বন্যাকবলিত এলাকায় শিশুর ডায়রিয়া
৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪০ এএম | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪০ এএম
বন্যা কবলিত এলাকায় শিশুদের ডায়রিয়া খুব পরিচিত অসুখ। সবসময়েই শিশুদের ডায়রিয়ায় অক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বড়দের চেয়ে বেশী। বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ খাবারের অভাবেই বন্যার্তদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশী। শিশুর ডায়রিয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ভাইরাস জনিত কারনে শতকরা ৮০ ভাগ ডায়রিয়া হয়ে থাকে। রোটা ভাইরাস দিয়েই সবচেয়ে বেশী ডায়রিয়া হয়ে থাকে। তবে এই সময়ে টাইফয়েড, কলেরা, ইকোলাই, এমিবিয়া, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া দিয়েও ডায়রিয়া হচ্ছে। শিশুর ডায়রিয়া হলে অনেকে নিজে নিজে বা দোকানদারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক খাওয়ান। অনেক চিকিৎসকও অনেক সময় এন্টিবায়োটিক দেন। এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারলেও ভাইরাস মারতে পারেনা। এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হয় এক্ষেত্রে। ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা হয়। এই পানিশূন্যতা পূরণ করার জন্য ঘন ঘন খাবার স্যালাইন, বুকের দুধ ও অন্যান্য তরল খাবার খাওয়াতে হবে। পানিশূন্যতা বেশি হলে এবং মুখে স্যালাইন না খেতে পারলে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরাপথে স্যালাইন দিয়ে পানিশূন্যতা পূরণ করতে হবে। এটাই সঠিক চিকিৎসা। পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। জিংক খাওয়ালে পানি শুন্য হওয়ার প্রবনাতা কিছুটা কম হয়।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এর ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ অনেক কমে যাবে। পরিবারের সবাইকে ভালোমতো হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। বিশেষত খাওয়ার আগে, শিশুকে খাওয়ানোর আগে, পায়খানা ব্যবহার করার পর, শিশুর পায়খানা পরিষ্কার করার পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে। রান্না করার আগে অবশ্যই সাবান এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। তবে রোটাভাইরাস ডাইরিয়া প্রতিরোধে এর বিরুদ্ধে ৬ মাস বয়সের আগেই শিশুকে টিকা খাওয়ানো যেতে পারে। যদিও এটা রোটা ভাইরাস ছাড়া অন্যান্য জীবানু ঘটিত ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারবে না।
সাধারণত টিউবওয়েলের পানি এবং ফোটানো পানি নিরাপদ। এই সময়ে পানি বিশুদ্ধকরন বড়ি ও ফিটকিরি দিয়ে অনেক স্থানে তা বিশুদ্ধ করা হচ্ছে। টিউবওয়েলের কাছে মলমূত্র ত্যাগ করতে দেওয়া যাবে না। পায়খানা অবশ্যই টিউবওয়েল থেকে দূরে ও নিচুতে হতে হবে। সবসময় পরিষ্কার পাত্রে পানি সংগ্রহ করা উচিত।
শিশুর নখ নিয়মিত কাটতে হবে। প্রতিদিন পরিষ্কার পানিতে গোসল করালে শিশু অনেক সুস্থ থাকে। জন্মের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুর ডায়রিয়া হওয়ার প্রবণতা কমে, কারণ বুকের দুধ নিরাপদ, জীবানুমুক্ত ও বিভিন্ন শিশুরোগ প্রতিরোধকারী। বোতলে দুধ খাওয়ালে শিশুর ডায়রিয়া বেশি হয়। কারণ বোতল সব সময় পরিষ্কার রাখা কখনোই সম্ভব হয় না। আবার কেউ কেউ এটা হজম করতেও পারে না। তবে ছয় মাস বয়স হওয়ার পর থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার শুরু করতে হবে। প্রতিবছর ডায়রিয়ায় অনেক শিশু মারা যায়। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় এটা বাড়বে। তাই ডায়রিয়া প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আশুলিয়ার হত্যা মামলার আসামি পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার
বিকেলে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের অপকর্ম অপপ্রচার বন্ধে পুরো জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ
কলকাতার হাসপাতাল বাংলাদেশীদের চিকিৎসা না দেওয়ার খবর ‘মিথ্যা’: ভারতীয় মিডিয়া
মানিকগঞ্জে সই নকল করে ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
অভিভাবকের কাছে ইউএনও’র খোলা চিঠি
৬০ বিজিবির অভিযানে ৪৪ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
উপায়ান্তর না দেখে বাংলাদেশিদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত ছাড়ের ঘোষণা দিলো কলকাতার হাসপাতাল
আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বিএনসিসির সহায়তায় দেশ নিরাপদ জায়গায় এসেছে : সেনাপ্রধান
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসককে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের বদলিজনিত বিদায় ও ফুলেল শুভেচ্ছা
দৌলতপুরে ৭৯৫ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন: ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের আইডি সাময়িক বন্ধ
নারী নির্যাতন বন্ধে পুরুষদের বেশি এগিয়ে আসতে হবে
কাপ্তাইয়ে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ দু'ই সদস্যকে সংবর্ধনা ও তিতুমীর একাডেমির শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত
পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
সিংগাইরে দুধর্ষ ডাকাতি, ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট
সালথায় ঘরের চালা কেটে শিশুকে জিম্মি করে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকওয়াজ অনুষ্ঠিত
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বানে টার্নার প্রাইজ বিজয়ী স্কটিশ শিল্পী জাসলিন কাউর
সোনাহাট স্থলবন্দরে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্ধ, সংবাদ সম্মেলন করে ২ গ্রুপের নতুন কমিটি গঠনের দাবি