শ্বেতী : চিকিৎসা ও প্রতিকার
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
শ্বেতী রোগ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা থাকা প্রয়োজন। প্রাগ ঐতিহাসিক যুগ হতে ত্বকের সাধারণ দাগ হিসেবে শ্বেতী বা ধবল রোগ বিদ্যমান, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ভিটিলিগো বলা হয়। শ্বেতী হলো কালো রঞ্জক প্রস্তুতকারী বহিঃত্বকের মেলানোসাইটের অনুপস্থিতিজনিত চর্মে বর্ণের অস্বাভাবিকতা। যা ছোট, মাঝারী, বড় দাগ ছোপ আকৃতিতে শুরু হয়। কখনো কখনো তা শরীরের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে দুগ্ধ ধবল সাদা সাদা দাগ সৃষ্টি হয়। তবে সাদা দাগ হলেই যে সেটা শ্বেতী রোগ হবে তা সঠিক নয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন চর্মরোগ ও সাদা দাগ সৃষ্টি করতে পারে। শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়।
কারণঃ
শ্বেতী রোগের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হয়, একাধিক কারণ এ রোগের সৃষ্টি করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত প্রবণতাও এ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। চামড়ায় কালো রং সৃষ্টিকারী মেলোনো সাইটের স্থায়ী ধ্বংসের কারণে শ্বেতীর সৃষ্টি করে। তবে কেন এ রোগ সৃষ্টি হয়, তার সুস্পষ্ট ধারণা পেতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রকারঃ
শ্বেতী রোগের আকৃতি, অবস্থান ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কয়েকটি প্রকারে ভাগ করা যায়।
যেমন:
সাধারণ শ্বেতী
সেগমেন্টাল শ্বেতী
মিউকোমাল শ্বেতী
ফোকাল শ্বেতী
ট্রাইকোম শ্বেতী
ইউনিভার্সান শ্বেতী
কোন বয়সে বেশি হয়ঃ
শিশু হতে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সীদের মধ্যে এ রোগটি হতে পারে। এটি সাদা কালো এবং বাদামী বর্ণের লোকদের মধ্যে বেশি হয় এবং বংশগত কারণেও রোগটি হতে পারে। হাইপার থাইরয়েড ও ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে শ্বেতী হওয়ার আশংকা রয়েছে। আবার পুরুষদের তুলনায় নারীদের রোগটিতে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
লক্ষণঃ
চামড়ার উপর সাদা দাগ পড়ে বিবর্ণ হয়ে যায়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামান্য চুলকানী হতে পারে।
চামড়ার যে স্থানে শ্বেতী হয়, সে স্থানের লোমগুলোও সাদা বর্ণ ধারণ করে।
দেহের যেকোন একদিকে (তা বাম অথবা ডান দিকে) হয়।
রোগ নির্ণয়ঃ
রোগের ও বংশের রোগের ইতিহাস
রক্ত ও চোখ পরীক্ষা
ত্বকের বায়োপসি ইত্যাদি
চিকিৎসাঃ
শ্বেতী রোগের কোনো চিকিৎসা নেই এই ধারণা সঠিক নয়। শ্বেতী চিকিৎসার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেহের সৌন্দর্যকে পুনরায় ফিরে পাওয়া। বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে ঔষধ, ফটোথেরাপি, লেজার ও সার্জারী।
করণীয়ঃ
পরিবারের কারো শ্বেতী হলে অন্য সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়ে এবং মনে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়। তাই কোন ভ্রান্ত ধারণা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি হতে রক্ষার জন্য দিনের বেলায় বাইরে কম যাওয়া ভালো। যদি যেতেই হয় তবে সানস্ত্রিন ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
রোগটি সৌন্দর্য হরণ ছাড়া তেমন কোন ক্ষতি করে না। আর খাবারের সাথে নেই কোন সম্পর্ক। তাই টক, দুধ, ডিম বা অন্য কোন খাবার রোগটিকে বৃদ্ধি করে না।
ধুমপান, মদপান, গুরুপাক অবশ্যই বর্জনীয়।
মোঃ হুমায়ুন কবীর
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, গবেষক, স্বাস্থ্য নিবন্ধকার।
রেনেসাঁ হোমিও মেডিকেয়ার
২৫/৩, নবাব কাঁটারা, নিমতলী, চাঁনখারপুল, ঢাকা- ১০০০।
মোবাইল নম্বরঃ- ০১৭১৭-৪৬১৪৫০, ০১৯১২-৭৯২৮৯৪।
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম