বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা
০১ মে ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
বাইপাস সার্জারির জন্য শরীরের অন্য অংশ থেকে রক্তনালী নেন সার্জনরা। তবে অনেকসময় এমন হয় যখন রোগীর শরীরে উপযুক্ত রক্তনালী পাওয়া যায় না। তাই অনেকদিন ধরেই কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা চলছে। জার্মানির কিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে এমন রক্তনালী বাজারে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভাস্কুলার সার্জন ডা. রুফেন ব্যার্ন্ট বলেন, ‘‘কৃত্রিম ধমনী দিয়ে অস্ত্রোপচার অনেক পুরনো এক স্বপ্ন। কার্ডিওভাস্কুলার সার্জন হিসেবে আপনি অবশ্যই এমন এক অবস্থার মুখোমুখি হবেন যখন আপনি রোগীকে সুস্থ করতে চাইবেন, কিন্তু হৃদযন্ত্র বা পায়ে বাইপাস সার্জারির জন্য উপযুক্ত উপাদান খুঁজে পাবেন না। তাই অনেকদিন ধরে গবেষণাগারে বায়োআর্টিফিসিয়াল ধমনী সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। সেটি সম্ভব হলে আমরা যেসব রোগীর শরীরে বাইপাস সার্জারি করার জন্য উপযুক্ত রক্তনালী নেই তাদেরও সার্জারি করতে পারবো।''
একটি প্রিন্টার দিয়ে একইসঙ্গে দুটি তরল চেপে বায়োমেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা নমনীয় এক নল তৈরির পরিকল্পনা করছেন গবেষকেরা।
তরলগুলোর মধ্যে একটি তথাকথিত ‘বায়োইঙ্ক'। এটি এক ধরনের জৈব কালি, যা মানুষের ভাস্কুলার কোষসমৃদ্ধ। এর ভিত্তি হলো ‘অ্যালজিনেট', যেটি বাদামি শেওলা দিয়ে তৈরি হয়। হিউম্যান বায়োলজিস্ট মার্টিন আলব্রেশট বলেন, ‘‘অ্যালজিনেটের সমস্যা হলো, কোষগুলো এর সঙ্গে ভালোভাবে যুক্ত হতে পারে না। সে কারণে আমরা পেপটাইড যোগ করি, যেটা একধরনের প্রোটিন। কোষগুলো পেপটাইডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এছাড়া পেপটাইড কোষকে সংকেত পাঠাতে পারে বলে কোষগুলো বেঁচে থাকতে ও বংশবৃদ্ধি করতে পারে।''
শুরুতে সাধারণ থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করলেও গবেষকদল এখন একটি রোবটের হাত ব্যবহার করছেন, যার সঙ্গে বিশেষভাবে তৈরি দুই চেম্বারবিশিষ্ট প্রিন্টহেড যুক্ত রয়েছে। একটি চেম্বারে থাকে বায়োইঙ্ক, অন্যটিতে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড।
গবেষকেরা ইতিমধ্যে অসংখ্যবার পরীক্ষামূলক প্রিন্ট করেছেন। প্রিন্ট হওয়া বাইপাসের পুরুত্ব যেন সব জায়গায় একই থাকে সেটা নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জ। কৃত্রিমভাবে তৈরি বাইপাস যতটা সম্ভব অপরিবর্তনশীল হতে হবে যেন তা রোগীর শরীরে কয়েক দশক কার্যকর থাকতে পারে।
প্রিন্ট হওয়ার পর বাইপাসকে কয়েকদিনের জন্য ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার পুষ্টিকর দ্রবণে চুবিয়ে রাখতে হবে। সেল বায়োলজিস্ট কারিনা সিট্টা বলেন, ‘‘আমরা সাধারণত ঘরের তাপমাত্রায় প্রিন্ট করি। কিন্তু কোষগুলোকে এই তাপমাত্রায় অনেকদিন রাখলে কোষের ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে আমরা প্রিন্ট করার পর বাইপাসকে ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার বায়োরিয়েক্টরে রেখে দেই।'' সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি