খোসপাঁচড়া ঃ চিকিৎসা ও সচেতনতা
০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ এএম | আপডেট: ০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ এএম
খোসপাঁচড়া আমাদের ত্বকের একটি অতি সাধারণ সমস্যা। একে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করা হয়। যেমন: চুলকানী, খুজলি, বিখাউজ, স্ক্যাবিস ইত্যাদি। যে কেউ যেকোন সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
কারণঃ
খোসপাঁচড়া বা স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে ও সংক্রামক রোগ। এটি একধরনের জীবাণুর কারণে হয়। জীবাণুর নাম ‘সারকপটিস স্ক্যাবি’।
জীবাণুটি ত্বকের মধ্যে বাসা বাঁধে, ডিম পাড়ে। এটি ত্বকের নীচে ব্যারাজ তৈরি করে, যা খালি চোখে দেখা যায় না।
সাধারণত স্পর্শের মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়। আক্রান্ত রোগির ব্যবহৃত চাদর, বিছানা, তোয়ালে, জামাকাপড় ব্যবহার করলে সুস্থ ব্যক্তির মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
শিশুরা বিদ্যালয় হতেও রোগটি পেতে পারে।
যারা ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে বসবাস করে (যেমন: শিশু সদন, হোস্টেল, মেস, মাদ্রাসার শোবার ঘর, হাসপাতাল, এতিমখানা, জেলখানা, বস্তি) তাদের মধ্যে সহজে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষনঃ
জীবাণু দ্বারা আক্রমণের প্রায় ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ প্রতিবছর এ রোগটিতে আক্রান্ত হয়।
লক্ষনগুলো নি¤œরূপ:
১) এ রোগের বিশেষ এবং প্রধান লক্ষণ হলো সারা শরীরে চুলকানী হয়। ২) অসহনীয় চুলকানী, যা বিকাল হতে শুরু হয় এবং রাত্রের বেলায় তীব্রতা বেশি হয়। ৩) রাত্রে বিছানার গরমের জন্য জীবাণুগুলো চামড়ার নিচে চলাচল করে, ফলে চুলকানী বেড়ে যায়। ৪) চুলকানোর স্থানগুলোতে পানি বা পুঁজ সহ ফোস্কা, ছোট ছোট দানা বা গুটির সৃষ্টি হয়।
আক্রান্ত স্থানঃ
চুলকানোর ফলে সৃষ্ট গুটিগুলো সাধারণত: বড়দের মুখ ও মাথা বাদে সমস্ত শরীরে দেখা যাবে। তবে ছোটদের এসব স্থানেও হতে পারে। তবে আঙুলের ফাঁকে, বগলে, কবজিতে, কনুই ও কনুইয়ের সামনের ভাঁজে, নাভি বা নাভির চারপাশে, তলপেটে, স্তনের বোঁটায়, যৌনাঙ্গের আশেপাশে এবং শরীরের বিভিন্ন ভাঁজগুলোতে দেখা যায়।
কারা ঝুঁকিপূর্ণ ?
যারা অতি সহজে অন্যদের সাথে শারীরিক সংস্পর্শে আসে, যেমন: শিশু, শিশুদের মা, যৌনকার্যে সক্ষম পরিণত নারী-পুরুষ, আশ্রমে বসবাসকারী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
জটিলতাঃ
একটু সচেতনতার সাথে চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোগটি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। আবার একটু অবহেলার কারণে কিডনী ও হৃদযন্ত্রের জটিলতাসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়।
চিকিৎসাঃ
খোসপাঁচড়ার জন্য নির্দিষ্ট লাগানোর ও খাওয়ার ঔষধ আছে, যা নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম করে ঔষধ ব্যবহারে দ্রুত খোসপাঁচড়া হতে মুক্তি পাওয়া যায়। অন্যান্য চিকিৎসার মতো হোমিওপ্যাথিও ব্যাবহার করা সম্ভব।
প্রতিরোধঃ
১. পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। ২. পরিধেয় কাপড় প্রতিদিন গরম পানিতে ধুয়ে পড়তে হবে। ৩. নিয়মিত সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। ৪. আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। ৫. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা বস্তু ব্যবহার করা হতে বিরত থাকে। ৬. ঘামে বা বৃষ্টিতে ভিজলে ত্বক ধুয়ে শুকাতে হবে। ৭. ভেজা চুল ভালো করে শুকিয়ে বাঁধতে হবে।
মোঃ হুমায়ুন কবীর
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, গবেষক ও স্বাস্থ্য নিবন্ধকার।
রেনেসাঁ হোমিও মেডিকেয়ার
২৫/৩, নবাব কাঁটারা, নিমতলী, চাঁনখারপুল, ঢাকা- ১০০০।
মোবাইল নম্বরঃ- ০১৭১৭-৪৬১৪৫০, ০১৯১২-৭৯২৮৯৪।
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি