জকিগঞ্জে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে নানা দুর্ভোগ

Daily Inqilab জকিগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা

১৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৬ এএম

সরকার অনলাইনে খাজনা পরিশোধ চালু করায় ঘুষ, দুর্নীতি অনিয়ম দূর হওয়ার কথা থাকলেও ভুমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাবহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছেন। খাজনা দিতে আসা লোকজনের হয়রানীর অন্ত নাই। খাজনার অংকের ১০/২০ গুন বেশি দিতে হয়। বিক্রির জন্য খাজনা দিতে আসলে এ টাকার অংক আরোও বেড়ে যায়। ইছাপুুর মৌজায় ৩৬৮ খতিয়ানের ৪৮৯১ এক বিধবা মহিলার একুশ শতক জায়গা বারঠাকুরী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল গণির নামে বিএস জরিপে রেকর্ড হয়ে যায়। ঐ জায়টি বিধবা মহিলা বিক্রি করতে চাহিলে মৃত আব্দুল গণির ছেলে মো. আবিদ উদ্দিন খাজনা দিতে আসেন। খাজনার জন্য তার নিকট থেকে ২৫০০ টাকা রাখলেও তাকে ১৩১ টাকা পরিশোধেরএকটি দাখিলা ধরিয়ে দেয়া হয়।
নিজের জায়গার খাজনা পরিশোধের জন্য আইডি দিয়ে অনলাইন নিবন্ধন করে অনুমোদন নেয়ার জন্য জকিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান বিলেরবন্দ গ্রামের প্রবাসী কামরুজ্জামান সোহেল। কাল আসেন পরশু আসেন বলে এক সপ্তাহ ঘুরিয়ে ভুমি অফিসের লোকজন একটি দোকানের নাম ধরে বলে ওখানে নিবন্ধন করলেন না কেন? এই বলে বৎসনা করেন জকিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের লোকজন। ভুমি অফিসের আইডিতে থাকা স্বত্বেও তাকে বারবার নানা অযুহাতে ঘুরাতে থাকেন।
আলমনগর গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, খাজনা পরিশোধের জন্য নিবন্ধন করে যোগাযোগ না করলে ভুমি অফিসের লোকজন তা অনুমোদন করে দেয় না। যোগাযোগ করলে ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ থেকে খাজনা বকেয়া ধরে দেয়, আর তাদের উৎকোচ দিলে ২/৩ বছরের বকেয়া দেখানো হয়। ভূমি উন্নয়ন কর দাখিলা দেখাতে পারলে শুধু বকেয়া কমানো হয়। অথচ এসএস খতিয়ানে খাজনা পরিশোধের রেকর্ড থাকলেও ভূমি অফিসের লোকজন সাধারণ জনগণের ঘাড়েই সকল দায় চাপিয়ে দেয়। নামজারীতেও রয়েছে তুঘলকী কারবার, এখানেও হয়রানীর পাশাপাশি বিপুল অংকের টাকা গুনতে হয় ক্রেতাদের।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ ভুমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সৈকত চক্রবতী বলেন, নামজারী মামলা নিয়ে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। অফিসের কোন কর্মচারী অতিরিক্ত টাকা নিতে পারে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
জকিগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, ভূমি অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একটি চক্র নামজারীসহ সর্ব ক্ষেত্রে অনিয়মের করে যাচ্ছে বলে আমি শুনেছি কিন্তু সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারছি না।

 


বিভাগ : অভ্যন্তরীণ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

আলাভেসকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমালো বার্সা

আলাভেসকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমালো বার্সা

সউদী যুবরাজের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোলানির সাক্ষাৎ

সউদী যুবরাজের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোলানির সাক্ষাৎ

ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব মন্ত্রীরা

ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব মন্ত্রীরা

নববর্ষের ছুটিতে নিজ শহরে বীরোচিত অভ্যর্থনা ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতাকে

নববর্ষের ছুটিতে নিজ শহরে বীরোচিত অভ্যর্থনা ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতাকে

ট্রাম্পের নির্দেশে আইএসের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় বিমান হামলা শীর্ষ পরিকল্পনাকারী নিহত

ট্রাম্পের নির্দেশে আইএসের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় বিমান হামলা শীর্ষ পরিকল্পনাকারী নিহত

সংঘাত নিরসন আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন জেলেনস্কি

সংঘাত নিরসন আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন জেলেনস্কি

সরে গেলো নৌকা

সরে গেলো নৌকা

জানুয়ারিতে টার্কস্ট্রিম দিয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস রফতানি রেকর্ড উচ্চতায়

জানুয়ারিতে টার্কস্ট্রিম দিয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস রফতানি রেকর্ড উচ্চতায়

ভারতের ৭৮ বিলিয়ন ডলার বাড়লো প্রতিরক্ষা বাজেট

ভারতের ৭৮ বিলিয়ন ডলার বাড়লো প্রতিরক্ষা বাজেট

ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের দ্বী-বার্ষিক সম্মেলনে রেজাউল করিম

ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের দ্বী-বার্ষিক সম্মেলনে রেজাউল করিম

স্বামীর টাকা তাকে না বলে স্ত্রীর বাবা-মাকে দিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে।

স্বামীর টাকা তাকে না বলে স্ত্রীর বাবা-মাকে দিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে।

মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’  ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

বান্দরবানের লামায় ৭ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ

বান্দরবানের লামায় ৭ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ

মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

নবাব সলিমুল্লাহ্'র ১১০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নবাব সলিমুল্লাহ্'র ১১০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আফ্রিদিকে মনে করালেন অভিষেক

৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আফ্রিদিকে মনে করালেন অভিষেক

ভারত সীমান্তের সেই বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যাবেন জামায়াত আমির

ভারত সীমান্তের সেই বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যাবেন জামায়াত আমির

তৌহিদের সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন

তৌহিদের সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন

গণতন্ত্রের আপসহীন সংগ্রামী বেগম খালেদা জিয়া

গণতন্ত্রের আপসহীন সংগ্রামী বেগম খালেদা জিয়া

পাঠ্যপুস্তক ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুগামী হতে হবে

পাঠ্যপুস্তক ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুগামী হতে হবে