ইতালিতে নড়িয়ার যুবকের মৃত্যু, পরিবারে শোকের ছাঁয়া
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০১ এএম | আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০১ এএম
উন্নত জীবনের আশায় দুই বছর আগে স্ত্রী পরিজন রেখে আলমগীর হাওলাদার মধ্য বয়সে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইতালিতে। কিন্তু প্রবাস জীবনে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই স্ট্রোক জনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। হঠাৎ করেই এমন দুঃসংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আলমগীরের স্বজনরা।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টার দিকে আলমগীর হাওলাদার ইতালির নেপোলি শহরে মৃত্যু বরণ করেছেন। সন্ধ্যায় তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
নিহত আলমগীর হাওলাদার (৪০) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের দিগম্বরপট্টি গ্রামের মৃত নুরু হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নড়িয়ার প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই দুই একজন প্রবাসী রয়েছেন। উন্নত জীবনের আশায় আলমগীর হাওলাদারও বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও তিন ছেলে মেয়ে রেখে দুই বছরেরও অধিক সময় আগে লিবিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশ করেছিলেন। ইতালির নেপোলি শহরে তিনি কাজ করতেন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টার দিকে স্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন আলমগীর। এরপর থেকেই আলমগীর হাওলাদারের স্ত্রী-পরিজনসহ সবাই কান্নায় ভেঙে পরেছেন। তার স্বজনদের একটাই দাবি আলমগীরের মরদেহ দ্রুত দেশে এনে যেন দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
মনির হোসেন হাওলাদার নামে একজন বলেন, আলমগীর সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল সে। স্ত্রী সোনিয়া, ছেলে আব্দুল্লাহ, মেয়ে সুরভী ও মিমের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে দুই বছর আগে লিবিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশ করেছিল সে। ইতালিতে কিছুদিন আগে সে কাজ পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই স্ট্রোক জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। পরিবারের সুখের জন্য বিদেশ গিয়ে প্রাণ হারানোয় সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আমাদের একটাই দাবি তার মরদেহ যেন দ্রুত এনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। নিহত আলমগীরের পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা মরদেহটি দেশে আনার ব্যবস্থা করব। তার পরিবারের পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।
বিভাগ : প্রবাস জীবন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও