জেনে নিন কেন বয়কট করবেন কঙ্গনার 'ইমার্জেন্সি' সিনেমা!

তরিকুল সরদার

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

একটি সিনেমা যার অধিকাংশ দৃশ্যই অসত্য তথ্য এবং বিতর্কিত ইতিহাসে ঠাঁসা। সিনেমাটিতে যেমন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসকে করেছে বিকৃত। এমনকি সিনেমাটি এতটাই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে যে, ইংল্যান্ডে রীতিমতো এই সিনেমা বন্ধ করতে আন্দোলন হয়েছে। তাছাড়া দেশটিতে এই বিতর্কিত সিনেমাটি বন্ধ করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বলছি সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বলিউড সিনেমা 'ইমার্জেন্সি'র কথা।

প্রথমত, সিনেমাটিতে মুজিবকে ভারতের দালাল বানানোর পাশাপাশি অস্বীকার করা হয়েছে বাংলার আপামর জনগণের আত্মত্যাগকে। এই সিনেমায় শেখ মুজিবকে বলতে দেখা যায়, 'ভারতমাতা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। আজ আমরা শপথ নিচ্ছি, যতদিন এখানে ব্রহ্মপুত্রের পানি বইবে, যতদিন আমরা বাংলা বলব, ততদিন আমরা ভারতমাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে যাব।’

এছাড়াও জনতার উদ্দেশ্যে মুজিব চরিত্র দিয়ে বলা হয়, ‘এত জোরে আপনারা ইন্দিরা গান্ধীর নামে জয়ধ্বনি দিন, যাতে তার রেশ দিল্লি পর্যন্ত শোনা যায়।’’ অতঃপর ‘‘জয় মা ইন্দিরা, জয় বাংলা’’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ব্রহ্মপুত্রের তীর।

দ্বিতীয়ত, সিনেমাটির গল্প,পরিচালনা এবং অভিনয় করেছে ভারতের অন্যতম বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াত। কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী এই বিজেপি সাংসদ প্রায়শই বাংলাদেশ নিয়ে করে থাকেন নোংরা মন্তব্য। এমনকি শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর কঙ্গনা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, তারা হাসিনাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে। তারপর থেকেই দেশে ভারতের একটার পর একটা বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্ত এবং ধর্মীয় দাঙ্গা বাঁধানোর পাঁয়তারা দেখা যাচ্ছে।

তৃতীয়ত, এই বিতর্কিত অভিনেত্রী এবং তার দল ইসলামের চিরশত্রু ইসরায়েলের অন্যতম বন্ধু। কঙ্গনা কেবল ইসরায়েলকে সাপোর্ট–ই করে না পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের করে চরমভাবে ঘৃণা। তাই স্বাভাবিকভাবেই এমন বহুল বিতর্কিত একটি সিনেমা, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা এবং মুসলিম বিদ্বেষী হওয়ায় 'ইমার্জেন্সি' সিনেমা বয়কট করা এখন সময়ের দাবি।

বিভাগ : বিনোদন