এখন যারা গান করছে তারা গানের গ্রামার জেনে গানের চর্চা করছে না -ফেরদৌসী রহমান
০২ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
৮২ বছর বয়সেও প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বিটিভির ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতশিক্ষা বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এসো গান শিখি’ করে যাচ্ছেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক সঙ্গীতশিল্পী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, গানের প্রতি মমত্ববোধ থেকেই এখনো বিটিভির ‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানি করি, যাতে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আমি গানে আমার জ্ঞানটুকু দিয়ে যেতে পারি। তিনি এসময়ের শিল্পীদের নিয়ে বলেন, এখন যারা গান করছে, তারা গানের গ্রামার জেনে গানের চর্চাটা করছে না। বাকী সব ঠিকই করছে। গান আসলে সাধনার বিষয়। এর বিকল্প বা শর্টকাট কোন রাস্তা নেই। তিনি বলেন, এখন খুব বেশি প্রয়োজন না হলে, জরুরী কাজ না থাকলে ঘরের বাইরে যাই না। ঘরে বসে যাদের গান ভালোলাগে মাঝে মাঝে তাদের গান শুনি। যেমন শাহনাজ রহমতুল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, কনকচাঁপা, শাকিলা জাফর, আলম আরা মিনু-এদের সবার কন্ঠে আমার গান শুনতে ভালো লাগে। শাহনাজ, রুনা, সাবিনার’তো মাইলফলক কিছু গান আছে, যার জন্য শ্রোতা-দর্শক তাদেরকে আজীবন মনে রাখবে। পরবর্তীতে বাপ্পা মজুমদার, ন্যান্সি, কনা, লিজা, অপু আমান, ইউসুফ আহমেদ খানও ভালো করছে। উল্লেখ্য, ফেরদৌসী রহমান একাধারে পল্লীগীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত ও প্লেব্যাক সিঙ্গার। তাঁর সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ফেরদৌসী রহমান প্রথম গান করেন রেডিও’র ‘খেলাঘর’ অনুষ্ঠানে ১৯৪৮ সালে। ‘আসিয়া’ সিনেমাতে তার বাবা পল্লী স¤্রাট আব্বাসউদ্দিনের সুরে আব্দুল করিমের লেখা ‘ও মোর কালারে’ গানটি গান। অবশ্য তার আগেই ‘এদেশ তোমার আমার’ সিনেমা মুক্তির মধ্যদিয়ে একজন প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে তাঁর অভিষেক হয়। ফেরদৌসী রহমানের জন্ম কোচবিহারে ১৯৪১ সালের ২৮ জুন। ফেরদৌসী রহমান বাংলাবাজার স্কুল থেকে এসএসসি, ইডেন কলেজ থেকে এইচএসসি, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স এবং পরবর্তীতে ইউনেস্কো ফেলোশিপ নিয়ে লন্ডনের ট্রিনিটি কলেজ অব মিউজিক থেকে স্টাফ নোটেশন কোর্স সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশেনর ‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খালামনি হিসেবেও এখনো দারুণ জনপ্রিয় তিনি। ফেরদৌসী রহমান হারুনর রশীদ (হারুনুর না) পরিচালিত ‘মেঘের অনেক রং’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রায় ২৬০টি সিনেমাতে গান গেয়েছেন। তিনটি লং প্লে, ৫০০টি ডিস্ক রেকর্ড, প্রায় বিশটি ক্যাসেটসহ পাঁচ হাজারেরও বেশি গান তার রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা