পেটের গ্যাসজনিত সমস্যার সমাধান
১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম
স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়ার অংশ গ্যাস বা ফ্লাটাস। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ১৩০০ মিলি গ্যাস পায়ু পথে ০৮ থেকে ২০ বারে বের হয়। গ্যাস পাকস্থলী ও অন্ত্রে অবস্থান করে। অতিরিক্ত বাতাস গলাধঃকরণে ও পেটে খাবারে ব্যাকটেরিয়ার ফারমেন্টেশনে এই গ্যাস তৈরি হয়। কোন কোন সময় এই গ্যাস বা গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা শারীরিক সমস্যা বা সামাজিক লজ্জার কারণ হতে পারে। যেমন ঢেকুর উঠা, পেটে ফাঁপ লাগা, পেটে কামড় দেওয়া বা বার বার বাত কর্মের ইচছা। বেশীর ভাগ রোগীর কোন পাকস্থলী বা অন্ত্রের রোগ থাকে না।
যে সমস্ত খাবারে গ্যাস বাড়ে ঃ
১. দ্রবণীয় ফাইবার(আঁশ)-- ওট ব্রান (তুষ), ফল, ইসুবগুলের ভুষি, সিম ,বরবটি ও মটরশুঁটি ইত্যাদি ফারমেন্টেশনে আতিরিক্ত গ্যাস তৈরি করে।
২. দুধের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে।
৩. বিভিন্ন ফলে ও ভুট্টায় থাকা ফ্রুকটোজ।
৪. শাক-সব্জি,পাতা কপি, ফুল কপি ও ব্রুকলি।
৫. অতিনিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার।
৬. খুব উন্নত, চর্বিযুক্ত ও ভাজা পোড়া খাবার।
৭. সরবিটল ও গাম সমৃদ্ধ খাবার।
খাবারের গ্রহনের জন্য ভাল উপদেশ মানুনঃ
১. ধীরে ধীরে ভাল মত চিবিয়ে খাওয়া, আমরা বলি ১০ বার চিবিয়ে তবেই গিলবেন।
২. খাবার সময় কথা না বলা, ঢেকুর না উঠানো।
৩. ধুমপান, চুইংগাম ও ক্যান্ডি বাদ দেওয়া।
৪. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া।
৫. খাবার পর পর ব্যায়াম না করা।
৬. খাবার পর মিন্ট বা আনারস খাওয়া।
৭. ব্যালেন্সড (সুষম) খাবার খাওয়া ও গ্যাস বৃদ্ধি কারী খাবার এড়িয়ে চলা। কার্বহাইড্রেট যেমন ল্যাকটোজ, গম ইত্যাদি কম খাওয়া।
৮. ক্যাফেইন, কার্বনেটেড পানীয় ও বিয়ার না খাওয়া।
৯. পানীয় খেতে স্ট্র ব্যাবহার না করা।
১০. খাবারের সাথে বেশী পানি না খাওয়া। খাবার ১ ঘন্টা পরে বেশী পানি খাবেন।
১১. স্ট্রেস (ধকল) এড়িয়ে চলা।
গ্যাস বা ফ্লাটাস থেকে রক্ষা পেতে খাবার ও পরামর্শ মেনে চলার পশাপাশি, কিছু ওষুধের যেমন- সেমিথিকন, চারকোল , পিপারমিন্ট ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে-যত দুর্গন্ধ ফ্লাটাস তত হজমে গন্ডগোলের সম্পৃক্ততা থাকে। আপনার স্বাস্থ্য সমস্যায় একজন সুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রফেসর ডাঃ এ,কে,এম, মোখলেছুজ্জামান,
কনসালটেন্ট -ইন্টারনাল মেডিসিন,
আসগর আলি হাসপাতাল, গেন্ডারিয়া ।
মোবাইল: ০১৭৮৭৬৮৩৩৩৩
বিভাগ : স্বাস্থ্য