান্তি

অবৈধ অভিবাসন বন্ধে ইতালির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই

অবৈধ অভিবাসন বন্ধে ইতালির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই

এটিএম আজহারকে নিয়ে জামায়াত আমিরের হৃদয়ছোঁয়া স্ট্যাটাস

এটিএম আজহারকে নিয়ে জামায়াত আমিরের হৃদয়ছোঁয়া স্ট্যাটাস

উচ্চপদস্থ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন

উচ্চপদস্থ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন

এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুদান বাতিল করল ট্রাম্প প্রশাসন

এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুদান বাতিল করল ট্রাম্প প্রশাসন

লক্ষ জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বাসার পথে খালেদা জিয়া

লক্ষ জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বাসার পথে খালেদা জিয়া

ধর্ষণের অভিযোগে মামলার মুখে হিরো আলম

ধর্ষণের অভিযোগে মামলার মুখে হিরো আলম

খালেদা-তারেককে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে: মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

খালেদা-তারেককে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে: মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

হজযাত্রীর ভিসা প্রক্রিয়া: এখনো ৪ হাজার ৩৬৫ জনের ভিসা বাকি

হজযাত্রীর ভিসা প্রক্রিয়া: এখনো ৪ হাজার ৩৬৫ জনের ভিসা বাকি

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

জোবাইদা রহমানকে বরণে প্রস্তুত ধানমন্ডির মাহবুব ভবন

জোবাইদা রহমানকে বরণে প্রস্তুত ধানমন্ডির মাহবুব ভবন

পোপ ফ্রান্সিসের শেষ ইচ্ছা: নিজের গাড়িকে গাজায় শিশুদের জন্য রূপান্তরিত ক্লিনিক

পোপ ফ্রান্সিসের শেষ ইচ্ছা: নিজের গাড়িকে গাজায় শিশুদের জন্য রূপান্তরিত ক্লিনিক