খাবার নিয়ে মানসিক সমস্যা
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম
সুস্থ শরীরেই সুস্থ সতেজ মনের বসবাস। কারণ সুস্থতাই সকল সুখের মূল। সুস্থ ব্যক্তি খুব কম ক্ষেত্রেই হতাশায় ভুগে থাকেন। তাদের কর্ম উদ্দীপনাও দারুণ, চমৎকার। তারা চায় সমাজের বুকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। তাই জীবন সংগ্রামে তারা বীরের মতো নানাপ্রকার প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেন সাফল্যের শীর্ষচূড়ায় আরোহন করতে।
এখন আমরা আলোচনা করবো খাদ্য গ্রহণজনিত মানসিক রোগ বুলিমিয়া নার্ভোসা সম্পর্কে। খাদ্যজনিত নানারকম মানসিক সমস্যাকে খাদ্য সংক্রান্ত মানসিক সমস্যা বলে। দুই প্রকার খাদ্য সংক্রান্ত মানসিক সমস্যা রয়েছে। যেমনÑ ক্র্যানোরেক্সিয়া নারভোসা ও বুলিমিয়া নার্ভোসা।
অনিয়ন্ত্রিত, বাধ্যতামূলক এবং বারে বারে বেশি পরিমাণ খাবার অল্প সময়ের ব্যবধানে খাওয়া ও তারপর নিজ থেকে বমি করা, পায়খানা হওয়ার জন্য লাক্সটিভ (জোলাপ) ব্যবহার করা অথবা আবার অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকাও বেশি পরিমাণে ব্যায়াম করে ওজন বৃদ্ধি প্রতিরোধ করাকেই বুলিমিয়া নারভোসা বা বেশি খাওয়ার রোগ বলে। চিকিৎসা বিজ্ঞানী রাসেল ১৯৭৯ সালে এই বুলিমিয়া রোগের বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। এই ব্যাধিটিকে ব্রিঞ্চ ইটিংও বলা হয়।
বুলিমিয়া নারভোসা রোগের কারণ : ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নানা পরিবর্তন সত্ত্বেও খাদ্যের প্রতি আকর্ষণ বুলিমিয়া নার্ভোসা রোগের প্রধান কারণ। এছাড়া মেটাবলিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, এদের সেরোটনিনের তৎপরতা হ্রাস পায়। কিন্তু যেসব বুনেমিক রোগী বমি করে তাদের রক্তরসে এর মাত্রা বেড়ে যায়। অনেকেই বিষন্নতায় ভোগেন এবং পরিবারে বিষন্নতাজনিত রোগীর ইতিহাস পাওয়া যায়। অ্যালকোহলজনিত কারণেও এ রোগ দেখা দিয়ে থাকে। অনেকে আবার বিষন্নতা দূর করার জন্য বেশি বেশি-ঘন ঘন খাওয়ার মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পেতে চেষ্টা করেন।
লক্ষ্মণ : ব্যাপকহারে খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাভাবিকভাবে শরীরের ওজন বৃদ্ধি, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, রোগী প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর ক্ষুধার্ত হয়ে উঠছে। স্থূলতা সমস্যা ও অধিকমাত্রায় পর্যাপ্ত খাদ্য অপুষ্টির সৃষ্টি করতে পারে। যা থেকে শরীরে নানা প্রকার অসুখ-বিসুখের সৃষ্টি হয়।
প্রতিক্রিয়া : বমি ও জোলাপ ব্যবহারের ফলে রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। ফলে কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রোগীর দাঁত থেকে এনামেল ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
চিকিৎসা : রোগটা প্রায় ক্ষেত্রেই ক্রনিক (দীর্ঘস্থায়ী) হয়ে যায়। এন্টিডিপ্রেশান্টস জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের নির্দেশমতো ধৈর্য্য সহকারে খেয়ে যেতে হবে। এছাড়া সাইকোথেরাপি, বিহেভিয়ার থেরাপি এবং গ্রুপ থেরাপি কার্যকরী থেরাপিউটিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ডা. গৌতম কুমার দাস
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম