ফাস্টফুডে ক্ষতি
০২ আগস্ট ২০২৪, ১২:২০ এএম | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ১২:২০ এএম
যাঁরা বিদেশের পরিবেশ সম্পর্কে জানেন, তাঁদের খুব ভালো করেই জানা আছে সেখানকার ফাস্টফুড সম্পর্কে। তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকলে বাইরে খেতে হলে ফাস্টফুড ছাড়া গত্যন্তর নেই। তবে আমাদের দেশেও খাওয়া-দাওয়ায় আরামের জুড়ি নেই। নিজ দেশের মাটি ও মানুষ কেবল নয়, খাবারও টানে খুব। যদিও ইদানীং ফাস্টফুডের উপর ঝুঁকি পড়েছে আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম। তাই এখন ফাস্টফুডের বাজার রমরমা আর সেখানে টিনএজার ও কমবয়সীদের ভিড় উপচে পড়ছে। এর প্রভাব স্বাস্থ্যের পক্ষে কত বেশি খারাপ, তা জেনে-শুনেও পতঙ্গপালের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে কমবয়সিরা এসব খাবারের দোকানে। তাই ক্রমে স্থূলতা ও নানা রোগ হবে তরুণ-তরুণীদের জীবন-সহচর, এমন ধারণা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে নানা দেশে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা।
বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট-এ প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউট (এনএইচএলবিআই) পরিচালিত এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে বারবার ফাস্টফুড খেলে টিনএজার ও তরুণদের দেহের ওজন অনেক বাড়ে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
১৫ বছর পর্যবেক্ষণের ফলাফল হলো, যাঁরা ফাস্টফুড রেস্তোরঁাঁয় প্রতি সপ্তাহে একবেলার কম আহার করেছেন, তাঁদের তুলনায় যাঁরা প্রতি সপ্তাহে দু’বেলা আহার করেছেন, তাঁদের দেহে ওজন বাড়তি ১০ পাউন্ড বেড়েছে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়েছে দ্বিগুণ, আর একটি হলো টাইপ ২ ডায়াবেটিসের বড় ঝুঁকি। আবার ডায়াবেটিস হলো হৃদরোগের একটি বড় ঝুঁকি। শিল্পউন্নত দেশগুলোতে মেদবহুলতা ও ডায়াবেটিস যেমন বাড়ছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর ব্যতিক্রম ঘটছে না, তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
ফাস্টফুডের রমরমা বাজার ছিল ধনী দেশগুলোতেও। এখন দরিদ্র দেশগুলোতেও এই বাজার বিস্তার লাভ করেছে। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এপিডেমিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মুখ্য গবেষক ডাক্স মার্ক পেরবার মতে, কোনো ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় স্বাস্থ্যসম্মত আহার করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। সম্প্রতি এসব রেস্তোরাঁয় স্বাস্থ্যসম্মত মেনু রাখার প্রস্তাব দেয়া হলেও সেই মেন্যুগুলোতে এখনো রয়েছে উচ্চমানের চর্বি, চিনি ও ক্যালোরি। আঁশ ও পুষ্টি উপকরণ কম।
ফাস্টফুড খেলে শরীরের ওজন বাড়ার একটি কারণ হলো, এসব রেস্তোরাঁয় যে-কোনো এক বেলার খাবারে এত ক্যালোরি থাকে, যা সারাদিনের ক্যালোরি পূরণের সমান বা তার চেয়েও বেশী। ধীরে ধীরে রক্তে চিনি, তৈল আসার পরিবর্তে ফাস্ট ফুডে খুব দ্রুতই রক্তে এগুলো চলে আসে ফলে শরীরে এগুলোর আধিক্য দেখা দেয়। গবেষকেরাÑ দেখেছেন, কৃষ্ণকায় ও শ্বেতকায় উভয়ের মধ্যেই যাঁরা বারবার ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় আহার করেছেন, তাঁরা জীবনযাপন-চর্চায় পরিবর্তন আনলেও তাঁদের দেহের ওজন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ওপর এসব আহারের বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন তিন হাজার ৩১ জন কৃষ্ণকায় ও শ্বেতকায় তরুণ-তরুণী, বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। গবেষণায় এও দেখা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি গেছেন ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় আহার করতে। তাই খুব সহজেই এগুলো ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, মুটিয়ে যাওয়া, গর্ভপাত, উচ্চ রক্তচাপ, সন্তনহীনতার মত রোগ শরীরে বাসা বাধছে। গবেষকরা বলেছেন যে, ফাস্টফুড যত কম খাওয়া হবে স্বাস্থ্য তত ভালো থাকবে।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ